কয়েকদিন আগে স্টুলিশের একটা লিংক টাইমলাইনে দিয়েছিলাম। যেখানে চাইলে নিজের নাম পরিচয় ছাড়াই প্রাপককে একটা মেসেজ দেওয়া যায়। অসংখ্য মেসেজের ভিড়ে একটা মেসেজে আমার চোখ আটকেছে। মেসেজটা অনেকটা এরকম ছিল " আপনি বোধয় আপনাকে খুব সুন্দর ভাবেন। আসলে, আপনি অত'টা সুন্দর না!"
কেউ সৌন্দর্য নিয়ে কথা বললে মন ছোট হয়ে আসে। এই মেসেজে আমি মন খারাপ না করে বরং মেসেজটা কয়েকবার পড়ে অনেকসময় ধরে হাসলাম। হাসলাম এই কারনেই যে, কিছু মানুষ সৌন্দর্য্যের মাপকাঠিকে বাহ্যিক অবয়ব দিয়ে চিন্তা করে। এরা যে চিন্তার সীমাবদ্ধতা রোগে আক্রান্ত আমি সে কথা বলতে চাইনা, বরং তাদের চিন্তার জগতের সুস্থতা কামনা করে তাদের জন্য প্রার্থনা করি।
তার কথার প্রথম লাইনটা আমি এপ্রিশিয়েট করেছি। আমি আসলেও আমাকে সুন্দর মনে করি। সেটা কখনো সচেতন মনে কিংবা অবচেতন মনেও হয়ে থাকে।
দু মাস যদি একটা মানুষ আরেকটা মানুষের সাথে সারাক্ষন লেগে থাকে, তাহলে তার প্রতি প্রেম না হলেও একধরনের মায়া জন্মে যায়। মায়া ব্যপারটা একটা অসুখের মতন। এই অসুখ একবার ভেতরে ঢুকে গেলে, মানুষ বিপরীত মানুষটার উপর একটু একটু করে মুগ্ধ হতে শুরু করে।
দু মাস যদি একটা মানুষ আরেকটা মানুষের সাথে সারাক্ষন লেগে থাকে, তাহলে তার প্রতি প্রেম না হলেও একধরনের মায়া জন্মে যায়। মায়া ব্যপারটা একটা অসুখের মতন। এই অসুখ একবার ভেতরে ঢুকে গেলে, মানুষ বিপরীত মানুষটার উপর একটু একটু করে মুগ্ধ হতে শুরু করে।
যার প্রতি মানুষের একবার মায়া জন্মে যায়, তার সমস্ত কিছুই ভালো লাগার তালিকায় একটু একটু করে লিপিবদ্ধ হয়ে যায়। কোথায় যেন একবার পড়েছিলাম, দু রাত কারো সাথে সুখ দুঃখের গল্প করলে, মানুষটার প্রতি অন্য মানুষটার মায়া জন্মায়। এই কথাটা মিথ্যে নয়। মানুষ মূলত তার সাথে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে, যার সাথে সে মন খুলে কথা বলতে পারে। মানুষ মূলত তাকেই সুন্দর মানুষ হিসেবে জায়গা করে দেয়, যার কাছে তার নিজের একটা স্পেস আছে।
সেক্ষেত্রে মানুষ সবচেয়ে বেশি মায়াগ্রস্থ হয় তার নিজের উপর। নিজের চেয়ে বেশি সময় নিজেকে আর কেউ দিতে পারেনা।
সেক্ষেত্রে মানুষ সবচেয়ে বেশি মায়াগ্রস্থ হয় তার নিজের উপর। নিজের চেয়ে বেশি সময় নিজেকে আর কেউ দিতে পারেনা।
রোজ রোজ একটা পোষা কুকুরকে দেখতে দেখতে মানুষ তাকে ভালোবেসে ফেলে। আর আমি তো সে জন্মের পর থেকে নিজেকে দেখি। ঘুম থেকে উঠে নিজের দাঁতটা নিজে ব্রাশ করিয়ে দিই, নিজের চুলগুলো নিজেই যত্ন করে চিরুনি দিয়ে আচরিয়ে দিই, নিজের শোবার ঘর'টা পরিপাটি করে রাখি। নিজেকে সুন্দর লাগানোর জন্য ব্রান্ডের জামা-কাপর কিনে আনি। এই যে আমি সারাক্ষন আমার সাথে লেগে থাকি, এটাতে মায়া জন্মাবেনা কেন? মায়া জন্মায়! মায়া জন্মায় বলেই নিজেকে নিজে সুন্দর ভাবি। নিজেকে নিজে ভালোবাসি। আর যাকে পৃথিবীর সবকিছুর চেয়ে বেশি ভালোবাসি, তাকে সুন্দর না লাগার তো তেমন কোন কারন নেই, নাহ?
তার দ্বিতীয় লাইনটা ছিল "আসলে, আপনি অত'টা সুন্দর না!"
তার এই কথাটাকেও এপ্রিশিয়েট না করার তেমন কোন কারন নেই। সুন্দর লাগা না লাগার ব্যপারটা মূলত ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণের উপর নির্ভর করে। পৃথিবীর সবাইকে আমার ভালো লাগেনা, আমাকেও সবার ভালো লাগবেনা।
এই যে মানুষ ভালোবাসার সময় সবচেয়ে সুন্দর মানুষটার উপর মোহগ্রস্থ হয়, এটাই ভালোবাসার মৌলিক উপাদান। এই যে সুন্দর মানুষ মানে কেবল মাত্র সাদা ত্বকের কথা ভাবলে ভুল হবে। অনেকের চোখে হতে পারে উজ্জ্বল গায়ের রং ই সোন্দর্য্য আবার অনেকের দৃষ্টিতে সৌন্দর্য্যের ডেফিনেশন ভিন্ন। আমাদের প্রতিটা মানুষের পছন্দ অপছন্দের ব্যপারটা আসলে স্বাধীন।
তার এই কথাটাকেও এপ্রিশিয়েট না করার তেমন কোন কারন নেই। সুন্দর লাগা না লাগার ব্যপারটা মূলত ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণের উপর নির্ভর করে। পৃথিবীর সবাইকে আমার ভালো লাগেনা, আমাকেও সবার ভালো লাগবেনা।
এই যে মানুষ ভালোবাসার সময় সবচেয়ে সুন্দর মানুষটার উপর মোহগ্রস্থ হয়, এটাই ভালোবাসার মৌলিক উপাদান। এই যে সুন্দর মানুষ মানে কেবল মাত্র সাদা ত্বকের কথা ভাবলে ভুল হবে। অনেকের চোখে হতে পারে উজ্জ্বল গায়ের রং ই সোন্দর্য্য আবার অনেকের দৃষ্টিতে সৌন্দর্য্যের ডেফিনেশন ভিন্ন। আমাদের প্রতিটা মানুষের পছন্দ অপছন্দের ব্যপারটা আসলে স্বাধীন।
রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় যে মানুষটাকে দেখলে গাঁ ঘিনঘিন করে, তার ঘরে ফেরার অপেক্ষায়ও হয়তো কেউ জানালার গ্রীল ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। যার পাশে বসে খেতে ইচ্ছে হয়না, তার জন্যই কেউ কেউ টেবিলে খাবার সাজিয়ে ঘড়ির কাটার দিকে তাকিয়ে সময় চলে যাওয়ার দৃশ্য দেখতে দেখতে ঘুমে নুয়ে পরে! আমার যাকে ভালো লাগেনা, তার জন্য কেউ কেউ মরে যেতে চায়। দেখতে ভালো লাগেনা, তবুও ওসব মানুষের জীবনে একটা ভালোবাসার গল্প থাকে।
সৌন্দর্য্যের ডেফিনেশনটা মানুষে মানুষে আলাদা। গোপন মেসেজে যে আমাকে বলেছিলো, আমি সুন্দর না, তার এই কথাটা তার কাছে সত্য, অন্যকারো কাছে মিথ্যে!
ব্যপারটা তার বেলায়ও একই রকম, সে আমার কাছে সমস্ত শহরের সবচেয়ে রূপবতী কেউ হলেও, কারো কারো কাছে সে জাস্ট একটা কিছুই না টাইপের মানুষ কিংবা সে সবার কাছে সেরা, আমার কাছে নাথিং। এই পছন্দ অপছন্দের চক্রটা ভীষন সত্য!
সৌন্দর্য্যের ডেফিনেশনটা মানুষে মানুষে আলাদা। গোপন মেসেজে যে আমাকে বলেছিলো, আমি সুন্দর না, তার এই কথাটা তার কাছে সত্য, অন্যকারো কাছে মিথ্যে!
ব্যপারটা তার বেলায়ও একই রকম, সে আমার কাছে সমস্ত শহরের সবচেয়ে রূপবতী কেউ হলেও, কারো কারো কাছে সে জাস্ট একটা কিছুই না টাইপের মানুষ কিংবা সে সবার কাছে সেরা, আমার কাছে নাথিং। এই পছন্দ অপছন্দের চক্রটা ভীষন সত্য!
যার দগদগে ঘাঁ দেখলে, তাকাতে ইচ্ছে হয়না, তার ঘাঁয়ের উপর ঔষুধ লাগিয়ে দেওয়ারও হয়তো একটা মানুষ থাকে। ভালোবাসলে পৃথিবীর সমস্ত কিছুই সুন্দর! ভালোবাসলে প্রেমিকার কপালের বসন্তের দাগের উপর চুমু খেয়েও প্রেমিক বলে, এত সুন্দর কেন তুমি?
ভালোবাসলে, প্রেমিকের ঘামের গন্ধটাও পরিচিত ভালোবাসার ঘ্রাণ হয়! ভালোবাসার সবটাই সুন্দর! যার প্রতি ভালোবাসা থাকেনা, সে যত চকচকেই হোক না কেন, তা মূল্যহীন!
ভালোবাসলে, প্রেমিকের ঘামের গন্ধটাও পরিচিত ভালোবাসার ঘ্রাণ হয়! ভালোবাসার সবটাই সুন্দর! যার প্রতি ভালোবাসা থাকেনা, সে যত চকচকেই হোক না কেন, তা মূল্যহীন!
আমাকে ভালো লাগেনা, এটা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। আমাকে ভালো লাগতেই হবে, এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আপনি পৃথিবীতে আসেননি। আপনার ভালো লাগতে পারে যাকে তাকে, আপনার ভালো লাগার স্বাধীনতাটা আপনারই।
এখানে আর্গুমেন্টের কিছু নেই। আপনার আমাকে ভালো লাগেনা, যাকে ভালো লাগে তাকে অন্য কারো ভালো লাগেনা!
এই সত্যটা বুঝতে হবে!
এখানে আর্গুমেন্টের কিছু নেই। আপনার আমাকে ভালো লাগেনা, যাকে ভালো লাগে তাকে অন্য কারো ভালো লাগেনা!
এই সত্যটা বুঝতে হবে!
আমি ফেসবুক নিউজফিড স্ক্রল করে যখন নিচে নামতে থাকি, তখন মোটামুটি সব পোস্টই পড়ি কিন্তু সব জায়গাতে রিয়্যাক্ট করিনা। এমনকি লাইক দিতেও আমি এড়িয়ে যাই। তবে যে জিনিস আমি এড়িয়ে যাইনা, তা হলো ভালোবাসার ছবি! ভালোবাসার ছবিতে আমি একটা লাভ রিয়্যাক্ট করি। এটা আমার নিজের কাছে একটা দায়বদ্ধতার মতন লাগে!
কোন সন্তান যখন তার মায়ের সাথে ছবি দেয় কিংবা বাবার সাথে, এই দৃশ্য আমাকে মুগ্ধ করে! কেউ যখন ছোট্ট শিশুর কোন ভিডিও শেয়ার করে, আমি চিন্তা না করেই একটা লাভ দিয়ে আসি। কারো বিয়ের ছবিতে লাভ রিয়্যাক্ট দিই, অভিনন্দন হিসেবে! কারো প্রেগনেন্ট হওয়ার খবরে অভিনন্দন জানাই। আর লাভ ইমু দিয়ে আসি, যখন কেউ তার নিজেকে অসুন্দর ভেবে রিগ্রেট ফিল করে। আমি কমেন্টে লিখে দিই "ইউ আর জাস্ট এমেইজিং!"
এই যে এপ্রিশিয়েশন, এটা করতে পারার এই মানসিকতাই আমার সৌন্দর্য্য। আমি তাহলে নিজেকে সুন্দর ভাববোই না কেন?
আমি নিজেকে নিজের কাছে ছোট করে রাখতে পারিনা ! আমার চিন্তার পৃথিবী বিশাল! আমার সৌন্দর্য্যের ডেফিনেশন সবার মতো হবেনা! আমার হীনমন্যতার প্রবনতা সীমিত!
তাই আমার নিজের কাছে আমি সমস্ত পৃথিবীর চেয়েও সুন্দর মানুষ!
কোন সন্তান যখন তার মায়ের সাথে ছবি দেয় কিংবা বাবার সাথে, এই দৃশ্য আমাকে মুগ্ধ করে! কেউ যখন ছোট্ট শিশুর কোন ভিডিও শেয়ার করে, আমি চিন্তা না করেই একটা লাভ দিয়ে আসি। কারো বিয়ের ছবিতে লাভ রিয়্যাক্ট দিই, অভিনন্দন হিসেবে! কারো প্রেগনেন্ট হওয়ার খবরে অভিনন্দন জানাই। আর লাভ ইমু দিয়ে আসি, যখন কেউ তার নিজেকে অসুন্দর ভেবে রিগ্রেট ফিল করে। আমি কমেন্টে লিখে দিই "ইউ আর জাস্ট এমেইজিং!"
এই যে এপ্রিশিয়েশন, এটা করতে পারার এই মানসিকতাই আমার সৌন্দর্য্য। আমি তাহলে নিজেকে সুন্দর ভাববোই না কেন?
আমি নিজেকে নিজের কাছে ছোট করে রাখতে পারিনা ! আমার চিন্তার পৃথিবী বিশাল! আমার সৌন্দর্য্যের ডেফিনেশন সবার মতো হবেনা! আমার হীনমন্যতার প্রবনতা সীমিত!
তাই আমার নিজের কাছে আমি সমস্ত পৃথিবীর চেয়েও সুন্দর মানুষ!
আমি আমার নিজের কাছে পৃথিবীর সমস্ত কিছুর চেয়ে বেশি সুন্দর, কারন আমি আমার নিজেকে পৃথিবীর সমস্ত কিছুর চেয়ে বেশি ভালোবাসি!
আমি আপনার কাছে অসুন্দর, কারন আপনি আমাকে ভালোবাসেন না!
আপনি আমার কাছে সুন্দর, কারন আমি পৃথিবীর সমস্ত অসুন্দরকেও ভালোবাসি!
আমি আপনার কাছে অসুন্দর, কারন আপনি আমাকে ভালোবাসেন না!
আপনি আমার কাছে সুন্দর, কারন আমি পৃথিবীর সমস্ত অসুন্দরকেও ভালোবাসি!
নিজের কাছে যে নিজেই সুন্দর হতে পারেনি এখনো, তার এই একজীবনের আয়ুষ্কাল সম্পূর্ণটাই একফোটা শুক্রাণূর অপচয় ব্যতিত অন্যকিছু নয়!
Comments
Post a Comment