প্রিয় তরুলতা,
পাঠ্য বইয়ের শিরোনামের মতো তুমি কেমন আছো জিজ্ঞেস করে চিঠি লেখার নিয়মে আমার বিশ্বাস নেই।
চিঠি মানে আমি বুঝি ভেতরের কথা কাছের মানুষকে জানানো।
দূরের মানুষকে আমি কখনো চিঠি লিখিনি। দূরের মানুষকে মাঝে মাঝে প্রয়োজনবোধ থেকে যেটা লিখি তাকে সংবাদ অথবা অনুসন্ধানের বার্তা মনে হয়।
পাঠ্য বইয়ের শিরোনামের মতো তুমি কেমন আছো জিজ্ঞেস করে চিঠি লেখার নিয়মে আমার বিশ্বাস নেই।
চিঠি মানে আমি বুঝি ভেতরের কথা কাছের মানুষকে জানানো।
দূরের মানুষকে আমি কখনো চিঠি লিখিনি। দূরের মানুষকে মাঝে মাঝে প্রয়োজনবোধ থেকে যেটা লিখি তাকে সংবাদ অথবা অনুসন্ধানের বার্তা মনে হয়।
মন ভালো নেই।
তুমি জানতে চাইতে পারো, মন ভালো না থাকার কারন কি?
মন ভালো না থাকার কোন কারন নেই। এমনিই মাঝে মাঝে খুব তুচ্ছ কারনে মন খারাপ হয়।
এই যে রাস্তা দিয়ে হেটে আসার সময় কোথা থেকে যেন দোলনচাঁপা ফুলের ঘ্রাণ ভেসে এসেছে। ঠিক তখনই হুট করে কেমন মন খারাপ হয়ে গেলো।
যদিও তোমার সাথে দোলনচাঁপা ফুল নিয়ে আমার তেমন কোন স্মৃতি নেই। তবুও ঘ্রাণটা তোমার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিলো বারবার।
এরকম একটা ঘ্রাণ আমি তোমার চুলে পেতাম। খুব সম্ভবত ওটা কোন দামী শ্যাম্পুর তরতাজা ঘ্রাণ ছিল। তোমার পর অনেকের চুলেই আমি ঘ্রাণ পেয়েছি, ওসব পরিচিত হতে পারেনি।
একই ঘ্রাণ যদিও হতে পারে, তবুও তোমার ঘ্রাণটা আমার চেনা।
তুমি জানতে চাইতে পারো, মন ভালো না থাকার কারন কি?
মন ভালো না থাকার কোন কারন নেই। এমনিই মাঝে মাঝে খুব তুচ্ছ কারনে মন খারাপ হয়।
এই যে রাস্তা দিয়ে হেটে আসার সময় কোথা থেকে যেন দোলনচাঁপা ফুলের ঘ্রাণ ভেসে এসেছে। ঠিক তখনই হুট করে কেমন মন খারাপ হয়ে গেলো।
যদিও তোমার সাথে দোলনচাঁপা ফুল নিয়ে আমার তেমন কোন স্মৃতি নেই। তবুও ঘ্রাণটা তোমার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিলো বারবার।
এরকম একটা ঘ্রাণ আমি তোমার চুলে পেতাম। খুব সম্ভবত ওটা কোন দামী শ্যাম্পুর তরতাজা ঘ্রাণ ছিল। তোমার পর অনেকের চুলেই আমি ঘ্রাণ পেয়েছি, ওসব পরিচিত হতে পারেনি।
একই ঘ্রাণ যদিও হতে পারে, তবুও তোমার ঘ্রাণটা আমার চেনা।
অনেক বছর তো হলো দূরত্বের; তবুও তুমি দূরে যাওনা কেন?
কোথায় যেন আটকে আছো। হুট করে মস্তিষ্কের নিউরনে জমা হয়ে থাকা পুরাতন স্মৃতি বুকে ঢুকে গেলেই আমার শূন্যতা বোধ হয়।
কোথায় যেন আটকে আছো। হুট করে মস্তিষ্কের নিউরনে জমা হয়ে থাকা পুরাতন স্মৃতি বুকে ঢুকে গেলেই আমার শূন্যতা বোধ হয়।
যাইহোক, এসব প্রেম ট্রেম নিয়ে কথা বলার জন্য আমি চিঠি লিখতে বসিনি।
দূরে থাকা কাছের মানুষকে কখনো শূন্যতার গল্প বলতে নেই! শূন্যতা ব্যক্তিগত অনুভূতি।
এসব নিজের কাছে যত্ন করে রেখে দিতে হয়। যে মানুষ জীবনে থাকেনা, সে মানুষের কাছে বুকের ভেতর ফাঁকা ফাঁকা লাগার গল্প করতে নেই।
দূরে থাকা কাছের মানুষকে কখনো শূন্যতার গল্প বলতে নেই! শূন্যতা ব্যক্তিগত অনুভূতি।
এসব নিজের কাছে যত্ন করে রেখে দিতে হয়। যে মানুষ জীবনে থাকেনা, সে মানুষের কাছে বুকের ভেতর ফাঁকা ফাঁকা লাগার গল্প করতে নেই।
এখন যে চাকরিটা করছি, এই চাকরিটা ভালো লাগছেনা। ভাবছি, ছেড়ে দিবো।
একই জায়গায় বেশিদিন রয়ে যাওয়া যে ঠিক না, ওটা আমি তোমার চলে যাওয়া দেখে শিখেছি।
তোমাকে চিঠি লিখছি ঠিক এই কারনেই। অনেকদিন একটা জায়গায় থাকার পর সেই জায়গাটা নিজের ঘরের মতন হয়ে যায়।
চাকরিটা ছেড়ে দিবো; মায়া জন্মে গেছে।
আচ্ছা,
এই যে তুমি অনেক বছর আমার সাথে রয়ে যাওয়ার পর চলে গেলে, তোমারও বোধয় একটু মায়া জন্মে গিয়েছিলো।
এই মায়াটা কি করে কাটিয়েছো?
যদিও চাকরি আমার প্রেমিকা নয়। যদিও চাকরির নিজস্ব কোন জীবন নেই। যদিও চাকরিটা একা একা শ্বাস নিতে পারেনা, অনুভব করতে পারেনা, তবুও আমার মন ভালো লাগছেনা।
তোমার কাছ থেকে মায়া কাটিয়ে উঠার নিয়মটা জানতে এসেছি।
আমার টেবিলের উপর রাখা ডেস্কটপটা, কলমদানীতে থাকা পেন্সিলটা, মার্কারটা, হাইলাইটারটার প্রতিও আমার মায়া জন্মেছে খুব।
সামনে থাকা নোটবুকের অনেকগুলো পাতা ফাঁকা পড়ে আছে। ওখানে সবগুলো পৃষ্ঠাতে আমারই লিখার কথা ছিল।
অথচ, মানুষের জীবনের গল্প যাকে নিয়ে মানুষ সাজাতে চায়, তাকে দিয়ে সাজাতে পারেনা।
কেউ কেউ তোমার মতো অর্ধেক নোটবুক লিখে রেখে চলে যায়।
আমি প্রতারণা করতে শিখিনি কোথাও। মাঝ পথে হাত ছেড়ে চলে আসার নিয়মটা আমাকে ব্যথা দেয়।
তাই তোমার কাছে জানতে এসেছি, কি করে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া যায়।
যে ঘরের সমস্ত আসবাবপত্রে ব্যক্তিগত স্পর্শ লেগে আছে, সে ঘর ছেড়ে মানুষ কি করে নতুন ঘরের আসবাবপত্র স্পর্শ করে।
একই জায়গায় বেশিদিন রয়ে যাওয়া যে ঠিক না, ওটা আমি তোমার চলে যাওয়া দেখে শিখেছি।
তোমাকে চিঠি লিখছি ঠিক এই কারনেই। অনেকদিন একটা জায়গায় থাকার পর সেই জায়গাটা নিজের ঘরের মতন হয়ে যায়।
চাকরিটা ছেড়ে দিবো; মায়া জন্মে গেছে।
আচ্ছা,
এই যে তুমি অনেক বছর আমার সাথে রয়ে যাওয়ার পর চলে গেলে, তোমারও বোধয় একটু মায়া জন্মে গিয়েছিলো।
এই মায়াটা কি করে কাটিয়েছো?
যদিও চাকরি আমার প্রেমিকা নয়। যদিও চাকরির নিজস্ব কোন জীবন নেই। যদিও চাকরিটা একা একা শ্বাস নিতে পারেনা, অনুভব করতে পারেনা, তবুও আমার মন ভালো লাগছেনা।
তোমার কাছ থেকে মায়া কাটিয়ে উঠার নিয়মটা জানতে এসেছি।
আমার টেবিলের উপর রাখা ডেস্কটপটা, কলমদানীতে থাকা পেন্সিলটা, মার্কারটা, হাইলাইটারটার প্রতিও আমার মায়া জন্মেছে খুব।
সামনে থাকা নোটবুকের অনেকগুলো পাতা ফাঁকা পড়ে আছে। ওখানে সবগুলো পৃষ্ঠাতে আমারই লিখার কথা ছিল।
অথচ, মানুষের জীবনের গল্প যাকে নিয়ে মানুষ সাজাতে চায়, তাকে দিয়ে সাজাতে পারেনা।
কেউ কেউ তোমার মতো অর্ধেক নোটবুক লিখে রেখে চলে যায়।
আমি প্রতারণা করতে শিখিনি কোথাও। মাঝ পথে হাত ছেড়ে চলে আসার নিয়মটা আমাকে ব্যথা দেয়।
তাই তোমার কাছে জানতে এসেছি, কি করে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া যায়।
যে ঘরের সমস্ত আসবাবপত্রে ব্যক্তিগত স্পর্শ লেগে আছে, সে ঘর ছেড়ে মানুষ কি করে নতুন ঘরের আসবাবপত্র স্পর্শ করে।
ব্যথা হচ্ছে?
ব্যথা হলে হোক। দূরে থাকা কাছের মানুষ ব্যথা পেলে আনন্দ হয়।
ব্যথা হলে হোক। দূরে থাকা কাছের মানুষ ব্যথা পেলে আনন্দ হয়।
তা তোমার সংসার কেমন চলছে?
দিব্যি আনন্দেই আছো হয়তো! ইনসোমনিয়া কেটে গ্যাছে?
রাতে কান্না পায়? বুকের ভেতর হুট করে শূন্যতার আকাশ ঢুকে যায় কখনো?
পরিচিত রাস্তা কষ্ট দেয়? আকাশ রংয়ের ছাতাটা আছে নাহ?
একা একা রাস্তা পার হতে শিখে গ্যাছো?
নতুন মানুষের স্পর্শে চমকে উঠো? নাকি অভ্যাস হয়ে গ্যাছে?
আচ্ছা নগ্ন হও মাঝ রাতে অথবা আকাশে মেঘ ডাকলে; তুমুল বৃষ্টিতে?
হাত ধরে বসে থাকো তার? একসাথে আকাশ দ্যাখো? কফির মগ হাতে নিয়ে তার কন্ঠে কবিতা শুনে বাচ্চাদের মতো ভ্যাভ্যা করে কেঁদে ফেলো?
একা একা আয়না দ্যাখো? কপালে টিপ দাও? তার গালে চুমু খেতে খেতে বলে ফেলো, "তুমিই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি!"
দিব্যি আনন্দেই আছো হয়তো! ইনসোমনিয়া কেটে গ্যাছে?
রাতে কান্না পায়? বুকের ভেতর হুট করে শূন্যতার আকাশ ঢুকে যায় কখনো?
পরিচিত রাস্তা কষ্ট দেয়? আকাশ রংয়ের ছাতাটা আছে নাহ?
একা একা রাস্তা পার হতে শিখে গ্যাছো?
নতুন মানুষের স্পর্শে চমকে উঠো? নাকি অভ্যাস হয়ে গ্যাছে?
আচ্ছা নগ্ন হও মাঝ রাতে অথবা আকাশে মেঘ ডাকলে; তুমুল বৃষ্টিতে?
হাত ধরে বসে থাকো তার? একসাথে আকাশ দ্যাখো? কফির মগ হাতে নিয়ে তার কন্ঠে কবিতা শুনে বাচ্চাদের মতো ভ্যাভ্যা করে কেঁদে ফেলো?
একা একা আয়না দ্যাখো? কপালে টিপ দাও? তার গালে চুমু খেতে খেতে বলে ফেলো, "তুমিই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি!"
ধুর, কোথা থেকে কোথায় চলে গেলাম।
চাকরিটা ছেড়ে দিবো, বুঝলে?
একই জায়গায় আর কতদিন। তোমার মতো নতুন করে ঘর সাজাবো।
অভ্যস্ত হবো। সবকিছু সামলে নিবো সময়ের সাথে।
তবুও আমার মন খারাপ হয়। আমার নিজস্ব চেয়ারটাতে অন্য কেউ বসে যাবে।
আমার ক্যালেন্ডারের পাতাটা মাস শেষে অন্য কেউ উল্টে দিবে। আমার দেয়াল ঘড়ির ব্যটারিটা নষ্ট হয়ে গেলে হয়তো অযত্নে ধূলো জমে যাবে।
যা কিছু আমার, সব কেমন অন্য কারো হয়ে যাবে।
যেমন ব্যক্তিগত ছিলে তুমি। তোমার জন্য মায়া আছে, অধিকার নেই।
জায়গাটা ছেড়ে দিলে আর অধিকার খাটানো যায়না। একসময় তোমার বুকের ভেতরের চেয়ারটাতে আমার স্পর্শ লেগে ছিল, এখন সেখানে নতুন মানুষ বসেছে!ক্যালেন্ডারের পাতার মতোই রোজ রোজ তোমাকে উল্টে দিচ্ছে কেউ।
অধিকারের জায়গাটা কখনো খালি থাকেনা, মানুষের জায়গায় অন্য মানুষ রিপ্লেস হয়ে আসে।
চাকরিটা ছেড়ে দিবো, বুঝলে?
একই জায়গায় আর কতদিন। তোমার মতো নতুন করে ঘর সাজাবো।
অভ্যস্ত হবো। সবকিছু সামলে নিবো সময়ের সাথে।
তবুও আমার মন খারাপ হয়। আমার নিজস্ব চেয়ারটাতে অন্য কেউ বসে যাবে।
আমার ক্যালেন্ডারের পাতাটা মাস শেষে অন্য কেউ উল্টে দিবে। আমার দেয়াল ঘড়ির ব্যটারিটা নষ্ট হয়ে গেলে হয়তো অযত্নে ধূলো জমে যাবে।
যা কিছু আমার, সব কেমন অন্য কারো হয়ে যাবে।
যেমন ব্যক্তিগত ছিলে তুমি। তোমার জন্য মায়া আছে, অধিকার নেই।
জায়গাটা ছেড়ে দিলে আর অধিকার খাটানো যায়না। একসময় তোমার বুকের ভেতরের চেয়ারটাতে আমার স্পর্শ লেগে ছিল, এখন সেখানে নতুন মানুষ বসেছে!ক্যালেন্ডারের পাতার মতোই রোজ রোজ তোমাকে উল্টে দিচ্ছে কেউ।
অধিকারের জায়গাটা কখনো খালি থাকেনা, মানুষের জায়গায় অন্য মানুষ রিপ্লেস হয়ে আসে।
এই চাকরিটা ভালো লাগছেনা, তরু!
ছেড়ে দিবো!
কি করে ছেড়ে আসলে মায়া থাকেনা, শিখিয়ে দিও।
ছেড়ে দিবো!
কি করে ছেড়ে আসলে মায়া থাকেনা, শিখিয়ে দিও।
ভাল থেকো বলে শেষ করলে, নিজের সাথে প্রতারণা করা হবে।
খুব কাছের মানুষ ভাল থাকলে ভাল লাগে। তবে সেটা অন্য কারো সাথে না।
তুমি ভাল থাকো আমি চাই, সেটা কেবল আমার সাথে ভাল থাকো।
ভাল থেকো বলবো না; বরং তোমার যেমন খুশি, তেমন থেকো।
খুব কাছের মানুষ ভাল থাকলে ভাল লাগে। তবে সেটা অন্য কারো সাথে না।
তুমি ভাল থাকো আমি চাই, সেটা কেবল আমার সাথে ভাল থাকো।
ভাল থেকো বলবো না; বরং তোমার যেমন খুশি, তেমন থেকো।
ইতি,
সমুদ্র।
সমুদ্র।
Comments
Post a Comment