প্রেম ভালোবাসার বাইরের জীবনটা কেমন?
এই অনুভব ক্ষমতাটা ২৩-২৪ বছর বয়সেই বুঝা যায়না!
এই বয়সটা প্রচন্ড রোমান্টিসিজম পছন্দ করে!
ভাল্লাগে প্রেমিকার হাত! জেগে থাকা রাত! সোনালী প্রভাত!
এই বয়সটা অভিমান, অভিযোগ, মুগ্ধতা বয়ে বেরানোর বয়স।
২৪ বছর বয়সে আমরা ভাবি, আমরা বড় হয়ে গেছি! আমরা ম্যাচিউর হয়ে গেছি!
আমরা বুঝে গেছি, জীবনের ডেফিনেশন! বেঁচে থাকার মানে!
এই অনুভব ক্ষমতাটা ২৩-২৪ বছর বয়সেই বুঝা যায়না!
এই বয়সটা প্রচন্ড রোমান্টিসিজম পছন্দ করে!
ভাল্লাগে প্রেমিকার হাত! জেগে থাকা রাত! সোনালী প্রভাত!
এই বয়সটা অভিমান, অভিযোগ, মুগ্ধতা বয়ে বেরানোর বয়স।
২৪ বছর বয়সে আমরা ভাবি, আমরা বড় হয়ে গেছি! আমরা ম্যাচিউর হয়ে গেছি!
আমরা বুঝে গেছি, জীবনের ডেফিনেশন! বেঁচে থাকার মানে!
জীবন যুদ্ধটা মূলত শুরু হয় এই বয়সটা কাটিয়ে উঠার পর!
আমরা বড় হই তখন, যখন মুগ্ধতা ফুরাতে শুরু করে!
আমাদের ম্যাচিউরিটি আসে, দায়িত্ববোধ মাথার উপরে আসার পর!
জীবন আসলে রোমান্টিসিজমে চলে না।
আমরা বড় হই তখন, যখন মুগ্ধতা ফুরাতে শুরু করে!
আমাদের ম্যাচিউরিটি আসে, দায়িত্ববোধ মাথার উপরে আসার পর!
জীবন আসলে রোমান্টিসিজমে চলে না।
একটা সদ্য গ্রাজুয়েট হওয়া ২৪ বছরের যুবক জানে, কোমল হাত চাইলেই ধরা যায়না!
শুধু ভালোবাসা দিয়ে জীবন চলে না! টিকে থাকা এবং টিকিয়ে রাখার লড়াইটা ভীষন কঠিন!
শুধু ভালোবাসা দিয়ে জীবন চলে না! টিকে থাকা এবং টিকিয়ে রাখার লড়াইটা ভীষন কঠিন!
আমার প্রধান প্রেমিকার যখন বিয়ে হয়, তখন আমি ইউনিভার্সিটি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র!
আমাদের তুমুল প্রেম এবং আমরা সমবয়সী! আমি যখন মাত্র যুবক হতে শুরু করেছি, তখন আমার প্রেমিকা একজন পূর্নাঙ্গ যুবতী!
আমাদের তুমুল প্রেম এবং আমরা সমবয়সী! আমি যখন মাত্র যুবক হতে শুরু করেছি, তখন আমার প্রেমিকা একজন পূর্নাঙ্গ যুবতী!
আমি একটা মিডল ক্লাস ফ্যামিলি বিলং করি! অন্য দশটা পরিবারের মতন আমার বাবার যথেষ্ট টাকা ছিল না!
আমি আমার অন্য বন্ধুদের মতো হুট করে বিয়ে করে বউকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার মতো অত'টা সাহসী ছিলাম না!
আমার মাথার উপর দায়িত্ববোধ ভর করেছিলো ভীষন ভাবে!
আমি তখন দুটো টিউশনি করতাম! একটা ৩০০০ টাকার আরেকটা ৪০০০ টাকার! বাসা থেকে টাকা নিতাম না।
৭০০০ টাকা দিয়ে মেসের ভাড়া, খাবার খরচ, ভার্সিটি যাতায়াত আর টুকটাক খরচ চালাতাম!
তবুও, মাসের শেষে এসে পকেট ফাঁকা থাকতো! এই সময় প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেলে, তাকিয়ে তাকিয়ে দেখা ছাড়া, আর কিছু করার থাকেনা!
আমি দেখলাম, কষ্ট পেলাম, সহ্য করলাম!
আমি আমার অন্য বন্ধুদের মতো হুট করে বিয়ে করে বউকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার মতো অত'টা সাহসী ছিলাম না!
আমার মাথার উপর দায়িত্ববোধ ভর করেছিলো ভীষন ভাবে!
আমি তখন দুটো টিউশনি করতাম! একটা ৩০০০ টাকার আরেকটা ৪০০০ টাকার! বাসা থেকে টাকা নিতাম না।
৭০০০ টাকা দিয়ে মেসের ভাড়া, খাবার খরচ, ভার্সিটি যাতায়াত আর টুকটাক খরচ চালাতাম!
তবুও, মাসের শেষে এসে পকেট ফাঁকা থাকতো! এই সময় প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেলে, তাকিয়ে তাকিয়ে দেখা ছাড়া, আর কিছু করার থাকেনা!
আমি দেখলাম, কষ্ট পেলাম, সহ্য করলাম!
তারপর কত্ত রাত ঘুম হয়নি! খেতে ইচ্ছে হয়নি! স্মৃতি বয়ে বেরিয়েছি অভুক্ত শিশুর মতো!
মানুষটা নেই, তবুও কি একটা অদ্ভুত বিশ্বাস ছিল, মানুষটা আসবে!
সময় চলে যায়, চলে যাওয়া মানুষ আর আসেনা! আমি বড় হতে শুরু করলাম, বিচ্ছেদের ব্যথা নিয়ে!
আমি বুঝলাম, আমাকে বাঁচতে শিখতে হবে! তারপর একদিন আবেগের ঘোর কেটে গেলো, আমি একটু একটু করে ম্যাচিউর হলাম!
স্মৃতিরা আবছা হলো! ক্ষত শুকিয়ে গেলো! আমার জীবনের মানে বদলাতে শুরু করলো!
জীবন মানে আসলে অনেকগুলো দায়িত্ববোধের সমষ্টি।
মানুষটা নেই, তবুও কি একটা অদ্ভুত বিশ্বাস ছিল, মানুষটা আসবে!
সময় চলে যায়, চলে যাওয়া মানুষ আর আসেনা! আমি বড় হতে শুরু করলাম, বিচ্ছেদের ব্যথা নিয়ে!
আমি বুঝলাম, আমাকে বাঁচতে শিখতে হবে! তারপর একদিন আবেগের ঘোর কেটে গেলো, আমি একটু একটু করে ম্যাচিউর হলাম!
স্মৃতিরা আবছা হলো! ক্ষত শুকিয়ে গেলো! আমার জীবনের মানে বদলাতে শুরু করলো!
জীবন মানে আসলে অনেকগুলো দায়িত্ববোধের সমষ্টি।
আমার ২৪ বছরের বয়সটা কেটে যাওয়ার পর আমি আলাদা একটা পৃথিবী বানিয়েছি!
আমার এখন মনে হয়, জীবনে প্রেম ভালোবাসা মোহ মুগ্ধতার বাইরে আরো অনেক কিছু আছে!
জীবন এত'টা তুচ্ছ হতে পারেনা!
আমার এখন মনে হয়, জীবনে প্রেম ভালোবাসা মোহ মুগ্ধতার বাইরে আরো অনেক কিছু আছে!
জীবন এত'টা তুচ্ছ হতে পারেনা!
গতকাল এক ছোটভাই ফোন দিয়ে বলছিলো-
"ভাইয়া, যুথির বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে! আমি তাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না!"
আমি হাসতে হাসতে তাকে বললাম-
আমি একদিন রাতে দুপাতা সিডাক্সিন খেয়ে ঘুমিয়ে যেতে চেয়েছিলাম!
এমন ঘুম, যাতে আর কখনোই না জাগি! তারপর যখন আমার গলা দিয়ে মোটা একটা পাইপ ঢুকিয়ে পাকস্থলি থেকে ঔষুধের তরল টেনে টেনে বের করা হলো, যখন আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে লাগলো, তারপর যখন আমি সুস্থ হলাম, এরপর ঘুমের ঔষুধ দেখলে প্রচন্ড ভয় পাই!
মরে যাওয়া অত'টা সহজ না!
"ভাইয়া, যুথির বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে! আমি তাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না!"
আমি হাসতে হাসতে তাকে বললাম-
আমি একদিন রাতে দুপাতা সিডাক্সিন খেয়ে ঘুমিয়ে যেতে চেয়েছিলাম!
এমন ঘুম, যাতে আর কখনোই না জাগি! তারপর যখন আমার গলা দিয়ে মোটা একটা পাইপ ঢুকিয়ে পাকস্থলি থেকে ঔষুধের তরল টেনে টেনে বের করা হলো, যখন আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে লাগলো, তারপর যখন আমি সুস্থ হলাম, এরপর ঘুমের ঔষুধ দেখলে প্রচন্ড ভয় পাই!
মরে যাওয়া অত'টা সহজ না!
এই বয়সে তুমি যে জিনিসের জন্য মরে যেতে চাও, একদিন সেই জিনিসের কথা ভেবে নিজে নিজে হেসে উঠে বলবে "কি বোকাটাই না ছিলাম"!
মানুষ আসলে বাঁচতে ভালোবাসে! ঘোর কেটে গেলেই মানুষ টের পায়, মরে যাওয়ার মতো কঠিন কিছু পৃথিবীতে নেই!
কারো জন্য জীবন থামে না! জীবন চলে জীবনের মতো! প্রিয় মানুষের চলে যাওয়াই বরং বাঁচতে শেখায়! যতক্ষন পর্যন্ত তোমার কাছের মানুষ দূরে না যাবে, তুমি বড় হবেনা!
বেঁচে থাকার গুরুত্বটা বুঝা যায়, প্রিয় মানুষের দূরত্ব বেড়ে গেলে!
বেঁচে থাকার গুরুত্বটা বুঝা যায়, প্রিয় মানুষের দূরত্ব বেড়ে গেলে!
আমি জানি,
আমার কথায় ওই ২২ বছরের ছেলেটা সান্ত্বনা পায়নি! আমিও পাইনি একসময়!
তবুও সে একদিন বুঝে যাবে, কারো চলে যাওয়ার ব্যথা সারাজীবন থাকেনা!
আমার কথায় ওই ২২ বছরের ছেলেটা সান্ত্বনা পায়নি! আমিও পাইনি একসময়!
তবুও সে একদিন বুঝে যাবে, কারো চলে যাওয়ার ব্যথা সারাজীবন থাকেনা!
এই বয়সটাকে কোন ভাবে একবার কাটিয়ে ফেলতে পারলেই বেঁচে থাকার হাজারটা কারন সামনে এসে দাঁড়ায়!
মানুষ একসময় নিজের জন্য বাঁচতে শুরু করে! আমরা একসময় নিজেকে ভালোবাসতে শুরু করি!
মানুষ একসময় নিজের জন্য বাঁচতে শুরু করে! আমরা একসময় নিজেকে ভালোবাসতে শুরু করি!
২৩-২৪ বছর বয়সের মতো এমন বালাই পৃথিবীতে আর একটাও নেই।
বড় হও! বেড়ে উঠো!
জীবন থামবেনা কিছুতেই!
আজকে যে জিনিস তোমার বেঁচে থাকার একমাত্র কারন, কাল ভুলে যাবে সব!
তুমি টের পাবে, তোমার জীবনের মানে আসলে অন্যকিছু!
জীবন থামবেনা কিছুতেই!
আজকে যে জিনিস তোমার বেঁচে থাকার একমাত্র কারন, কাল ভুলে যাবে সব!
তুমি টের পাবে, তোমার জীবনের মানে আসলে অন্যকিছু!
রোমান্টিসিজম জীবনের একটা অংশ মাত্র; সম্পূর্ন জীবন নয়!
জীবন একটা যুদ্ধক্ষেত্র! যেখানে তুমি এখনো পৌছাতে পারোনি!
Comments
Post a Comment