আমাকে একদিন একজন বললো, এখনো পর্যন্ত সে তিন বার মরে যাওয়ার চেষ্টা করেছে।
আমি এই কথা শুনো ফিক করে হেসে দিলাম। সে বললো, আপনি হাসলেন কেন? এটা কি হাসির কথা?
আমি বললাম-
তোমার মৃত্যুতে আমার কষ্ট পাওয়ারই বা কি আছে?
সে বললো-
তবুও, মানুষ তো একটু মানবিকতা দেখায়!
আমি বললাম-
আসলেই, মৃত্যু সংবাদে মানুষ একটু মানবিকতা তো দেখায়ই।
তুমি মরে গেলে, আমি মন খারাপ করে তোমার নিথর শরীরের সামনে যেয়ে দাঁড়িয়ে একবার বলে আসবো- ইশ, মানুষটা খুব ভালো ছিল!
তারপর, বাসায় এসে চিকেন ফ্রাইয়ের শরীরে চিলি সর্স মাখিয়ে খাওয়া শুরু করবো এবং আমার সামনে টিভিতে চলতে থাকবে টম এন্ড জেরি কার্টুন। আমি হাসতে হাসতে সোফায় গড়াগড়ি খাবো।
সে বললো-
আমার মৃত্যু শোক কি কেবল কয়েক ঘন্টাও স্থায়ী হবেনা?
আমি বললাম-
কারো চলে যাওয়ার ব্যথাই চিরস্থায়ী হয়না! জীবিত মানুষের চলে যাওয়া যতটুকু কষ্ট দেয়, মৃত মানুষের চলে যাওয়া অত'টা দিতে পারেনা।
আমি এই কথা শুনো ফিক করে হেসে দিলাম। সে বললো, আপনি হাসলেন কেন? এটা কি হাসির কথা?
আমি বললাম-
তোমার মৃত্যুতে আমার কষ্ট পাওয়ারই বা কি আছে?
সে বললো-
তবুও, মানুষ তো একটু মানবিকতা দেখায়!
আমি বললাম-
আসলেই, মৃত্যু সংবাদে মানুষ একটু মানবিকতা তো দেখায়ই।
তুমি মরে গেলে, আমি মন খারাপ করে তোমার নিথর শরীরের সামনে যেয়ে দাঁড়িয়ে একবার বলে আসবো- ইশ, মানুষটা খুব ভালো ছিল!
তারপর, বাসায় এসে চিকেন ফ্রাইয়ের শরীরে চিলি সর্স মাখিয়ে খাওয়া শুরু করবো এবং আমার সামনে টিভিতে চলতে থাকবে টম এন্ড জেরি কার্টুন। আমি হাসতে হাসতে সোফায় গড়াগড়ি খাবো।
সে বললো-
আমার মৃত্যু শোক কি কেবল কয়েক ঘন্টাও স্থায়ী হবেনা?
আমি বললাম-
কারো চলে যাওয়ার ব্যথাই চিরস্থায়ী হয়না! জীবিত মানুষের চলে যাওয়া যতটুকু কষ্ট দেয়, মৃত মানুষের চলে যাওয়া অত'টা দিতে পারেনা।
এই যে একটু হতাশায় আমাদের মরে যেতে ইচ্ছে হয়, কারো চলে যাওয়াতে দুঃখ দুঃখ লাগে, এই যে কিছু মানুষকে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা চলে যেতে চাই, এসব কেবল বোকামি!
মরে যাওয়ার মতো সহজ কোন কাজ পৃথিবীতে নেই। বেঁচে থাকাটাই বরং কঠিন।
আমি সবসময় কঠিনটাই বেছে নিতে পছন্দ করি। যে জীবনে চ্যালেঞ্জ থাকেনা, ওটা কোন জীবনই না।
মরে যাওয়ার মতো সহজ কোন কাজ পৃথিবীতে নেই। বেঁচে থাকাটাই বরং কঠিন।
আমি সবসময় কঠিনটাই বেছে নিতে পছন্দ করি। যে জীবনে চ্যালেঞ্জ থাকেনা, ওটা কোন জীবনই না।
ঠিক কি কারনে মানুষ মরে যেতে চায়?
মানুষ মরে যেতে চাওয়ার পেছনে হাতে গনা কয়েকটা কারন আছে।
এই যেমন খুব কাছের কেউ প্রতারণা করলে, পরিবারে নিজের গুরুত্বটা ঠিকঠাক বুঝাতে না পারলে, অর্থনৈতিক চাপে পরলে, ভালোবাসার মানুষ বিশ্বাসঘাতকতা করলে, মা-বাবার সম্পর্কে ফাটল ধরলে, কেউই তোমাকে বুঝতে না চাইলে, পরীক্ষার ফলাফল মন মতো না হলে, পাশের বাসার আন্টির খোঁচা মারলে, এরকম আরো কিছু কারনই তো, তাই না?
মানুষ মরে যেতে চাওয়ার পেছনে হাতে গনা কয়েকটা কারন আছে।
এই যেমন খুব কাছের কেউ প্রতারণা করলে, পরিবারে নিজের গুরুত্বটা ঠিকঠাক বুঝাতে না পারলে, অর্থনৈতিক চাপে পরলে, ভালোবাসার মানুষ বিশ্বাসঘাতকতা করলে, মা-বাবার সম্পর্কে ফাটল ধরলে, কেউই তোমাকে বুঝতে না চাইলে, পরীক্ষার ফলাফল মন মতো না হলে, পাশের বাসার আন্টির খোঁচা মারলে, এরকম আরো কিছু কারনই তো, তাই না?
মানুষের মরে যাওয়ার কয়েকটা কারন থাকতে পারে, অথচ মানুষের বেঁচে থাকার হাজারটা কারন আছে!
তোমার মৃত্যুতে এই পৃথিবীর কিচ্ছু যায় আসেনা, এমনকি তোমার বেঁচে থাকাতেও না।
আমাদের বেঁচে থাকতে হয় নিজের জন্য! আজকে মরে গেলে, দু একদিন খুব কাছের মানুষরা কষ্ট অনুভব করবে।
দুদিন খেতে পারবেনা। ঘুমাতে পারবেনা। হুটহাট চোখ দিয়ে জল পরে যাবে।
তারপর, তারপর তোমার স্মৃতি আবছা হয়ে যাবে। আলনায় ঝুলিয়ে রাখা তোমার জামা কাপর স্তুপ করে বস্তায় ভরে সেটা দিয়ে হাড়ি পাতিল রাখা হবে।
আয়নায় লাগিয়ে রাখা তোমার কপালের টিপটা ক'দিন পর আর আয়নায় থাকবেনা।
তোমার হাত ধরে একজীবন বাঁচতে চাওয়া মানুষ, নতুন হাত ধরে নিবে।
মানুষের শূন্যতা বেশিদিন থাকে না। একজনের শূন্যস্থানে আরেকজন বসে যায়!
আমাদের বেঁচে থাকতে হয় নিজের জন্য! আজকে মরে গেলে, দু একদিন খুব কাছের মানুষরা কষ্ট অনুভব করবে।
দুদিন খেতে পারবেনা। ঘুমাতে পারবেনা। হুটহাট চোখ দিয়ে জল পরে যাবে।
তারপর, তারপর তোমার স্মৃতি আবছা হয়ে যাবে। আলনায় ঝুলিয়ে রাখা তোমার জামা কাপর স্তুপ করে বস্তায় ভরে সেটা দিয়ে হাড়ি পাতিল রাখা হবে।
আয়নায় লাগিয়ে রাখা তোমার কপালের টিপটা ক'দিন পর আর আয়নায় থাকবেনা।
তোমার হাত ধরে একজীবন বাঁচতে চাওয়া মানুষ, নতুন হাত ধরে নিবে।
মানুষের শূন্যতা বেশিদিন থাকে না। একজনের শূন্যস্থানে আরেকজন বসে যায়!
আমি বরাবরই পজিটিভ চিন্তা ভাবনা করি। আমার কাছে আমার জীবনের মূল্য অনেক।
হুটহাট কোন কিছুতেই আমার মরে যেতে ইচ্ছে হয়না। জীবনে মরে যেতে চাওয়ার কারন একটার পর একটা আসে।
আমি বেঁচে থাকার কারন খুঁজি।
হুটহাট কোন কিছুতেই আমার মরে যেতে ইচ্ছে হয়না। জীবনে মরে যেতে চাওয়ার কারন একটার পর একটা আসে।
আমি বেঁচে থাকার কারন খুঁজি।
জীবন কি যন্ত্রণার, এটার চেয়ে আমি বেশি অনুভব করি, জীবন এত সুন্দর কেন!
যেসব কারনে মানুষ মরে যেতে চায়, ঠিক সেসব কারন নিয়েই কত মানুষ দিনের পর দিন বেঁচে থাকে।
অনেকে বলে, একটা মানুষ কম কষ্টে মরে যেতে চায় না!
আমি বলি, আপনার মতো স্টুপিড পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নাই।
আমাদের জীবনে মরে যাওয়ার মতো অত'টা বিশ্রী কোন কারন আসেনা।
যা আসে, সেটা আমাদের নিজেদেরই বানানো।
যেসব কারনে মানুষ মরে যেতে চায়, ঠিক সেসব কারন নিয়েই কত মানুষ দিনের পর দিন বেঁচে থাকে।
অনেকে বলে, একটা মানুষ কম কষ্টে মরে যেতে চায় না!
আমি বলি, আপনার মতো স্টুপিড পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নাই।
আমাদের জীবনে মরে যাওয়ার মতো অত'টা বিশ্রী কোন কারন আসেনা।
যা আসে, সেটা আমাদের নিজেদেরই বানানো।
জীবনে খারাপ সময় আসে! শুধু তোমার জীবনেই না, সবার জীবনে আসে!
সবাই তো মরে যায়না! একটু হতাশায় মরে যেতে হলে, পৃথিবী এক সপ্তাহের মধ্যে জনমানবহীন হয়ে যাবে।
একটু দুঃখ কষ্ট অবহেলায়, মৃত্যুকেই মুক্তি মনে হলে, তোমার চিন্তার পরিপক্কতা এখনো আসেনি।
আমাকে তুমি এমন একটা কারন দেখাও, যার কোন সমাধান নাই।
যার জন্য মরে যাওয়া বাধ্যতামূলক! পৃথিবীতে এমন একটাও কারন নাই।
সমাধানহীন কোন সমস্যা প্রকৃতি সৃষ্টি করেনা।
সবাই তো মরে যায়না! একটু হতাশায় মরে যেতে হলে, পৃথিবী এক সপ্তাহের মধ্যে জনমানবহীন হয়ে যাবে।
একটু দুঃখ কষ্ট অবহেলায়, মৃত্যুকেই মুক্তি মনে হলে, তোমার চিন্তার পরিপক্কতা এখনো আসেনি।
আমাকে তুমি এমন একটা কারন দেখাও, যার কোন সমাধান নাই।
যার জন্য মরে যাওয়া বাধ্যতামূলক! পৃথিবীতে এমন একটাও কারন নাই।
সমাধানহীন কোন সমস্যা প্রকৃতি সৃষ্টি করেনা।
অল্প একটু সাময়িক সমস্যায় যারা মরে যেতে চায়, তাদের জন্য আমার আফসোস হয়।
ছোট্ট একটা জীবনকে সামলাতে পারো না, তবে মানুষ হয়ে এসেছো কেন?
ছোট্ট একটা জীবনকে সামলাতে পারো না, তবে মানুষ হয়ে এসেছো কেন?
বেশ কিছুদিন আগে এক মেয়ে তার ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে, সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে গিয়েছিলো।
তার মৃত্যুর তিনদিন পর বাসায় জম্পেস খানাপিনার আয়োজন করা হয়েছে।
খানাপিনার আয়োজন করা হয়েছে এই কারনে যে, যাতে ভরপেট খাওয়ার পর মানুষের ভেতর থেকে একটা দোয়া আসে।
তোমার জীবনের মূল্য কতটুকু, যেখানে মানুষকে খাইয়ে তারপর দোয়া আনতে হয়।
তোমার মৃত্যুর পর পৃথিবীর কাছে তোমার আর কোন মূল্য নেই। মূল্যহীন জিনিস নিয়ে মানুষ পরে থাকেনা।
তার মৃত্যুর তিনদিন পর বাসায় জম্পেস খানাপিনার আয়োজন করা হয়েছে।
খানাপিনার আয়োজন করা হয়েছে এই কারনে যে, যাতে ভরপেট খাওয়ার পর মানুষের ভেতর থেকে একটা দোয়া আসে।
তোমার জীবনের মূল্য কতটুকু, যেখানে মানুষকে খাইয়ে তারপর দোয়া আনতে হয়।
তোমার মৃত্যুর পর পৃথিবীর কাছে তোমার আর কোন মূল্য নেই। মূল্যহীন জিনিস নিয়ে মানুষ পরে থাকেনা।
তুমি মরে যাওয়ার সময় ভাবতে পারো, তোমার শূন্যতাটা সবাই বুঝুক!
অথচ, দিনশেষে মানুষ তার নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যায়। কারো শূণ্যতায় কারো কিচ্ছু যায় আসেনা।
তোমার একার চলে যাওয়াতে পৃথিবীর একটা কোণাও বদলাবেনা।
ইউ আর নাথিং আফটার ডেথ।
অথচ, দিনশেষে মানুষ তার নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যায়। কারো শূণ্যতায় কারো কিচ্ছু যায় আসেনা।
তোমার একার চলে যাওয়াতে পৃথিবীর একটা কোণাও বদলাবেনা।
ইউ আর নাথিং আফটার ডেথ।
জীবনে দুঃখ কষ্ট হতাশা আসবেই। এটাই জীবনের রহস্য।
এসব দুঃখ কষ্ট অপ্রাপ্তিতে মরে যেতে নেই। জগতের সমস্ত দুঃখ কষ্টই সাময়িক।
তুমি বেঁচে থাকলেই টের পাবে, আজকের মরে যাওয়ার কারনই আগামীকাল তোমার হাসির কারন হবে।
এসব দুঃখ কষ্ট অপ্রাপ্তিতে মরে যেতে নেই। জগতের সমস্ত দুঃখ কষ্টই সাময়িক।
তুমি বেঁচে থাকলেই টের পাবে, আজকের মরে যাওয়ার কারনই আগামীকাল তোমার হাসির কারন হবে।
জীবনে এমন একটা প্রেম আসেনা, যখন মনে হয়, তাকে ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব!
অথচ, সে মানুষটা চলে যাওয়ার পরও আমরা দিব্যি বেঁচে থাকি।
বছরের পর বছর কষ্ট হওয়ার পর একদিন আর মনেও পরে না মানুষটাকে।
মনে পরে, নির্দিষ্ট কোন দিনে। পরিচিত রাস্তায়। ফুচকার দোকানে।
সময়ের সাথে সাথে সবকিছু আবছা হয়ে যায়।
অথচ, সে মানুষটা চলে যাওয়ার পরও আমরা দিব্যি বেঁচে থাকি।
বছরের পর বছর কষ্ট হওয়ার পর একদিন আর মনেও পরে না মানুষটাকে।
মনে পরে, নির্দিষ্ট কোন দিনে। পরিচিত রাস্তায়। ফুচকার দোকানে।
সময়ের সাথে সাথে সবকিছু আবছা হয়ে যায়।
আমি আমার বেঁচে থাকাটাকে প্রচন্ড উপভোগ করি। আমি ভাবতে থাকি, মরে গেলে মানুষ আর আকাশ দেখতে পারেনা, নাহ?
সমুদ্র পাড়ে বসে রং চা খাওয়ার আনন্দ কেমন, সেটা না দেখেই মানুষ কি করে মরে যায়?
ইশ, মরে গেলে মাঝরাতে পায়ের নখে নেলপলিশ দেওয়ার ইচ্ছে হয়না।
বাসা ফাঁকা হলেই, শাড়ি পরে কেউ আর আয়নায় নিজেকে দেখে না।
টং দোকানে বসে বন্ধুর সাথে সিগারেট ভাগ করে খাওয়া যায়না।
আমি ভাবি, মরে গেলেই জীবন শেষ। এত্ত ছোট্ট একটা জীবনকে সামলাতে না পারার মতো ব্যর্থতা আর কি ই বা হতে পারে!
আমি ভাবতে থাকি, মরে গেলেই আর স্মৃতি বাড়বেনা। ড্রয়িং রুমের সোফায় পা তুলে টম এন্ড জেরির কার্টুন দেখা যাবেনা।
মরে গেলেই গল্প শেষ!
উপন্যাসের শেষ পাতায় যেয়ে টুপ করে চোখ থেকে জল পরার আর কোন সম্ভাবনাই নেই।
সমুদ্র পাড়ে বসে রং চা খাওয়ার আনন্দ কেমন, সেটা না দেখেই মানুষ কি করে মরে যায়?
ইশ, মরে গেলে মাঝরাতে পায়ের নখে নেলপলিশ দেওয়ার ইচ্ছে হয়না।
বাসা ফাঁকা হলেই, শাড়ি পরে কেউ আর আয়নায় নিজেকে দেখে না।
টং দোকানে বসে বন্ধুর সাথে সিগারেট ভাগ করে খাওয়া যায়না।
আমি ভাবি, মরে গেলেই জীবন শেষ। এত্ত ছোট্ট একটা জীবনকে সামলাতে না পারার মতো ব্যর্থতা আর কি ই বা হতে পারে!
আমি ভাবতে থাকি, মরে গেলেই আর স্মৃতি বাড়বেনা। ড্রয়িং রুমের সোফায় পা তুলে টম এন্ড জেরির কার্টুন দেখা যাবেনা।
মরে গেলেই গল্প শেষ!
উপন্যাসের শেষ পাতায় যেয়ে টুপ করে চোখ থেকে জল পরার আর কোন সম্ভাবনাই নেই।
বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক ভাবে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে আছি।
সুইসাইডাল টেন্ডেন্সি থাকলে, এসব ছোট্ট কারনেও মরে যাওয়া যায়।
আমি বরাবরই বাস্তববাদী মানুষ। জীবনকে খুব কাছ থেকে দেখি।
বেঁচে থাকাকে খুব উপভোগ করি। সেদিন ঢাকা থেকে গ্রামে গিয়েছিলাম অফিসের একটা কাজে। যেহেতু বাসার কাছাকাছিই কাজ, তাই ১০ মিনিটের জন্য বাড়ি গিয়েছিলাম।
মা আদর করে খেতে দিয়েছে। ৫৫০০ টাকা দিয়ে ৪ টা ইলিশ মাছ কিনেছে।
বাসায় যেয়ে দেখি, আমার জন্য ইলিশ ভাজা, সরিসা ইলিশ, দেশি মুরগি, বেলে মাছ, করল্লা ভাজি, মাছের ডিম, ডাল রান্না করে রাখছে।
মা আদর করে খাইয়ে দিচ্ছে। বললাম, মাছটা তো খুব ভালো। আর অনেক বড় মাছ বোধয়।
মা বলে, খাও বাবা।
আমি দেখি মায়ের মুখটা মলিন। আমি বললাম, তুমি খেয়েছো।
ছোট বোন পাশ থেকে বলে, ৩ দিন ধরে মাছ মুখেও দেয়না।
আমি জিজ্ঞেস করলাম- খাও নাই কেন?
মা কাঁদতে কাঁদতে বলে-
আমার পোলাটা এই মাছ খায় নাই, আমার গলা দিয়ে এই মাছ কেমনে নামবে?
আমি বাসা থেকে আসার সময় ভাবলাম, শুধু মায়ের এই যত্নটুকুর জন্যই তো বেঁচে থাকা যায়।
সুইসাইডাল টেন্ডেন্সি থাকলে, এসব ছোট্ট কারনেও মরে যাওয়া যায়।
আমি বরাবরই বাস্তববাদী মানুষ। জীবনকে খুব কাছ থেকে দেখি।
বেঁচে থাকাকে খুব উপভোগ করি। সেদিন ঢাকা থেকে গ্রামে গিয়েছিলাম অফিসের একটা কাজে। যেহেতু বাসার কাছাকাছিই কাজ, তাই ১০ মিনিটের জন্য বাড়ি গিয়েছিলাম।
মা আদর করে খেতে দিয়েছে। ৫৫০০ টাকা দিয়ে ৪ টা ইলিশ মাছ কিনেছে।
বাসায় যেয়ে দেখি, আমার জন্য ইলিশ ভাজা, সরিসা ইলিশ, দেশি মুরগি, বেলে মাছ, করল্লা ভাজি, মাছের ডিম, ডাল রান্না করে রাখছে।
মা আদর করে খাইয়ে দিচ্ছে। বললাম, মাছটা তো খুব ভালো। আর অনেক বড় মাছ বোধয়।
মা বলে, খাও বাবা।
আমি দেখি মায়ের মুখটা মলিন। আমি বললাম, তুমি খেয়েছো।
ছোট বোন পাশ থেকে বলে, ৩ দিন ধরে মাছ মুখেও দেয়না।
আমি জিজ্ঞেস করলাম- খাও নাই কেন?
মা কাঁদতে কাঁদতে বলে-
আমার পোলাটা এই মাছ খায় নাই, আমার গলা দিয়ে এই মাছ কেমনে নামবে?
আমি বাসা থেকে আসার সময় ভাবলাম, শুধু মায়ের এই যত্নটুকুর জন্যই তো বেঁচে থাকা যায়।
বেঁচে থাকার এত হাজার হাজার কারন লাগেনা। দু একটা নির্দিষ্ট কারনেই বেঁচে থাকা যায়।
আমার জীবনের জটিলতা কম। জীবনকে আমি সহজ ভাবে দেখি।
হতাশা তো জীবনের একটা অংশ মাত্র, এটাকে বাদ দিয়ে কোন জীবন হয়না।
হতাশা তো জীবনের একটা অংশ মাত্র, এটাকে বাদ দিয়ে কোন জীবন হয়না।
মরে গেলে, পৃথিবী তার নিজের নিয়মেই চলবে।
তোমার আমার চলে যাওয়াতে পৃথিবীর কোন কিছুই কাঁদবেনা।
আমরা মূলত নিজের জন্য কেবল নিজেই। বেঁচে থাকতে হলে, নিজেকে ভালোবাসতে শিখতে হয়।
যে নিজেকে ভালোবাসতে পারেনা, তার বেঁচে থাকার প্রয়োজনও নেই।
তোমার আমার চলে যাওয়াতে পৃথিবীর কোন কিছুই কাঁদবেনা।
আমরা মূলত নিজের জন্য কেবল নিজেই। বেঁচে থাকতে হলে, নিজেকে ভালোবাসতে শিখতে হয়।
যে নিজেকে ভালোবাসতে পারেনা, তার বেঁচে থাকার প্রয়োজনও নেই।
এত এত মরে যাওয়ার কারনের ভিড়ে, আমি একবার বেঁচে ছিলাম শুধু মাত্র ট্রেন টু পাকিস্তান বইয়ের বাকি অর্ধেক পড়ার জন্য।
Comments
Post a Comment