সময় মানুষকে বদলে দেয়, এটা চিরন্তন সত্য!
রোজ রোজ মানুষের শারীরিক পরিবর্তনের মতো, মানুষের চিন্তা ভাবনা এবং আদর্শেরও পরিবর্তন হয়।
রোজ রোজ মানুষের শারীরিক পরিবর্তনের মতো, মানুষের চিন্তা ভাবনা এবং আদর্শেরও পরিবর্তন হয়।
খুব ছোটবেলায় বাজারের টাকা থেকে ৭ টাকা খরচ করে প্রানের জুস খেয়ে টাকার হিসেব কিভাবে দিবো এই ভয় নিয়ে বাসায় ঢুকেই মা কে বললাম "ইশ, একটুর জন্য প্রাণের বোতলের কুপনে ফ্রীজটা পেলাম না! আমার পর যে কিনেছে, সে একটা ফ্রীজ নিয়ে বাসায় চলে গেলো!"
আমার মা আমার কথা সবই বিশ্বাস করে ফেললো। এরপর ২০ বছর কেটে গেছে, আমার একাডেমিক শিক্ষার সার্টিফিকেট জমেছে আলমারিতে। আমার ফাইভ পাশ মায়ের সার্টিফিকেট জমেনি কোন। তবে, তাকে এখন আর ফাইভ পাশ গৃহিণী মনে হয়না। কোথায় ভালো পড়াশুনা হয়, কোন সাবজেক্টের চাহিদা জব মার্কেটে কেমন, সন্তানদের উচ্চশিক্ষিত করা কেন প্রয়োজন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বর্তমান অবস্থা কি!
আকাশে মেঘ ডাকলেই যিনি চিন্তিত হয়ে পরতেন, সে এখন আবহাওয়ার সংবাদ দেখে অনুমান করে, এই মেঘলা আবহাওয়া আর ক'দিন চলতে পারে!
এই তো ২০ বছর আগেও আমার মা আলু দিয়ে কেবল মুরগিই রান্না করতে জানতো। আজকাল বাড়ি গেলে দেখি, চিকেন ক্রাম ফ্রাই, রোল, চিকেন স্যানডুইচ, আরো কত কি রান্না করে সামনে নিয়ে আসে।
আমার মা এখন জানে, প্রাণের জুসের বোতলের কুপনে কেউ আসলে ফ্রীজ পায়না, ওসব ভাওতাবাজী, মার্কেটিং পলিসি!
মানুষকে সময়ের সাথে সাথে বদলে যেতে হয়। বদলে যাওয়াটা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ালে, এটা তখন বাধ্যতামূলক হয়ে যায়!
আমার মা আমার কথা সবই বিশ্বাস করে ফেললো। এরপর ২০ বছর কেটে গেছে, আমার একাডেমিক শিক্ষার সার্টিফিকেট জমেছে আলমারিতে। আমার ফাইভ পাশ মায়ের সার্টিফিকেট জমেনি কোন। তবে, তাকে এখন আর ফাইভ পাশ গৃহিণী মনে হয়না। কোথায় ভালো পড়াশুনা হয়, কোন সাবজেক্টের চাহিদা জব মার্কেটে কেমন, সন্তানদের উচ্চশিক্ষিত করা কেন প্রয়োজন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বর্তমান অবস্থা কি!
আকাশে মেঘ ডাকলেই যিনি চিন্তিত হয়ে পরতেন, সে এখন আবহাওয়ার সংবাদ দেখে অনুমান করে, এই মেঘলা আবহাওয়া আর ক'দিন চলতে পারে!
এই তো ২০ বছর আগেও আমার মা আলু দিয়ে কেবল মুরগিই রান্না করতে জানতো। আজকাল বাড়ি গেলে দেখি, চিকেন ক্রাম ফ্রাই, রোল, চিকেন স্যানডুইচ, আরো কত কি রান্না করে সামনে নিয়ে আসে।
আমার মা এখন জানে, প্রাণের জুসের বোতলের কুপনে কেউ আসলে ফ্রীজ পায়না, ওসব ভাওতাবাজী, মার্কেটিং পলিসি!
মানুষকে সময়ের সাথে সাথে বদলে যেতে হয়। বদলে যাওয়াটা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ালে, এটা তখন বাধ্যতামূলক হয়ে যায়!
মানুষকে বদলে যেতে হয় নিজের জন্য!
এই যে বছরের পর বছর আমরা নির্দিষ্ট কোন মানুষের সাথে সম্পর্কে থাকি। সকাল বিকাল দুপুর যত্ন নিই। খেয়েছে কিনা, ঘুমিয়েছে কিনা নানান ব্যপারগুলো জানার আগ্রহকে বাঁচিয়ে রাখি। মানুষটার খোঁজ খবর না পেলে, দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে উঠি।
তারপর যখন সম্পর্কটা থাকেনা, যোগাযোগ ক্রমশ কমতে কমতে খুব কাছের মানুষের অবয়বটাও আবছা হয়ে আসে, তখন আমরা বদলে যাই।
যার একবেলার খোঁজ না পেলে দুঃশ্চিন্তা হতো, অথচ সম্পর্কটা না থাকলে, বছরের পর বছর সেই মানুষটার কোন খোঁজ না পেলেও আর টেনশন হয়না।
সময় সবকিছুর গতিকেই একসময় পরিবর্তন করে দেয়।
এই যে বছরের পর বছর আমরা নির্দিষ্ট কোন মানুষের সাথে সম্পর্কে থাকি। সকাল বিকাল দুপুর যত্ন নিই। খেয়েছে কিনা, ঘুমিয়েছে কিনা নানান ব্যপারগুলো জানার আগ্রহকে বাঁচিয়ে রাখি। মানুষটার খোঁজ খবর না পেলে, দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে উঠি।
তারপর যখন সম্পর্কটা থাকেনা, যোগাযোগ ক্রমশ কমতে কমতে খুব কাছের মানুষের অবয়বটাও আবছা হয়ে আসে, তখন আমরা বদলে যাই।
যার একবেলার খোঁজ না পেলে দুঃশ্চিন্তা হতো, অথচ সম্পর্কটা না থাকলে, বছরের পর বছর সেই মানুষটার কোন খোঁজ না পেলেও আর টেনশন হয়না।
সময় সবকিছুর গতিকেই একসময় পরিবর্তন করে দেয়।
সম্পর্কের শুরুর দিকের মানুষটা শেষ পর্যন্ত আর শুরুর মতোই থাকেনা।
মানুষ বদলে যায় সকালে, বিকালে, সন্ধ্যায়!
প্রেমে পরলে মানুষ বলে "তোমাকে ছাড়া বাঁচবোনা" এই অনুভূতিটা আসলে পুরোপুরি মিথ্যা না। যখন মানুষ কোন কিছুতে নিজেকে ডুবিয়ে রাখে, তখন ওটাই তার আশ্রয় হয়ে যায়!
বাবার বাড়ি থেকে মেয়েরা স্বামীর ঘরে যাওয়ার পর যদি মা বাবা স্বামীকে নিয়ে কোন কটু কথা বলে, তাহলে মেয়ে এটা সহ্য করতে পারেনা। কারন, এটাই এখন তার আশ্রয়!
এই যে "আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবোনা" বলা মানুষগুলোও একসময় সেই মানুষটাকে ছাড়াই বাঁচতে শিখে যায়, এটা প্রয়োজন! বেঁচে থাকার প্রয়োজনকে উপলব্ধি করার পর সেসব মরে যাওয়ার গল্পে হাসি চলে আসে!
বেঁচে থাকার ইচ্ছা এবং মরে যাবো টাইপ দুটো অনুভূতির অস্তিত্বই আমাদের জীবনে আছে। শুধু মাঝখানে সময় সবকিছুকে বদলে দিয়ে যায়!
মানুষ বদলে যায় সকালে, বিকালে, সন্ধ্যায়!
প্রেমে পরলে মানুষ বলে "তোমাকে ছাড়া বাঁচবোনা" এই অনুভূতিটা আসলে পুরোপুরি মিথ্যা না। যখন মানুষ কোন কিছুতে নিজেকে ডুবিয়ে রাখে, তখন ওটাই তার আশ্রয় হয়ে যায়!
বাবার বাড়ি থেকে মেয়েরা স্বামীর ঘরে যাওয়ার পর যদি মা বাবা স্বামীকে নিয়ে কোন কটু কথা বলে, তাহলে মেয়ে এটা সহ্য করতে পারেনা। কারন, এটাই এখন তার আশ্রয়!
এই যে "আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবোনা" বলা মানুষগুলোও একসময় সেই মানুষটাকে ছাড়াই বাঁচতে শিখে যায়, এটা প্রয়োজন! বেঁচে থাকার প্রয়োজনকে উপলব্ধি করার পর সেসব মরে যাওয়ার গল্পে হাসি চলে আসে!
বেঁচে থাকার ইচ্ছা এবং মরে যাবো টাইপ দুটো অনুভূতির অস্তিত্বই আমাদের জীবনে আছে। শুধু মাঝখানে সময় সবকিছুকে বদলে দিয়ে যায়!
আজ সন্ধ্যায় একজনের সাথে কথা বলার সময় জানতে পারলাম, তার বোনের দাম্পত্য জীবনে তেমন একটা সুখকর ব্যপার নেই।
যেকোন সময় তারা আলাদা হয়ে যেতে পারে। তাদের বিয়ে হয়েছিলো ভালোবেসে। জোর করে কারো কাঁধে কাউকে তুলে দেওয়া হয়নি।
তারা নিজেরাই একজন অন্যজনকে বিশ্বাস করে এক ছাদের নিচে জীবনের যাত্রা শুরু করেছিলো। ৪ বছর প্রেমের পর ১২ বছরের সংসার! সময়টা একেবারেই কম সময় না।
এই গল্পটা শুনতে শুনতে আমি তাদের ১৬ বছর আগের কথা কল্পনা করা শুরু করলাম। কেমন ছিল তখন তারা?
নিশ্চয়ই মেয়েটা পথ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় ছেলেটা ফরমাল প্যান্টের সাথে টি-শার্ট ইন করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতো।
বাসা থেকে বের হওয়ার কালে চিরুনী দিয়ে চুল আচরিয়ে আয়নায় বার বার নিজেকে দেখতে দেখতে ভাবতো, ওর চোখে ভালো লাগবে তো?
আমার চোখে মেয়েটার কৈশোরের অবয়বটা ভেসে উঠে। হয়তো কলেজ যাওয়ার আগে গাঢ় করে কাজল লেপ্টে নিতো চোখে। যেন তার দিকে তাকালেই প্রেমিকের বুকের ভেতর মোচড় দেয়!
সময়টা হয়তো অনেকটা এরকমই কেটেছিলো। ভালোবাসতে বাসতেই হয়তো দুজন মানুষ নিজেদের মস্তিষ্কে একটা ছিমছাম সংসার সাজিয়ে ফেলতো। দু রুমের ঘর! বারান্দায় ফুলের টব! প্রচন্ড মন খারাপে একজন অন্যজনের বুকে নাক গুজে বসে থাকার কল্পনা।
সংসার শুরুর পর সবকিছু হয়তো ঠিকঠাকই চলছিলো! তারপর আস্তে আস্তে আর চলছিলো না। একেবারে থেমে যাওয়া এবং দ্রুত হেটে চলার মাঝে একটা কচ্ছপ গতি থাকে। এই গতিতে হেটে চলা সংসার অনেকটা থেমে যাওয়ার মতোই।
সবচেয়ে বিশ্বাসের জায়গাটায় একটা সময় মানুষের অবিশ্বাস ঢুকে যায়।
সম্পর্কে অবিশ্বাস প্রবেশ করলে, সেখানে আর মুগ্ধতা থাকেনা। মানুষ পাশের বালিশে শুয়েও একা হয়ে যায়!
আমি গল্পটা শুনতে শুনতে ভাবছিলাম, সময় সবকিছু কত'টা বদলে দিতে পারে!
১৬ বছর একই ছাদের নিচে থেকেও দুজন মানুষ একজন অন্যজনকে চিনতে পারেনা!
যেকোন সময় তারা আলাদা হয়ে যেতে পারে। তাদের বিয়ে হয়েছিলো ভালোবেসে। জোর করে কারো কাঁধে কাউকে তুলে দেওয়া হয়নি।
তারা নিজেরাই একজন অন্যজনকে বিশ্বাস করে এক ছাদের নিচে জীবনের যাত্রা শুরু করেছিলো। ৪ বছর প্রেমের পর ১২ বছরের সংসার! সময়টা একেবারেই কম সময় না।
এই গল্পটা শুনতে শুনতে আমি তাদের ১৬ বছর আগের কথা কল্পনা করা শুরু করলাম। কেমন ছিল তখন তারা?
নিশ্চয়ই মেয়েটা পথ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় ছেলেটা ফরমাল প্যান্টের সাথে টি-শার্ট ইন করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতো।
বাসা থেকে বের হওয়ার কালে চিরুনী দিয়ে চুল আচরিয়ে আয়নায় বার বার নিজেকে দেখতে দেখতে ভাবতো, ওর চোখে ভালো লাগবে তো?
আমার চোখে মেয়েটার কৈশোরের অবয়বটা ভেসে উঠে। হয়তো কলেজ যাওয়ার আগে গাঢ় করে কাজল লেপ্টে নিতো চোখে। যেন তার দিকে তাকালেই প্রেমিকের বুকের ভেতর মোচড় দেয়!
সময়টা হয়তো অনেকটা এরকমই কেটেছিলো। ভালোবাসতে বাসতেই হয়তো দুজন মানুষ নিজেদের মস্তিষ্কে একটা ছিমছাম সংসার সাজিয়ে ফেলতো। দু রুমের ঘর! বারান্দায় ফুলের টব! প্রচন্ড মন খারাপে একজন অন্যজনের বুকে নাক গুজে বসে থাকার কল্পনা।
সংসার শুরুর পর সবকিছু হয়তো ঠিকঠাকই চলছিলো! তারপর আস্তে আস্তে আর চলছিলো না। একেবারে থেমে যাওয়া এবং দ্রুত হেটে চলার মাঝে একটা কচ্ছপ গতি থাকে। এই গতিতে হেটে চলা সংসার অনেকটা থেমে যাওয়ার মতোই।
সবচেয়ে বিশ্বাসের জায়গাটায় একটা সময় মানুষের অবিশ্বাস ঢুকে যায়।
সম্পর্কে অবিশ্বাস প্রবেশ করলে, সেখানে আর মুগ্ধতা থাকেনা। মানুষ পাশের বালিশে শুয়েও একা হয়ে যায়!
আমি গল্পটা শুনতে শুনতে ভাবছিলাম, সময় সবকিছু কত'টা বদলে দিতে পারে!
১৬ বছর একই ছাদের নিচে থেকেও দুজন মানুষ একজন অন্যজনকে চিনতে পারেনা!
পৃথিবীতে একমাত্র মানুষই কেবল সময়ে অসময়ে বদলে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। যেমন করে কালের বিবর্তনে মফস্বল শহরও বড় বড় অট্টালিকায় ছেয়ে যায়!
পৃথিবীর বিবর্তনের চেয়ে মানুষের বিবর্তন হয় দ্রুত! প্রিয় মানুষ অপ্রিয় হয়! কাছের মানুষ দূরে যায়! দূরের মানুষ কখনো কখনো হুট করে কাছে চলে আসে!
আঙুল ধরে হাটতে হাটতে বহুদূর যাওয়ার পর মানুষ মাঝে মাঝে টের পায়, ভুল আঙুলের ভরসায় যাত্রা করেছে ভুল গন্তব্যে!
পৃথিবীর বিবর্তনের চেয়ে মানুষের বিবর্তন হয় দ্রুত! প্রিয় মানুষ অপ্রিয় হয়! কাছের মানুষ দূরে যায়! দূরের মানুষ কখনো কখনো হুট করে কাছে চলে আসে!
আঙুল ধরে হাটতে হাটতে বহুদূর যাওয়ার পর মানুষ মাঝে মাঝে টের পায়, ভুল আঙুলের ভরসায় যাত্রা করেছে ভুল গন্তব্যে!
সময় বদলে দেয় দুঃখ কষ্টের গভীরতা! সময় বাড়িয়ে দেয় দূরত্ব! সময় কমিয়ে দেয় গুরুত্ব!
আজকে আমরা যার জন্য মরে যাই, একদিন তার কথা আর মনেও পরবেনা!
হয়তো মাঝে মাঝে অবসরে একসময়ের কাছের মানুষের ছায়া এসে সামনে দাঁড়িয়ে যায়, তারপর অনেক অনেক সময় পর ছায়াটাও আর দাঁড়ায় না!
আজকে আমরা যার জন্য মরে যাই, একদিন তার কথা আর মনেও পরবেনা!
হয়তো মাঝে মাঝে অবসরে একসময়ের কাছের মানুষের ছায়া এসে সামনে দাঁড়িয়ে যায়, তারপর অনেক অনেক সময় পর ছায়াটাও আর দাঁড়ায় না!
প্রিয় মানুষের মুখের অবয়বের মতো, হৃদপিন্ডের ক্ষতও একসময় আবছা হয়ে আসে!
যাকে এক সেকেন্ডের জন্য ভুলে থাকা যায়নি, কখনো কখনো তার মুখটা মনে করতে যেয়েও আর মনে করা যায়না!
যাকে এক সেকেন্ডের জন্য ভুলে থাকা যায়নি, কখনো কখনো তার মুখটা মনে করতে যেয়েও আর মনে করা যায়না!
জীবনের সমস্ত দুঃখ কষ্টের গল্পই , সময়ের স্রোতে একসময় তার ইমপর্টেন্স হারিয়ে ফেলে!
Comments
Post a Comment