মোটামুটি একটা আত্মনির্ভরশীল জীবন কাটাতে চাই।
ঘর, সংসার, পরিবার, স্ত্রী, কন্যা, সন্তান সব থাকুক। তবুও আমি চাই, আমার একটা ব্যক্তিগত আস্থার জায়গা থাকুক!
একটা বিশুদ্ধ নিঃশ্বাস নেওয়ার নির্ভরযোগ্য অবকাঠামো তৈরী হোক।
ঘর, সংসার, পরিবার, স্ত্রী, কন্যা, সন্তান সব থাকুক। তবুও আমি চাই, আমার একটা ব্যক্তিগত আস্থার জায়গা থাকুক!
একটা বিশুদ্ধ নিঃশ্বাস নেওয়ার নির্ভরযোগ্য অবকাঠামো তৈরী হোক।
আমি জানি,
আমার বয়স বাড়বে! বৃদ্ধ হবো! চুলের রং বদলে যাবে! গালের চামড়ায় ঝুল ধরবে!
শরীরের কোষ নিস্তেজ হতে শুরু করবে।
আমি জানি,
আমার হেটে চলার ক্ষমতা থমকে যাবে হুট করে! আমাকে হাত ধরে বাথরুমে নিয়ে যেতে হবে! অথবা, বয়সের ভারে শরীর টের পাবেনা কখন বিছানায় প্রসাব করে দিয়েছি।
আমি জানি,
আমি একদিন যতটুকু মূল্যবান হবো, ঠিক ততোটুকু মূল্যহীন হয়ে যাবো। বোঝা হয়ে উঠবো অন্য মানুষের।
আমার বয়স বাড়বে! বৃদ্ধ হবো! চুলের রং বদলে যাবে! গালের চামড়ায় ঝুল ধরবে!
শরীরের কোষ নিস্তেজ হতে শুরু করবে।
আমি জানি,
আমার হেটে চলার ক্ষমতা থমকে যাবে হুট করে! আমাকে হাত ধরে বাথরুমে নিয়ে যেতে হবে! অথবা, বয়সের ভারে শরীর টের পাবেনা কখন বিছানায় প্রসাব করে দিয়েছি।
আমি জানি,
আমি একদিন যতটুকু মূল্যবান হবো, ঠিক ততোটুকু মূল্যহীন হয়ে যাবো। বোঝা হয়ে উঠবো অন্য মানুষের।
আমি মোটামুটি একটা গোছালো জীবন চাই।
সন্তানরা বড় হয়ে গেলে, তাদের বিয়ে দিবো! তারা ঘর সংসার করবে। একটা ভালো অবস্থানে পৌছে যাবে।
আমি তখন একটু একটু করে নিজেকে গুটিয়ে নিতে শুরু করবো।
আমি দূরে যাবো! দূর মানে অনেক দূর!
আমার সারাজীবনের উপার্জন থেকে আমি কিছু অংশ আলাদা করে রাখবো!
আমার সন্তানদের থাকার জায়গাটা ঠিকঠাক করার পর আমি একটা আলাদা থাকার জায়গা বানাবো।
আমার ইচ্ছে, শহর থেকে বহু দূরে একটা পাহাড়ের উপর একটা চিলেকোঠা টাইপ ছোট্ট ঘর হবে আমার। সেখান থেকে রাতের আকাশটা একটা শূন্যতার বায়ু ভরা পলিব্যাগ মনে হবে।
ঝিঝি পোকার ডাক শোনা যাবে! একটু ঝড়ে ঘরের চালাটা নড়বড়ে হয়ে গেলে, যত্ন করে বেঁধে দিবো।
আমার ঘরের সামনেই একটা ছোট্ট বাগান হবে। সেখানে নয়নতারা ফুলের চাষ করবো। লাঠিতে ভর দিয়ে সমস্ত গাছে রোজ পানি দিবো।
রান্না করে দেওয়ার একটা লোক থাকবে। সে ঘরও গুছিয়ে দিবে।
আমার ঔষুধের পাতাটা বিছানার কাছে এনে রাখবে। মাস শেষে তাকে আমি ভালো মাইনেও দিবো।
আমার মৃত্যুর পর যা অর্থ অবশিষ্ট থাকবে, তা ওই ছেলেটাকে দিয়ে যাবো, যে শেষ দিন আমার মুখে পানি তুলে দিবে।
সন্তানরা বড় হয়ে গেলে, তাদের বিয়ে দিবো! তারা ঘর সংসার করবে। একটা ভালো অবস্থানে পৌছে যাবে।
আমি তখন একটু একটু করে নিজেকে গুটিয়ে নিতে শুরু করবো।
আমি দূরে যাবো! দূর মানে অনেক দূর!
আমার সারাজীবনের উপার্জন থেকে আমি কিছু অংশ আলাদা করে রাখবো!
আমার সন্তানদের থাকার জায়গাটা ঠিকঠাক করার পর আমি একটা আলাদা থাকার জায়গা বানাবো।
আমার ইচ্ছে, শহর থেকে বহু দূরে একটা পাহাড়ের উপর একটা চিলেকোঠা টাইপ ছোট্ট ঘর হবে আমার। সেখান থেকে রাতের আকাশটা একটা শূন্যতার বায়ু ভরা পলিব্যাগ মনে হবে।
ঝিঝি পোকার ডাক শোনা যাবে! একটু ঝড়ে ঘরের চালাটা নড়বড়ে হয়ে গেলে, যত্ন করে বেঁধে দিবো।
আমার ঘরের সামনেই একটা ছোট্ট বাগান হবে। সেখানে নয়নতারা ফুলের চাষ করবো। লাঠিতে ভর দিয়ে সমস্ত গাছে রোজ পানি দিবো।
রান্না করে দেওয়ার একটা লোক থাকবে। সে ঘরও গুছিয়ে দিবে।
আমার ঔষুধের পাতাটা বিছানার কাছে এনে রাখবে। মাস শেষে তাকে আমি ভালো মাইনেও দিবো।
আমার মৃত্যুর পর যা অর্থ অবশিষ্ট থাকবে, তা ওই ছেলেটাকে দিয়ে যাবো, যে শেষ দিন আমার মুখে পানি তুলে দিবে।
আমার এই একা হয়ে যাওয়ার ইচ্ছেটা আমার আত্মমর্জাদা।
আমি চাইনা, শেষ সময়ে আমি কারো বোঝা হই! আমার সন্তান হয়তো মানুষ হবে! সে চাইবে, তার বাবা শেষ দিন পর্যন্ত তার কাছে থাক।
আমি চাইনা,
আমার ছেলের বউ আমার ঘরে ঢুকে নাক ছিটকাক। আমি চাইনা, বয়সের ভারে নুয়ে পড়া আমার শরীরকে টেনে হিচরে কেউ বিরক্তমাখা সেবা করুক।
আমি বরাবরই আত্মমর্জাদায় বিশ্বাস করি! আমার সন্তান আমাকে খাওয়াবে, ওই পরনির্ভরশীলতাটা আমি চাইনা।
আমি চাইনা,
আমার শেষ দিন কাটুক কোন বৃদ্ধাশ্রমের বারান্দায়।
আমি চাইনা, শেষ সময়ে আমি কারো বোঝা হই! আমার সন্তান হয়তো মানুষ হবে! সে চাইবে, তার বাবা শেষ দিন পর্যন্ত তার কাছে থাক।
আমি চাইনা,
আমার ছেলের বউ আমার ঘরে ঢুকে নাক ছিটকাক। আমি চাইনা, বয়সের ভারে নুয়ে পড়া আমার শরীরকে টেনে হিচরে কেউ বিরক্তমাখা সেবা করুক।
আমি বরাবরই আত্মমর্জাদায় বিশ্বাস করি! আমার সন্তান আমাকে খাওয়াবে, ওই পরনির্ভরশীলতাটা আমি চাইনা।
আমি চাইনা,
আমার শেষ দিন কাটুক কোন বৃদ্ধাশ্রমের বারান্দায়।
আমি আমার উপার্জিত অর্থ থেকে একটা অংশ সরিয়ে রাখি, আমার অকেজো হয়ে যাওয়ার বয়সের জন্য।
যে সন্তানকে কোলে পিঠে করে মানুষ করবো, তার বিরক্তির কারন হয়ে যাবো কি করে?
আমার সন্তান যেন মনে মনে কখনো না বলে, বুড়ো মরলেই বাঁচি।
যে সন্তানকে কোলে পিঠে করে মানুষ করবো, তার বিরক্তির কারন হয়ে যাবো কি করে?
আমার সন্তান যেন মনে মনে কখনো না বলে, বুড়ো মরলেই বাঁচি।
আমি একদিন মরে পড়ে থাকবো, একটা বন্ধ ঘরের অন্ধকারে।
আমার বিছানায় লেগে থাকা মলমূত্র পরিস্কার করতে যেয়ে যাতে আমার প্রিয় কারো বমি না হয়।
আমি আমার প্রিয় মানুষের অপ্রিয় হবো না কখনো।
আমার বিছানায় লেগে থাকা মলমূত্র পরিস্কার করতে যেয়ে যাতে আমার প্রিয় কারো বমি না হয়।
আমি আমার প্রিয় মানুষের অপ্রিয় হবো না কখনো।
আমি দূরে যাবো! যত'টা দূরে গেলে প্রিয়দের প্রিয় মানুষের তালিকায় আমি অপ্রিয় না হয়ে উঠি।
আমার দেখাশুনা করার যে ছেলেটা থাকবে, তাকে আমি আমার পাহাড়ের বাড়িটা লিখে দিয়ে যাবো। তারও যাতে কখনো পরনির্ভরশীল না হতে হয়।
আমার দেখাশুনা করার যে ছেলেটা থাকবে, তাকে আমি আমার পাহাড়ের বাড়িটা লিখে দিয়ে যাবো। তারও যাতে কখনো পরনির্ভরশীল না হতে হয়।
আমার সন্তান বিরক্ত হয়ে আমাকে একটা বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসুক, এটা আমি চাইনা।
বৃদ্ধাশ্রমের কথা ভাবলেই আমি অসহায় বোধ করি। চারিদিকে অসুস্থ মানুষ! কফের সমারোহ! বয়স্ক বোঝা!
আমার গা গুলিয়ে আসে! এত এত অসুস্থতার ভিরে আমার দমবন্ধ হয়ে যাবে।
আমি বরং দমবন্ধ হয়ে যেতে চাই একা! একা মানে একা!
বৃদ্ধাশ্রমের কথা ভাবলেই আমি অসহায় বোধ করি। চারিদিকে অসুস্থ মানুষ! কফের সমারোহ! বয়স্ক বোঝা!
আমার গা গুলিয়ে আসে! এত এত অসুস্থতার ভিরে আমার দমবন্ধ হয়ে যাবে।
আমি বরং দমবন্ধ হয়ে যেতে চাই একা! একা মানে একা!
আমার একটা পোষা কুকুর থাকবে! আমি মরে গেলে কুকুরটা গগন বিদারী শব্দ করে চিতকার করে উঠবে!
মানুষের চেয়ে কুকুরই বোধয় বেশি ভালোবাসতে জানে!
মানুষের চেয়ে কুকুরই বোধয় বেশি ভালোবাসতে জানে!
আমার বাড়ির উঠোনের কোণে একটা কাঠগোলাপ গাছে পাখির বাসা থাকুক।
খুব ভোরে ঘুম থেকে ডেকে তুলুক একটা পৃথিবীর বিরক্তিকে।
তারপর কোন এক ভোরে আমি আর জাগবো না। আমার দেখাশুনা করার ছেলেটা আমার মৃত শরীর দেখে ভয় পেয়ে যাবে।
আমি চাই, আমার নিজের সন্তানরা কখনো না জানুক, তার বাবা বেঁচে নেই।
ওই যে বাড়ির উঠোনের এক কোণে যে কাঠ গোলাপের গাছটা আছে, তার নিচেই আমার কবর হোক।
আমি সেখান থেকে ঝিঝি পোকার ডাক শুনতে চাই!
খুব ভোরে ঘুম থেকে ডেকে তুলুক একটা পৃথিবীর বিরক্তিকে।
তারপর কোন এক ভোরে আমি আর জাগবো না। আমার দেখাশুনা করার ছেলেটা আমার মৃত শরীর দেখে ভয় পেয়ে যাবে।
আমি চাই, আমার নিজের সন্তানরা কখনো না জানুক, তার বাবা বেঁচে নেই।
ওই যে বাড়ির উঠোনের এক কোণে যে কাঠ গোলাপের গাছটা আছে, তার নিচেই আমার কবর হোক।
আমি সেখান থেকে ঝিঝি পোকার ডাক শুনতে চাই!
আমার প্রয়োজন ফুরালেই আমি দূরে চলে যাবো! দূর মানে বহুদূর!
যেখানে কোন প্রিয় মানুষের ছায়া থাকবেনা।
যেখানে কোন প্রিয় মানুষের ছায়া থাকবেনা।
Comments
Post a Comment