কোন কিছু ছেড়ে আসবার কালে আমার ব্যথা হয়। একটা মন খারাপের আকাশ মাথার উপর দিয়ে হাটতে থাকে নিজের ছায়ার মতো।
অনেকদিন কোন কিছুর সাথে নিজেকে জড়িয়ে রাখার পর সে জিনিস প্রেমিকার মতো হয়ে যায়। সেটা হতে পারে ঘর, অফিস কিংবা মানুষ।
আমার মানসিকতা যতটা মজবুত পিলারের উপর দাঁড়ানো, হৃদপিন্ড ততোটাই নড়বড়ে। একটু শূন্যতায়ই কেমন ভেঙেচূড়ে আসে। সামান্য চায়ের দোকানটা ছেড়ে আসবার সময় আমি বার বার সেখানে পেছন ফিরে তাকাই। এইখানে কত চায়ের কাপের উষ্ণতা লেগেছে হাতে, ঠোটে, আঙুলে। কত সিগারেট বুকে ছড়িয়েছে নিকোটিন। কত বিষন্নতা পুড়ে উড়ে গ্যাছে ঠিকানাহীন পথে। কত কত স্মৃতি জমে আছে বেঞ্চে।
আমার মানসিকতা যতটা মজবুত পিলারের উপর দাঁড়ানো, হৃদপিন্ড ততোটাই নড়বড়ে। একটু শূন্যতায়ই কেমন ভেঙেচূড়ে আসে। সামান্য চায়ের দোকানটা ছেড়ে আসবার সময় আমি বার বার সেখানে পেছন ফিরে তাকাই। এইখানে কত চায়ের কাপের উষ্ণতা লেগেছে হাতে, ঠোটে, আঙুলে। কত সিগারেট বুকে ছড়িয়েছে নিকোটিন। কত বিষন্নতা পুড়ে উড়ে গ্যাছে ঠিকানাহীন পথে। কত কত স্মৃতি জমে আছে বেঞ্চে।
ঘর ছেড়ে যাচ্ছি।
ঘর মানে আমার কাছে একটা বন্ধ কক্ষ নয়। ঘর মানে ছোট কোন ছাদ নয়। ঘর মানে একটাই মানুষ নিয়ে একটা পৃথিবী নয়।
ঘর মানে স্মৃতির ইসকুল। এই ইসকুলের সমস্ত মেঝে, দেয়াল, বসার বেঞ্চ, ব্লাকবোর্ড, চক, ডাস্টার সব নিয়ে একটা ঘর।
যাইহোক, সোজা কথায় আসি। ঢাকায় আসার পর এই এলাকাতেই ছিলাম। এবার ঘর ছেড়ে যাওয়ার সময় হয়েছে৷ বাড়িওয়ালাকে বলে দিয়েছি আর থাকছিনা। নতুন একটা বাসা দেখেছি অফিস থেকে একটু দূরত্বেই। চিলেকোঠার বাসা। সমস্ত ছাদের উপর একটাই রুম। একটা ওয়াসরুম আছে। বাকিটা ছাদ। কেন যেন ঘুরেফিরে নিরবতার কাছেই যেতে ইচ্ছে হয়। ঠিক যখন এমন একটা নির্জনতা খুঁজে পেলাম, তখন থেকেই মনটা কেমন বিষন্ন হয়ে আছে।
বিষন্ন হওয়াটাও তো স্বাভাবিক। ১১ বছর একই জায়গায় থাকতে থাকতে এমন হয়েছে যে, সমস্ত পথঘাটকেই নিজের মনে হয়। এই ১১ বছর ঘুরেফিরে এই গলি সেই গলি করে কাটিয়ে দিয়েছি। এলাকার মোড়ে মোড়ে টং দোকানির সাথে সখ্যতা বেড়েছে সময়ে অসময়ে।
কত কত পরিচিত মানুষ হয়েছে। সব ছেড়েছুড়ে চলে যাওয়ার সময় বুঝতে পারছি, পুরাতন কোনকিছু ছেড়ে আসবার একটা আলাদা ব্যথা আছে।
ঘর মানে আমার কাছে একটা বন্ধ কক্ষ নয়। ঘর মানে ছোট কোন ছাদ নয়। ঘর মানে একটাই মানুষ নিয়ে একটা পৃথিবী নয়।
ঘর মানে স্মৃতির ইসকুল। এই ইসকুলের সমস্ত মেঝে, দেয়াল, বসার বেঞ্চ, ব্লাকবোর্ড, চক, ডাস্টার সব নিয়ে একটা ঘর।
যাইহোক, সোজা কথায় আসি। ঢাকায় আসার পর এই এলাকাতেই ছিলাম। এবার ঘর ছেড়ে যাওয়ার সময় হয়েছে৷ বাড়িওয়ালাকে বলে দিয়েছি আর থাকছিনা। নতুন একটা বাসা দেখেছি অফিস থেকে একটু দূরত্বেই। চিলেকোঠার বাসা। সমস্ত ছাদের উপর একটাই রুম। একটা ওয়াসরুম আছে। বাকিটা ছাদ। কেন যেন ঘুরেফিরে নিরবতার কাছেই যেতে ইচ্ছে হয়। ঠিক যখন এমন একটা নির্জনতা খুঁজে পেলাম, তখন থেকেই মনটা কেমন বিষন্ন হয়ে আছে।
বিষন্ন হওয়াটাও তো স্বাভাবিক। ১১ বছর একই জায়গায় থাকতে থাকতে এমন হয়েছে যে, সমস্ত পথঘাটকেই নিজের মনে হয়। এই ১১ বছর ঘুরেফিরে এই গলি সেই গলি করে কাটিয়ে দিয়েছি। এলাকার মোড়ে মোড়ে টং দোকানির সাথে সখ্যতা বেড়েছে সময়ে অসময়ে।
কত কত পরিচিত মানুষ হয়েছে। সব ছেড়েছুড়ে চলে যাওয়ার সময় বুঝতে পারছি, পুরাতন কোনকিছু ছেড়ে আসবার একটা আলাদা ব্যথা আছে।
এলাকা ছেড়ে যাওয়ার কষ্টটা অনেকটা প্রেমিকা ছেড়ে আসবার কষ্টের মতো। ছেড়ে যেতে হয় প্রয়োজনে, তবুও রয়ে যাওয়ার ইচ্ছেটা মরেনা।
মানুষ সেসব জিনিসের জন্য সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায়, যে জিনিসের সাথে মানুষের স্মৃতি থাকে খুউব। আমার স্মৃতির ভারটা অনেক। এই পরিচিত পথঘাট ছেড়ে যাওয়ার সময় নিজেকে প্রতারকের মতন দেখাচ্ছে। নিজের প্রতিবিম্ব আঙুল তুলে বলছে, রয়ে গেলে হয়না?
মানুষ সেসব জিনিসের জন্য সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায়, যে জিনিসের সাথে মানুষের স্মৃতি থাকে খুউব। আমার স্মৃতির ভারটা অনেক। এই পরিচিত পথঘাট ছেড়ে যাওয়ার সময় নিজেকে প্রতারকের মতন দেখাচ্ছে। নিজের প্রতিবিম্ব আঙুল তুলে বলছে, রয়ে গেলে হয়না?
হঠাত করে আমার মৃন্ময়ীর কথা মনে পরলো। সেবার যখন ছেড়ে চলে এসেছিলাম, মেয়েটা কেমন অদ্ভুত এক দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে ছিলো আমার দিকে। এমন ভাবে তাকিয়ে ছিলো যে, চোখ দুটো টলমল করছে। যেন পলক ফেললেই টুপ করে চোখ থেকে জল পরে যাবে।
আমি বেশিক্ষন তাকাইনি। খুব কাছের মানুষের চোখের দিকে বেশিক্ষন তাকিয়ে থাকা যায়না, যদি সে চোখ জলে টলমল করে।
ওটাই আমাদের শেষ দেখা ছিল। আর কখনো দেখা হয়নি; ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়! আমি যখন মৃন্ময়ীকে ছেড়ে চলে আসছিলাম, তখন আমার পা এগুচ্ছিলো না। মাথার ভেতর একটা নির্দিষ্ট মানুষের ঘোর লেগে ছিলো। শরীর থেকে মাথাটা আলাদা হয়ে গেলে মানুষের যেমন কষ্ট হয়, চলে আসার সময় আমার সেরকম বোধ হচ্ছিলো। যে মানুষ ঘর বানিয়ে বসে ছিলো মস্তিষ্কে, তাকে ছেড়ে আসার অনুভূতিটা শরীর থেকে মাথা আলাদা হওয়ার অনুভূতির মতোই। মৃন্ময়ীর সাথে কেন আলাদা হতে হয়েছিলো, সে গল্প আরেকদিন বলবো।
তবে, এটা ছিলো মিউচুয়্যালি দূরে যাওয়া। সম্পর্কে গ্যাপ হয়ে গেলে মানুষ যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে পারে হুট করে।
সমঝোতায় যে বিচ্ছেদ হয়, সে বিচ্ছেদে শেষ দেখা বলে একটা ব্যপার থাকে। ব্যপারটা অনেকটা এমন যে, কাঁদতে কাঁদতে মৃন্ময়ী বলেছিলো - নিজের যত্ন নিও! আমি মাটির দিকে তাকিয়ে জবাব দিয়েছিলাম- নিবো!
দুজনের কেউই শেষ সময়ে কারো দিকে ঠিকঠাক তাকাতে পারছিলাম না। অনেকদিনের স্মৃতি তো, তাকালেই কেঁদে ফেলবো!
আমি বেশিক্ষন তাকাইনি। খুব কাছের মানুষের চোখের দিকে বেশিক্ষন তাকিয়ে থাকা যায়না, যদি সে চোখ জলে টলমল করে।
ওটাই আমাদের শেষ দেখা ছিল। আর কখনো দেখা হয়নি; ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়! আমি যখন মৃন্ময়ীকে ছেড়ে চলে আসছিলাম, তখন আমার পা এগুচ্ছিলো না। মাথার ভেতর একটা নির্দিষ্ট মানুষের ঘোর লেগে ছিলো। শরীর থেকে মাথাটা আলাদা হয়ে গেলে মানুষের যেমন কষ্ট হয়, চলে আসার সময় আমার সেরকম বোধ হচ্ছিলো। যে মানুষ ঘর বানিয়ে বসে ছিলো মস্তিষ্কে, তাকে ছেড়ে আসার অনুভূতিটা শরীর থেকে মাথা আলাদা হওয়ার অনুভূতির মতোই। মৃন্ময়ীর সাথে কেন আলাদা হতে হয়েছিলো, সে গল্প আরেকদিন বলবো।
তবে, এটা ছিলো মিউচুয়্যালি দূরে যাওয়া। সম্পর্কে গ্যাপ হয়ে গেলে মানুষ যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে পারে হুট করে।
সমঝোতায় যে বিচ্ছেদ হয়, সে বিচ্ছেদে শেষ দেখা বলে একটা ব্যপার থাকে। ব্যপারটা অনেকটা এমন যে, কাঁদতে কাঁদতে মৃন্ময়ী বলেছিলো - নিজের যত্ন নিও! আমি মাটির দিকে তাকিয়ে জবাব দিয়েছিলাম- নিবো!
দুজনের কেউই শেষ সময়ে কারো দিকে ঠিকঠাক তাকাতে পারছিলাম না। অনেকদিনের স্মৃতি তো, তাকালেই কেঁদে ফেলবো!
ঘর ছাড়ার সময় আমার মৃন্ময়ীর কথা মনে পরেছিলো এজন্যই যে এই ব্যথার সাথে আমাদের পুরাতন সে ব্যথার অনেক মিল আছে।
এত'টা মিল যে দুটো ব্যথাকে একই মায়ের পেটের সহোদর মনে হয়।
এত'টা মিল যে দুটো ব্যথাকে একই মায়ের পেটের সহোদর মনে হয়।
আমার একজন বন্ধু আছে। অনেক বছর সংসার করার পর তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। আর দশটা মানুষের মতো সেও যখন নতুন জীবন শুরু করেছিলো, তার বুকের ভেতর স্বপ্ন ছিলো।
একটা ছিমছাম বাড়ি! একটা ফুলের টব দিয়ে সাজানো বারান্দা! একটা ড্রেসিং টেবিলের আয়নাতে লাগানো অসংখ্য টিপ! একটা নিজের মানুষ! বছর দুয়েক গড়ালেই হয়তো সমস্ত ঘরের মেঝেতে গুটি গুটি পায়ে হেটে বেড়াতো তাদের সন্তান!
এই স্বপ্নের বীজ অনিচ্ছায়ও মস্তিষ্কে রোপন হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত তারা আর একসাথে থাকেনি। যে সংসার সে ছেড়ে এসেছিলো, ওটা দেখতে একটা কক্ষ হলেও, তার আয়তন অনেক বড়। সংসার যতটুকু বিছানার চাদরে থাকে, তারচেয়ে বেশি থাকে মস্তিষ্কে! আমি বাহ্যিকতার চেয়ে মস্তিষ্ককে বেশি প্রাধান্য দেই। এই যে মানুষটা এতদিন একটা মানুষের সাথে একই ছাদের নিচে ছিলো, এই যে মানুষটা ঘুম ভেঙে তাকালেই একটা নির্দিষ্ট মানুষকে দেখতে পেতো, এই যে মানুষটার বুকের ভেতর আরেকটা স্বপ্নের পৃথিবী গড়ে উঠেছিল ইতিহাসের সভ্যতার মতন, কই সেসব ছেড়েও তো তাকে চলে আসতে হয়েছিলো ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। এলাকা ছেড়ে আসবার সময় আমার সে বন্ধুর কথা মনে পরে, যে বন্ধু একটা জলজ্যান্ত সংসার ছেড়ে চলে এসেছিলো অবিশ্বাসের পেয়ালাতে চুমুক দিয়ে। আসবার কালে সেও হয়তো ফেলে রেখে এসেছিলো চোখের কাজল কিংবা তুলতে ভুলে গিয়েছিলো আয়নায় লাগিয়ে রাখা কপালের টিপ।
একটা ছিমছাম বাড়ি! একটা ফুলের টব দিয়ে সাজানো বারান্দা! একটা ড্রেসিং টেবিলের আয়নাতে লাগানো অসংখ্য টিপ! একটা নিজের মানুষ! বছর দুয়েক গড়ালেই হয়তো সমস্ত ঘরের মেঝেতে গুটি গুটি পায়ে হেটে বেড়াতো তাদের সন্তান!
এই স্বপ্নের বীজ অনিচ্ছায়ও মস্তিষ্কে রোপন হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত তারা আর একসাথে থাকেনি। যে সংসার সে ছেড়ে এসেছিলো, ওটা দেখতে একটা কক্ষ হলেও, তার আয়তন অনেক বড়। সংসার যতটুকু বিছানার চাদরে থাকে, তারচেয়ে বেশি থাকে মস্তিষ্কে! আমি বাহ্যিকতার চেয়ে মস্তিষ্ককে বেশি প্রাধান্য দেই। এই যে মানুষটা এতদিন একটা মানুষের সাথে একই ছাদের নিচে ছিলো, এই যে মানুষটা ঘুম ভেঙে তাকালেই একটা নির্দিষ্ট মানুষকে দেখতে পেতো, এই যে মানুষটার বুকের ভেতর আরেকটা স্বপ্নের পৃথিবী গড়ে উঠেছিল ইতিহাসের সভ্যতার মতন, কই সেসব ছেড়েও তো তাকে চলে আসতে হয়েছিলো ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। এলাকা ছেড়ে আসবার সময় আমার সে বন্ধুর কথা মনে পরে, যে বন্ধু একটা জলজ্যান্ত সংসার ছেড়ে চলে এসেছিলো অবিশ্বাসের পেয়ালাতে চুমুক দিয়ে। আসবার কালে সেও হয়তো ফেলে রেখে এসেছিলো চোখের কাজল কিংবা তুলতে ভুলে গিয়েছিলো আয়নায় লাগিয়ে রাখা কপালের টিপ।
ছেড়ে আসার মতো এতটা কঠিন কিছু পৃথিবীতে নেই। এই কঠিনটাকেই কত সহজভাবে করে ফেলে মানুষ। এই যে ১১ বছরে স্মৃতির উপর যে স্মৃতি জমেছে, এসব ছেড়ে যেতে হবে ভাবতেই কেমন মন খারাপ হয়ে যায়। মন খারাপ হয়ে যায়, সেই টং দোকানের কথা ভাবলেই। সেই ঘরের দেয়ালের কথা ভাবলে। সেই জানালা, সেই বারান্দা। আহা, স্মৃতি! আহা, আমার বড় হওয়ার সহপাঠী! আহা, আমার জীবনের অসংখ্য সুন্দর সময়ের বন্ধু!
নতুন এলাকা নতুন সংসারের মতই হয়তো হয়৷
তবুও যে পুরাতন স্মৃতি ফেলে রেখে যাবো এই শহরের ছোট্ট এক গলিতে, সে স্মৃতি মাঝে মাঝে মন খারাপ করে দিবে অবসরে!
প্রথম প্রেমিকার পর হয়তো দ্বিতীয় প্রেমিকা আসে, তবুও নতুন মানুষের হাসির শব্দে মাঝে মাঝে মনে হয়, ওহো সেও একসময় এরকম করেই হাসতো! দ্বিতীয় প্রেমিকার প্রতিও প্রেম হয়, তবে মাঝরাতে আঙুল ধরলে মাঝে মাঝে সেই পুরাতন আঙুলের কথা মনে পরে যায়।
পুরাতন দূরে যায়, আবছা হয় কিন্তু পুরোপুরি মুছে যায়না। যে জিনিস প্রথম, সে জিনিস যত সস্তাই হোক না কেন, তার গুরুত্ব রয়ে যায় গোপনে।
তবুও যে পুরাতন স্মৃতি ফেলে রেখে যাবো এই শহরের ছোট্ট এক গলিতে, সে স্মৃতি মাঝে মাঝে মন খারাপ করে দিবে অবসরে!
প্রথম প্রেমিকার পর হয়তো দ্বিতীয় প্রেমিকা আসে, তবুও নতুন মানুষের হাসির শব্দে মাঝে মাঝে মনে হয়, ওহো সেও একসময় এরকম করেই হাসতো! দ্বিতীয় প্রেমিকার প্রতিও প্রেম হয়, তবে মাঝরাতে আঙুল ধরলে মাঝে মাঝে সেই পুরাতন আঙুলের কথা মনে পরে যায়।
পুরাতন দূরে যায়, আবছা হয় কিন্তু পুরোপুরি মুছে যায়না। যে জিনিস প্রথম, সে জিনিস যত সস্তাই হোক না কেন, তার গুরুত্ব রয়ে যায় গোপনে।
নতুন এলাকায় যাচ্ছি, নতুন ঘরে! এই নতুন ঘর আমার দ্বিতীয় প্রেমিকার মতোই হবে। প্রেম হয়ে যাবে ঠিকই, তবুও প্রথম প্রেমকে রিপ্লেস করে অত'টা বুকে ঢুকে যেতে পারবেনা!
প্রথম প্রেম প্রথম প্রেমই, সেটা মানুষ কিংবা ঘর যেটাই হোক!
প্রথম প্রেম প্রথম প্রেমই, সেটা মানুষ কিংবা ঘর যেটাই হোক!
Comments
Post a Comment