অপেক্ষা ব্যপারটা ইন্টারেস্টিং।
যেখানে কারো ফিরে আসার অপেক্ষা থাকে, সেখানে মায়া বাড়ে! ভালোবাসা বাড়ে! আগ্রহ বাড়ে!
খুব কাছের কোন মানুষের সাথে দূরত্ব বেড়ে যাওয়ার পরও আমরা তাদের একেবারে ভুলে থাকতে পারিনা। মানুষটা নেই মানে একেবারেই নেই, ব্যপারটা এমন নয়। মানুষটা চলে যাওয়ার পরও কোথাও একটু রয়ে যায়। মানুষটা রয়ে যায় অবসরে। ক্লান্তিতে। আধভাঙা ঘুমে৷ মানুষটা রয়ে যায় বিষন্নতায়। মন খারাপে। দুঃখ বিলাসে।
মানুষটা রয়ে যায়, কারন আমরা তার জন্য অপেক্ষাটা নিজের ভেতর বাঁচিয়ে রাখি।
ঠিক যতক্ষন পর্যন্ত অপেক্ষা করার মতো একটুও কারন বেঁচে থাকে, ততোক্ষন পর্যন্ত মানুষের জন্য মানুষের টান বেড়ে চলে।
খুব কাছের কেউ মরে যাওয়ার পর আমরা নিশ্চিত হয়ে যাই যে মানুষটা আর কখনোই ফিরবেনা। এই যে মানুষটা ফিরবেনা জেনে গেলেই, তার ঘরে ফেরার আর কোন অপেক্ষাই বেঁচে থাকেনা।
যে মানুষের ফিরে আসার অপেক্ষা করার কোন কারন থাকেনা, তার প্রতি আর ভালোবাসাও বাড়ে না।
অপেক্ষা করার আগ্রহ এবং কারন ফুরালেই কেবল কাছের মানুষের প্রতি ভালোবাসা কমতে শুরু করে। আগ্রহ নষ্ট হতে থাকে। নিউরনে জমে থাকা আনন্দের স্মৃতি ম্লান হয়ে যায়। মানুষটা আর কখনোই ফিরবেনা জেনে গেলে, স্মৃতির উপর ধূলোবালি জমতে জমতে এত'টা ঘোলাটে হয়ে যায় যে, একদিন আর চোখের সামনে ভাসে না। অনেক চেষ্টা করেও একসময়ের ভালোবাসার মানুষের মুখটা কল্পনা করা যায়না।
অপেক্ষা ভালোবাসা বাড়ায়! অপেক্ষাই বিষন্নতার বৃষ্টিতে ভিজিয়ে রাখে সর্বাঙ্গ!
মৃত মানুষের বিচ্ছেদের চেয়ে জীবিত মানুষের বিচ্ছেদের কষ্টের স্থায়িত্ব বেশি।
কারন মৃত মানুষ ফিরে আসার কোন সম্ভাবনাই আর থাকেনা, জীবিত মানুষটা দূরে যাওয়ার পরও মনে হয়, ফিরলে তো ফিরতেও পারে।
"ফিরলে তো ফিরতেও পারে" এই অপেক্ষাটা প্রচন্ড ইন্টারেস্টিং একটা ব্যপার!
মানুষের এই ফিরে আসার অপেক্ষাটা মানুষকে বড় হতে শেখায়। ম্যাচিউর হতে শেখায়। বুঝতে শেখায় যে, কোন কোন অপেক্ষার মানুষ আর কখনোই পুরাতন ঘরে ফেরে না।

Comments

Popular posts from this blog