অফিস থেকে বের হয়ে খেয়াল করলাম পকেটে পাঁচ টাকার একটা কয়েন আছে।
বাসে উঠলে মিনিমাম ভাড়া ১০ টাকা। কখনো কখনো বাসে যাতায়াত করার সময় খেয়াল করি, কেউ কেউ হেল্পারকে ৫ টাকা দিয়ে বলে "আর টাকা নাই আমার কাছে!"
এই কন্ঠস্বরটা শুনে যে কারো মনটাই একটু নরম হয়। মানুষ মানুষের বিনয়ী কন্ঠস্বরকে খুব সহজে অবহেলা করতে পারেনা।
আমি চাইলে একটা বাসে উঠে হেল্পারের দিকে মায়াময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলতে পারতাম "এই পাঁচটা টাকাই আছে আমার কাছে!"
হেল্পারও হয়তো আমার দিকে তাকিয়ে মায়া নিয়ে বলতো "ঠিকাছে মামা"
তবে, এই সিচুয়েশনটা আমি নিতে পারিনা। আমি সাধারনত খুব একটা অর্থ সংকটে থাকিনা। তবুও মাঝে মাঝে নিজের খরচ, বাসা ভাড়া, মায়ের ঔষুধ ও সংসারের নানাবিধ ঝামেলায় পরে গেলে, পকেটের শেষ টাকাটা পর্যন্তও প্রয়োজনে বাড়ি পাঠিয়ে দিই! ঘরের একমাত্র ছেলে, বয়সটা খুব বেশি না হলেও দায়িত্বটা অনেক।
পারিবারিক কোন একটা প্রয়োজনে মা টাকার জন্য দুঃশ্চিন্তা করবে, এটা আমাকে কষ্ট দেয়।
যখন যা লাগে, ম্যানেজ করে দেওয়ার চেষ্টা করি। কখনো এমন হয়েছে যে, পকেটে হাত খরচের টাকাটা বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি প্রয়োজনে!
আমি কিভাবে মাসের বাকি সময়টা চলবো, এটা নিয়ে আমার তেমন একটা টেনশন হয়না। জীবন তো চলেই যায় জীবনের মতো।
বাসে উঠলে মিনিমাম ভাড়া ১০ টাকা। কখনো কখনো বাসে যাতায়াত করার সময় খেয়াল করি, কেউ কেউ হেল্পারকে ৫ টাকা দিয়ে বলে "আর টাকা নাই আমার কাছে!"
এই কন্ঠস্বরটা শুনে যে কারো মনটাই একটু নরম হয়। মানুষ মানুষের বিনয়ী কন্ঠস্বরকে খুব সহজে অবহেলা করতে পারেনা।
আমি চাইলে একটা বাসে উঠে হেল্পারের দিকে মায়াময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলতে পারতাম "এই পাঁচটা টাকাই আছে আমার কাছে!"
হেল্পারও হয়তো আমার দিকে তাকিয়ে মায়া নিয়ে বলতো "ঠিকাছে মামা"
তবে, এই সিচুয়েশনটা আমি নিতে পারিনা। আমি সাধারনত খুব একটা অর্থ সংকটে থাকিনা। তবুও মাঝে মাঝে নিজের খরচ, বাসা ভাড়া, মায়ের ঔষুধ ও সংসারের নানাবিধ ঝামেলায় পরে গেলে, পকেটের শেষ টাকাটা পর্যন্তও প্রয়োজনে বাড়ি পাঠিয়ে দিই! ঘরের একমাত্র ছেলে, বয়সটা খুব বেশি না হলেও দায়িত্বটা অনেক।
পারিবারিক কোন একটা প্রয়োজনে মা টাকার জন্য দুঃশ্চিন্তা করবে, এটা আমাকে কষ্ট দেয়।
যখন যা লাগে, ম্যানেজ করে দেওয়ার চেষ্টা করি। কখনো এমন হয়েছে যে, পকেটে হাত খরচের টাকাটা বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি প্রয়োজনে!
আমি কিভাবে মাসের বাকি সময়টা চলবো, এটা নিয়ে আমার তেমন একটা টেনশন হয়না। জীবন তো চলেই যায় জীবনের মতো।
পকেটে পরে থাকা সেই শেষ ৫ টাকা নিয়ে হাটতে শুরু করলাম। অফিস টু বাসার দূরত্ব ৪ থেকে ৫ কিলোমিটারের মতো হবে।
এতটুকু পথ হেটে যাওয়া কঠিন কিছু নয়। অফিস থেকে হাটতে হাটতে জিয়া উদ্যানের সামনে এসে টের পেলাম, আমি বেশ হাঁপিয়ে উঠেছি। একটু বিশ্রাম দরকার।
সেখানে কিছুক্ষন বসার পর চায়ের ফ্ল্যাক্স হাতে এক বৃদ্ধ লোক এসেছে, এসেই বললো "মামা চা দিই?" আমি বললাম কত টাকা কাপ?
সে জবাব দিল- ৬ টাকা!
আমি বললাম- ঠিক আছে মামা, লাগবেনা!
চায়ের দোকানদার চলে গেলো। আমি ক্লান্ত হয়ে বসে আছি। একটু পর একটা বাচ্চা মেয়ে এসে বলছে "স্যার, একটা ফুল দিই?"
ফুল কিনে কোন নির্দিষ্ট মানুষের খোঁপায় পরিয়ে দেওয়ার মতো আমার কোন মানুষ নেই। তবুও আমি মাঝে মাঝে ফুল কিনি। ফুল কিনি, ওই পথশিশুর জীবিকার জন্য। ফুল কিনি, তার মুখের হাসিটা দেখার জন্য। ফুল কিনি, তার সংসারের জন্য।
আজ আমার পকেটে মাত্র ৫ টাকা আছে। এটা দিয়ে একটা ফুল কেনা যাবেনা। আমি তাকে ৫ টাকা দিয়ে বললাম, ফুল লাগবেনা, তুমি এই ৫ টাকা নিয়ে যাও। মেয়েটা টাকাটা হাতে নিয়ে চলে গেলো। কিছুক্ষন পর পাশে তাকিয়ে দেখি, একটা গোলাপ ফুল কে যেন রেখে গেছে!
নিশ্চয়ই সেই বাচ্চা মেয়েটা। হেল্পারকে ৫ টাকা দিয়ে আমি যেমন তার করুনা নিতে চাইনি, ওই ফুল বিক্রেতা বাচ্চা মেয়েটাও বোধয় করুনাটা নিতে চায়নি।
প্রতিটা মানুষেরই একটা ব্যক্তিগত আত্মসম্মানের অনুভূতি থাকে।
এতটুকু পথ হেটে যাওয়া কঠিন কিছু নয়। অফিস থেকে হাটতে হাটতে জিয়া উদ্যানের সামনে এসে টের পেলাম, আমি বেশ হাঁপিয়ে উঠেছি। একটু বিশ্রাম দরকার।
সেখানে কিছুক্ষন বসার পর চায়ের ফ্ল্যাক্স হাতে এক বৃদ্ধ লোক এসেছে, এসেই বললো "মামা চা দিই?" আমি বললাম কত টাকা কাপ?
সে জবাব দিল- ৬ টাকা!
আমি বললাম- ঠিক আছে মামা, লাগবেনা!
চায়ের দোকানদার চলে গেলো। আমি ক্লান্ত হয়ে বসে আছি। একটু পর একটা বাচ্চা মেয়ে এসে বলছে "স্যার, একটা ফুল দিই?"
ফুল কিনে কোন নির্দিষ্ট মানুষের খোঁপায় পরিয়ে দেওয়ার মতো আমার কোন মানুষ নেই। তবুও আমি মাঝে মাঝে ফুল কিনি। ফুল কিনি, ওই পথশিশুর জীবিকার জন্য। ফুল কিনি, তার মুখের হাসিটা দেখার জন্য। ফুল কিনি, তার সংসারের জন্য।
আজ আমার পকেটে মাত্র ৫ টাকা আছে। এটা দিয়ে একটা ফুল কেনা যাবেনা। আমি তাকে ৫ টাকা দিয়ে বললাম, ফুল লাগবেনা, তুমি এই ৫ টাকা নিয়ে যাও। মেয়েটা টাকাটা হাতে নিয়ে চলে গেলো। কিছুক্ষন পর পাশে তাকিয়ে দেখি, একটা গোলাপ ফুল কে যেন রেখে গেছে!
নিশ্চয়ই সেই বাচ্চা মেয়েটা। হেল্পারকে ৫ টাকা দিয়ে আমি যেমন তার করুনা নিতে চাইনি, ওই ফুল বিক্রেতা বাচ্চা মেয়েটাও বোধয় করুনাটা নিতে চায়নি।
প্রতিটা মানুষেরই একটা ব্যক্তিগত আত্মসম্মানের অনুভূতি থাকে।
আত্মসম্মান ব্যপারটা মানুষের জীবনে থাকা খুব দরকার। এটা একজন মানুষের সৌন্দর্য। পরিপাটি জামা কাপর যেমন একজন মানুষকে পরিচ্ছন্ন করে রাখে, তেমনি আত্মসম্মানবোধটাও মানুষের ভেতরকে পরিচ্ছন্ন রাখে।
আমরা সবচেয়ে বেশি আত্মসম্মান হারাই সম্পর্কের বেলায়।
আমরা কাউকে ভালোবাসার পর, নিজের ব্যক্তিত্বকে সম্মান করতে ভুলে যাই।
আমরা এত'টা পরজীবী হয়ে উঠি যে, তাকে ছাড়া বেঁচে থাকা যেন অসম্ভব!
আমি কখনো কোন সম্পর্কে কারো প্রতি অত'টা নির্ভরশীল হয়ে উঠিনা। যদিও জীবনে শতভাগ ভরসা করার মতো একটা মানুষের অস্তিত্ব থাকাটা লসের কিছু না, তবুও আমি আমার নিজের জন্য একটা স্পেস রাখি। আমি আমার নিজের কাছে নিজেকে প্রায়োরিটি দেওয়ার একটা জায়গা রেখে দিই।
আমরা কাউকে ভালোবাসার পর, নিজের ব্যক্তিত্বকে সম্মান করতে ভুলে যাই।
আমরা এত'টা পরজীবী হয়ে উঠি যে, তাকে ছাড়া বেঁচে থাকা যেন অসম্ভব!
আমি কখনো কোন সম্পর্কে কারো প্রতি অত'টা নির্ভরশীল হয়ে উঠিনা। যদিও জীবনে শতভাগ ভরসা করার মতো একটা মানুষের অস্তিত্ব থাকাটা লসের কিছু না, তবুও আমি আমার নিজের জন্য একটা স্পেস রাখি। আমি আমার নিজের কাছে নিজেকে প্রায়োরিটি দেওয়ার একটা জায়গা রেখে দিই।
এই জীবনে বহু মানুষ এসেছে। বহু মানুষ হাতের আঙুল ধরে হেটেছে মাইলের পর মাইল। কই সেসব মানুষ তো এখন নেই।
জীবনে মানুষ আসে, মানুষ চলে যায়। সব মানুষ একসাথে সারা জীবন থেকে যাওয়ার জন্য আসেনা। কেউ কেউ কাঁধে মাথা রেখে একসাথে সমস্ত জীবন কাটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও, অসময়ে কেটে পরে।
দিনশেষে মানুষ আসলে তার নিজেকে সাথে নিয়েই হেটে যায় পথে। কাউকে বয়ে বেরানোটা কারো কারো হয়, কারো কারো হয়না।
বেলা ফুরালেই মানুষ একা। মানুষ একা হয় সমুদ্রের মতো। পাহাড়ের মতো। নিজের ছায়ার মতো।
জীবনে মানুষ আসে, মানুষ চলে যায়। সব মানুষ একসাথে সারা জীবন থেকে যাওয়ার জন্য আসেনা। কেউ কেউ কাঁধে মাথা রেখে একসাথে সমস্ত জীবন কাটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও, অসময়ে কেটে পরে।
দিনশেষে মানুষ আসলে তার নিজেকে সাথে নিয়েই হেটে যায় পথে। কাউকে বয়ে বেরানোটা কারো কারো হয়, কারো কারো হয়না।
বেলা ফুরালেই মানুষ একা। মানুষ একা হয় সমুদ্রের মতো। পাহাড়ের মতো। নিজের ছায়ার মতো।
সম্পর্ক ব্যপারটা প্রথম প্রথমই সুন্দর। শুরুর দিকে এটাকে অলংকারের মতো লাগে। কত দ্রুত এই অলংকার গলায় ঝুলানো যায়, সেই চেষ্টাটাই আমরা বেশি করি।
অলংকার ব্যপারটা খারাপ না, তবে এই অলংকার এক সময় শেকল হয়ে যায়।
গলায় শেকল আটকে গেলে মানুষ মুক্তি চায়। সে শেকল স্বর্নের মতো দামি হলেও, ওটার প্রয়োজন ফুরায়।
আমি ততোক্ষন পর্যন্ত নিজেকে একটা আলাদা স্পেসে রাখি, যতক্ষন আমি কারো অলংকার থেকে শেকলের মতো না হয়ে যাই।
অলংকার ব্যপারটা খারাপ না, তবে এই অলংকার এক সময় শেকল হয়ে যায়।
গলায় শেকল আটকে গেলে মানুষ মুক্তি চায়। সে শেকল স্বর্নের মতো দামি হলেও, ওটার প্রয়োজন ফুরায়।
আমি ততোক্ষন পর্যন্ত নিজেকে একটা আলাদা স্পেসে রাখি, যতক্ষন আমি কারো অলংকার থেকে শেকলের মতো না হয়ে যাই।
বেশ কিছুদিন হলো একটা নতুন সম্পর্কের মধ্যে আছি। আমার বয়সের সাথে তার বয়সটার একটা বড় পার্থক্য আছে।
আমি ভালোবাসার ক্ষেত্রে এখন সচেতন। জীবনে ঠকতে ঠকতে ঠকাতে ঠকাতে মানুষ তার হৃদয়ের কোমলতাকে লুকাতে শিখে যায়।
আমাদের সম্পর্কটা আজকাল দিব্যি চলছে। আমি জানি, একদিন হয়তো আর চলবেনা। হুট করে পুরাতন গাড়ির মতো মাঝপথে আটকে যাবে সব। থেমে যাবে সমস্ত আবেগের ফুলঝুরি।
এভাবেই তো থেমে যায় কত গল্প। নষ্ট হয়ে যাওয়া গাড়িতে যাত্রীরা অপেক্ষা করেনা। নতুন গাড়িতে উঠতে হয়।
জীবনের সময়কাল তো অল্প। এখানে থেমে থাকার সুযোগ নেই। আমি যেমন ক্লান্তিকে পিছু ঠেলে আবার হাটতে শুরু করেছিলাম সেই পথশিশুর করুনার গোলাপ নিয়ে, তেমনি মানুষ সম্পর্ক ভেঙে নতুন সম্পর্কের সাথে পথচলা শুরু করে।
আমাদের ঘরে ফেরার তাড়া অনেক। কিছুর জন্যই কিছু থেমে থাকেনা। গন্তব্যে পৌছাতে হবে ঠিক সময়ে, এটাই চিরন্তন।
আমি ভালোবাসার ক্ষেত্রে এখন সচেতন। জীবনে ঠকতে ঠকতে ঠকাতে ঠকাতে মানুষ তার হৃদয়ের কোমলতাকে লুকাতে শিখে যায়।
আমাদের সম্পর্কটা আজকাল দিব্যি চলছে। আমি জানি, একদিন হয়তো আর চলবেনা। হুট করে পুরাতন গাড়ির মতো মাঝপথে আটকে যাবে সব। থেমে যাবে সমস্ত আবেগের ফুলঝুরি।
এভাবেই তো থেমে যায় কত গল্প। নষ্ট হয়ে যাওয়া গাড়িতে যাত্রীরা অপেক্ষা করেনা। নতুন গাড়িতে উঠতে হয়।
জীবনের সময়কাল তো অল্প। এখানে থেমে থাকার সুযোগ নেই। আমি যেমন ক্লান্তিকে পিছু ঠেলে আবার হাটতে শুরু করেছিলাম সেই পথশিশুর করুনার গোলাপ নিয়ে, তেমনি মানুষ সম্পর্ক ভেঙে নতুন সম্পর্কের সাথে পথচলা শুরু করে।
আমাদের ঘরে ফেরার তাড়া অনেক। কিছুর জন্যই কিছু থেমে থাকেনা। গন্তব্যে পৌছাতে হবে ঠিক সময়ে, এটাই চিরন্তন।
এই যে কত কত মানুষকে দেখেছি, মরে যেতে চায় মানুষহীনতায়; কই, সবাই তো বেঁচে থাকে। রোজ রোজ নিয়ম করে দুবেলা ভাত খায়। রাত হলে ঘুমায়। হাতের নখ সপ্তাহে একবার ঠিকই কাটে। চুল আঠা আঠা হয়ে গেলে আধ ঘন্টা সময় নিয়ে চুলে শ্যাম্পু করে।
মানুষ আসলে মানুষহীনতায় মরে না। মানুষ বেঁচে থাকতে ভালোবাসে নিজের জন্য।
মানুষ আসলে মানুষহীনতায় মরে না। মানুষ বেঁচে থাকতে ভালোবাসে নিজের জন্য।
একসময় আমার একটা সম্পর্ক ছিল। আমাদের হাজারো গল্প জমা করা আছে বুক পকেটে।
আমরা একজন অন্যজনের আঙুল ধরে মাইলের পর মাইল হেটে যাওয়ার স্মৃতি জমিয়ে রেখেছি মস্তিষ্কের এপিটাফে।
আমাদের একসাথে থাকার কথা ছিল! একই ঘরে! একই ছাদের নিচে! পাশাপাশি বালিশে!
কই, সেই মানুষ তো এখন নেই। তবুও আমরা দুজনই পৃথিবীর দু প্রান্তে যে যার যার মতো করে বেঁচে থাকি! একজন এখন আর জানিনা অন্যজনের হাউজ নাম্বার! মোবাইল নাম্বার! চিঠি লিখার পোষ্টাল কোড!
আমরা একজন অন্যজনের আঙুল ধরে মাইলের পর মাইল হেটে যাওয়ার স্মৃতি জমিয়ে রেখেছি মস্তিষ্কের এপিটাফে।
আমাদের একসাথে থাকার কথা ছিল! একই ঘরে! একই ছাদের নিচে! পাশাপাশি বালিশে!
কই, সেই মানুষ তো এখন নেই। তবুও আমরা দুজনই পৃথিবীর দু প্রান্তে যে যার যার মতো করে বেঁচে থাকি! একজন এখন আর জানিনা অন্যজনের হাউজ নাম্বার! মোবাইল নাম্বার! চিঠি লিখার পোষ্টাল কোড!
একসাথে থাকার কথা থাকলেও সবাই একসাথে থাকতে পারেনা। থাকা হয়না। হয়ে উঠেনা। সময়, প্রয়োজন এবং চাহিদা মানুষের গন্তব্য পরিবর্তন করে দেয়।
আমরা একসাথে থাকবো বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সেসব আবছা হয়ে গেছে স্মৃতিতে। পাশের বালিশে ঘুমাতে ঘুমাতে তার পরিচিত হয়েছে নতুন মুখ। আমিও আজকাল নতুন আঙুল ধরেছি প্রতারকের মতন।
আমাদের জীবনের সময়কাল তো অল্প! খুব শিঘ্রই ঘরে ফিরতে হবে।
গন্তব্যে ফেরার তাড়া আমাদের ভীষন। কারো জন্য কারো জীবন থামেনা। যেমন টাকাহীন পকেট আমার ঘরে ফেরা আটকাতে পারেনি, তেমনি মানুষও সবসময় একটা মানুষের মাঝে আটকে থাকেনা।
আমরা একসাথে থাকবো বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সেসব আবছা হয়ে গেছে স্মৃতিতে। পাশের বালিশে ঘুমাতে ঘুমাতে তার পরিচিত হয়েছে নতুন মুখ। আমিও আজকাল নতুন আঙুল ধরেছি প্রতারকের মতন।
আমাদের জীবনের সময়কাল তো অল্প! খুব শিঘ্রই ঘরে ফিরতে হবে।
গন্তব্যে ফেরার তাড়া আমাদের ভীষন। কারো জন্য কারো জীবন থামেনা। যেমন টাকাহীন পকেট আমার ঘরে ফেরা আটকাতে পারেনি, তেমনি মানুষও সবসময় একটা মানুষের মাঝে আটকে থাকেনা।
এই যে আজকের যে মানুষ আছে জীবনে, একদিন হয়তো থাকবেনা। তবুও কি থেমে থাকা যায়? যায়না!
চলতে হয়। হাটতে হয়। ক্লান্ত লাগলে জিরিয়ে নিতে হয়। একটু জিরিয়ে আবার চলতে হয় গন্তব্যের দিকে।
চলতে হয়। হাটতে হয়। ক্লান্ত লাগলে জিরিয়ে নিতে হয়। একটু জিরিয়ে আবার চলতে হয় গন্তব্যের দিকে।
আমি কারো সাথে যতক্ষনই থাকিনা কেন, করুনা নিয়ে থাকিনা।
করুনা ব্যপারটা আমি নিতে পারিনা। আমি একসাথে কারো সাথে চলতে চলতে মাথায় সেট করে রাখি, এই পাশের মানুষটা হুট করে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে।
যে মানুষ একবার অদৃশ্য হয়ে যায়, তাকে খুঁজে এনে আবার আঙুল ধরার অভ্যেসটা আমার নেই। আমি ফুলের জন্য যেমন মেয়েটাকে ৫ টাকা দিইনি, তেমনি ভালোবাসার বেলায়ও প্রতিদান চাইনা।
কেউ কেউ পাশে পরে থাকা গোলাপের মতো ঠিকই জীবনে রয়ে যাবে, এটাই বিশ্বাস!
করুনা ব্যপারটা আমি নিতে পারিনা। আমি একসাথে কারো সাথে চলতে চলতে মাথায় সেট করে রাখি, এই পাশের মানুষটা হুট করে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে।
যে মানুষ একবার অদৃশ্য হয়ে যায়, তাকে খুঁজে এনে আবার আঙুল ধরার অভ্যেসটা আমার নেই। আমি ফুলের জন্য যেমন মেয়েটাকে ৫ টাকা দিইনি, তেমনি ভালোবাসার বেলায়ও প্রতিদান চাইনা।
কেউ কেউ পাশে পরে থাকা গোলাপের মতো ঠিকই জীবনে রয়ে যাবে, এটাই বিশ্বাস!
একটা গল্প লিখতে গিয়ে অন্য গল্পে চলে গেলাম হুট করে।
জীবন এমনই, এখানেও নির্দিষ্ট কোন গল্প থাকেনা। গল্পের ফাঁকে ফাঁকে আরো অনেক গল্প ঢুকে যায়। মানুষ আসে, মানুষ চলে যায় সময়ে অসময়ে, কারনে অকারনে।
তবুও পথ চলতে চলতে গন্তব্যে ফিরতে হয় একা অথবা অন্য কোন নতুন মানুষকে সাথে নিয়ে!
জীবন এমনই, এখানেও নির্দিষ্ট কোন গল্প থাকেনা। গল্পের ফাঁকে ফাঁকে আরো অনেক গল্প ঢুকে যায়। মানুষ আসে, মানুষ চলে যায় সময়ে অসময়ে, কারনে অকারনে।
তবুও পথ চলতে চলতে গন্তব্যে ফিরতে হয় একা অথবা অন্য কোন নতুন মানুষকে সাথে নিয়ে!
গন্তব্যে ফেরার প্রয়োজনকে অস্বীকার করার কোন সুযোগ আমাদের নেই! যার সাথেই হোক না কেন, দিনশেষে ঘরে ফিরতে হবেই।
Comments
Post a Comment