বেশ কিছুদিন যাবত মনটা একধরনের বিষন্নতায় আক্রান্ত। ঠিক কি কারনে বিষন্ন তার নির্দিষ্ট কোন কারন খুঁজে পাইনি। আসলে, আমি চাইনি বিষন্নতার কারনটা আমি খুঁজি!
পৃথিবীর সবকিছু খুঁজতে চাইলেই জটিলতা বেড়ে যায়! মাঝে মাঝে এমন শুনি, কেউ কেউ বলছে মনের মতো কাউকে খুঁজে পায়নি বলে, এখনো তার একটা নিজের মানুষ হলো না।
এই মানুষগুলো মনের মতো মানুষ খুঁজতে যায় বলেই, আর খুঁজে পায়না। খুঁজে খু্জে নিজের চাহিদার মতো হুবুহু মিল রেখে মানুষ পাওয়া যায়না। নিজের মানুষ কিংবা ব্যক্তিগত মানুষ যাইহোক না কেন, এসব হুট করে জীবনে চলে আসে।
খুব ছোটবেলায় যখন পাড়ার মাঠে ক্রিকেট খেলতাম, তখন মাঝে মাঝে বল ছোট্ট ঝোপে গিয়ে পরতো। সামান্য জঙ্গল, কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা খুঁজেও বলটা পেতাম না। অনেকদিন পর ওই ঝোপের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় দেখতাম, বলটা পরে আছে। মূলত, যখন আমরা কোন কিছু খুঁজি, তখন ওটা পাওয়া যায়না। ওসব এমন একটা সময়ে পাওয়া যায়, যখন আর খুঁজিনা। এই খুঁজে পাওয়ার চেষ্টাটাই সবকিছু নিখোঁজ করে দেয়!
পৃথিবীর সবকিছু খুঁজতে চাইলেই জটিলতা বেড়ে যায়! মাঝে মাঝে এমন শুনি, কেউ কেউ বলছে মনের মতো কাউকে খুঁজে পায়নি বলে, এখনো তার একটা নিজের মানুষ হলো না।
এই মানুষগুলো মনের মতো মানুষ খুঁজতে যায় বলেই, আর খুঁজে পায়না। খুঁজে খু্জে নিজের চাহিদার মতো হুবুহু মিল রেখে মানুষ পাওয়া যায়না। নিজের মানুষ কিংবা ব্যক্তিগত মানুষ যাইহোক না কেন, এসব হুট করে জীবনে চলে আসে।
খুব ছোটবেলায় যখন পাড়ার মাঠে ক্রিকেট খেলতাম, তখন মাঝে মাঝে বল ছোট্ট ঝোপে গিয়ে পরতো। সামান্য জঙ্গল, কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা খুঁজেও বলটা পেতাম না। অনেকদিন পর ওই ঝোপের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় দেখতাম, বলটা পরে আছে। মূলত, যখন আমরা কোন কিছু খুঁজি, তখন ওটা পাওয়া যায়না। ওসব এমন একটা সময়ে পাওয়া যায়, যখন আর খুঁজিনা। এই খুঁজে পাওয়ার চেষ্টাটাই সবকিছু নিখোঁজ করে দেয়!
আমি যখন বিষন্নতায় থাকি, তখন বিষন্নতাটাকে প্রবল ভাবে নিজের ভেতর ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। সবকিছু ঠিকঠাক চলছে টাইপ জীবনটা সাদামাটা লাগে। জীবনকে উপভোগ করতে হয় তখন, যখন সবকিছু আর ঠিকঠাক চলছেনা।
একটা সম্পর্ক চলাকালীন সময়ে একজন অন্যজনের অস্তিত্বটা অত'টা টের পায়না, যত'টা সম্পর্কটা নষ্ট হওয়ার পর টের পায়!
আমি বরাবরই নিজেকে অনুসন্ধান করতে চাই। আমি বুঝতে চাই দুঃখ কষ্টে আমি কতটা সহনশীল। আমি দেখি, প্রচন্ড একাকিত্বে আমার কত'টা নিঃসঙ্গ লাগতে পারে।
আমি খুঁজি, মরে যেতে ইচ্ছে হওয়ার মুহূর্তে বেঁচে থাকলে, জীবনটা কেমন লাগে। জীবনের এই নানান রকমের স্বাদ, রং, ঘ্রাণটাকে উপলব্ধি করতে হলে বিষন্নতা আসা লাগে।
একটা সম্পর্ক চলাকালীন সময়ে একজন অন্যজনের অস্তিত্বটা অত'টা টের পায়না, যত'টা সম্পর্কটা নষ্ট হওয়ার পর টের পায়!
আমি বরাবরই নিজেকে অনুসন্ধান করতে চাই। আমি বুঝতে চাই দুঃখ কষ্টে আমি কতটা সহনশীল। আমি দেখি, প্রচন্ড একাকিত্বে আমার কত'টা নিঃসঙ্গ লাগতে পারে।
আমি খুঁজি, মরে যেতে ইচ্ছে হওয়ার মুহূর্তে বেঁচে থাকলে, জীবনটা কেমন লাগে। জীবনের এই নানান রকমের স্বাদ, রং, ঘ্রাণটাকে উপলব্ধি করতে হলে বিষন্নতা আসা লাগে।
যখনই আমি আমার ভেতর বিষন্নতা টের পাই, তখন মনে মনে আনন্দিত হই। আনন্দিত হই, কারন এটাই আমার নিজেকে উপলব্ধি করার সবচেয়ে বেস্ট সময়। এসব অজানা চাপা দুঃখ কষ্টের সময়ে আমার একা হওয়ার শখ হয়। ইচ্ছে হয়, সমুদ্রে চলে যাই। সমুদ্র মাঝে মাঝে খুব টানে।
অনেকে বলে, সমুদ্রের চেয়ে তাদের পাহাড় ভালো লাগে। পাহাড় এবং সমুদ্রের সৌন্দর্য নিয়ে আমি কাউকেই ছোট করতে চাইনা। তবে, পাহাড় আমাকে টানে না। সমুদ্রকে আপন লাগে। কেমন নিজের নিজের মনে হয়।
যখন মন খারাপ মন খারাপ একটা আবহ মস্তিষ্কে ঘুরে বেরায়, আমার সমুদ্রের কথা মনে পরে। সমুদ্র কখনো প্রেমিকার মতো, কখনো কখনো মায়ের আচলে জরানো নিশ্চিন্ত আশ্রয়ের মতন।
অনেকে বলে, সমুদ্রের চেয়ে তাদের পাহাড় ভালো লাগে। পাহাড় এবং সমুদ্রের সৌন্দর্য নিয়ে আমি কাউকেই ছোট করতে চাইনা। তবে, পাহাড় আমাকে টানে না। সমুদ্রকে আপন লাগে। কেমন নিজের নিজের মনে হয়।
যখন মন খারাপ মন খারাপ একটা আবহ মস্তিষ্কে ঘুরে বেরায়, আমার সমুদ্রের কথা মনে পরে। সমুদ্র কখনো প্রেমিকার মতো, কখনো কখনো মায়ের আচলে জরানো নিশ্চিন্ত আশ্রয়ের মতন।
বছর চারেক আগে একবার সমুদ্র দেখতে গিয়েছিলাম। বন্ধুদের সাথে গিয়েও আমার কেমন একা হতে ইচ্ছে হচ্ছিলো।
বিকেলে যখন সবাই হোটেলে গল্প করছে, তখন আমি একা হাটতে বেরিয়েছি। চারিদিকে সন্ধ্যার লাল আভা সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পরছে পাড়ে। প্রতিটা ঢেউয়ের শব্দ অনেকটা হৃদয় ভাঙার শব্দের মতো। ঢেউয়ের শব্দ যত'টা কানে লাগে, তারচেয়েও বেশি লাগে বুকে। আমার কোন হারানো মানুষ নেই। হারিয়েছে বহু মানুষই, তবুও ওসবকে আমার হারানো মানুষ বলা যায়না। হারানো মানুষ আর আমার হারানো মানুষ বলার মাঝে অনুভবের একটা বিস্তর পার্থক্য আছে।
আমার বলা যায় তাকে, যার উপর আমার অধিকার আছে। সমস্ত অধিকার সাথে নিয়ে যে মানুষ চলে যায় অসময়ের ট্রেনে, তাকে আমি আমার বলিনা।
আমার বলতে আমি কেবল আমার দুঃখ কষ্ট আর বিষন্নতাকে বুঝি। এরা ঘুরে ফিরে বারবার জীবনে আসে। থাকেনা হয়তো, তবুও ফিরে ফিরে আসে, বেঈমানি করে না।
দুঃখ কষ্ট বিষন্নতা ও নিঃসঙ্গতাকে আমি আমার বলি। এরা যখন আসে, তখন এদের প্রতি একটা অধিকার থাকে। এরা চলে গেলেও অধিকারটা যায়না। বহুবছর পরও কোন দুঃখের গল্প বলতে যেয়ে আমরা বলি, আমার একটা দুঃখের গল্প আছে!
এই আমার শব্দটা আমি অধিকার ছাড়া কাউকে বলিনা।
বিকেলে যখন সবাই হোটেলে গল্প করছে, তখন আমি একা হাটতে বেরিয়েছি। চারিদিকে সন্ধ্যার লাল আভা সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পরছে পাড়ে। প্রতিটা ঢেউয়ের শব্দ অনেকটা হৃদয় ভাঙার শব্দের মতো। ঢেউয়ের শব্দ যত'টা কানে লাগে, তারচেয়েও বেশি লাগে বুকে। আমার কোন হারানো মানুষ নেই। হারিয়েছে বহু মানুষই, তবুও ওসবকে আমার হারানো মানুষ বলা যায়না। হারানো মানুষ আর আমার হারানো মানুষ বলার মাঝে অনুভবের একটা বিস্তর পার্থক্য আছে।
আমার বলা যায় তাকে, যার উপর আমার অধিকার আছে। সমস্ত অধিকার সাথে নিয়ে যে মানুষ চলে যায় অসময়ের ট্রেনে, তাকে আমি আমার বলিনা।
আমার বলতে আমি কেবল আমার দুঃখ কষ্ট আর বিষন্নতাকে বুঝি। এরা ঘুরে ফিরে বারবার জীবনে আসে। থাকেনা হয়তো, তবুও ফিরে ফিরে আসে, বেঈমানি করে না।
দুঃখ কষ্ট বিষন্নতা ও নিঃসঙ্গতাকে আমি আমার বলি। এরা যখন আসে, তখন এদের প্রতি একটা অধিকার থাকে। এরা চলে গেলেও অধিকারটা যায়না। বহুবছর পরও কোন দুঃখের গল্প বলতে যেয়ে আমরা বলি, আমার একটা দুঃখের গল্প আছে!
এই আমার শব্দটা আমি অধিকার ছাড়া কাউকে বলিনা।
বেশ কিছুদিন যাবত যে আমি একটা চাপা বিষন্নতার ভেতর আছি এটা টের পাই, যখন আমি আর লিখতে পারিনা।
আমি ঘরে বাইরে, ফোনে, ফেসবুকে, কাগজে কলমে টুকটাক লিখালিখি করি। যখন সময় পাই লিখি। একটা সিগারেট জ্বালিয়ে শেষ করার আগেই একটা পুরো গল্প মাথায় আসে। নতুন কিছু শব্দ আসে। নতুন নতুন অনুভব করার ইন্দ্রিয় জাগ্রত হয়।
বেশ কিছুদিন ধরে, ওসব লিখালিখি আর আসেনা। আমি একটা স্ট্যাটাস লিখতে যেয়ে চার ঘন্টা বসে থেকেও দুটো শব্দ বের করতে পারিনা।
জোর করে যে দু একটা লাইন লিখি, ওসব অখাদ্য লেখা নিজেরই পছন্দ হয়না। আমার পছন্দ হয়না এমন লেখা ছাড়া আমি খুব কমই লিখি। মাঝে মাঝে এমন হয় ৩ ঘন্টা কষ্ট করে টাইপ করে লিখা স্ট্যাটাসটা ১০ মিনিট পর আবার অনলি মি করে দিই। দ্বিতীয়বার পড়ার পর নিজের কাছেই নিজের লেখাটা আর ভালো লাগে না। যে লেখা আমার নিজেকে সন্তুষ্ট করতে পারেনা, সে লেখা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়াটা অন্যায়। আমি মানুষের জন্য লিখি, তবে তার আগে আমি আমার নিজের জন্য লিখি৷ লিখার একটা আলাদা পৃথিবী আছে। ওই পৃথিবীতে একবার ঢুকে গেলে আর বের হতে ইচ্ছে হয়না। ওটা আমার নিজের পৃথিবী। আমার বলছি, কারন এই জগতটাতে আর কারো প্রবেশাধিকার নেই।
এখানে কারো মন জোগাতে হয়না। এই লিখাটা যখন লেখা শুরু করেছি, তখনও কোন কিছু মাথায় নিয়ে লিখছিনা। লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে লিখছি। যা মাথায় আসছে, তা লিখছি। কারো কথা তোয়াক্কা করে লিখতে হচ্ছেনা।
লিখতে লিখতে এই লেখাটা কোন দিকে যাবে এটা আপাতত আমি নিজেও অনুমান করতে পারছিনা। আমি আসলে অনুমান করতে চাইছিও না। কিছু কিছু জিনিস অনুমান করতে নেই। সমাপ্তি জেনে গেলে, সেই জিনিসের গভিরতা হারায়! গুরুত্ব হারায়!
আমি ঘরে বাইরে, ফোনে, ফেসবুকে, কাগজে কলমে টুকটাক লিখালিখি করি। যখন সময় পাই লিখি। একটা সিগারেট জ্বালিয়ে শেষ করার আগেই একটা পুরো গল্প মাথায় আসে। নতুন কিছু শব্দ আসে। নতুন নতুন অনুভব করার ইন্দ্রিয় জাগ্রত হয়।
বেশ কিছুদিন ধরে, ওসব লিখালিখি আর আসেনা। আমি একটা স্ট্যাটাস লিখতে যেয়ে চার ঘন্টা বসে থেকেও দুটো শব্দ বের করতে পারিনা।
জোর করে যে দু একটা লাইন লিখি, ওসব অখাদ্য লেখা নিজেরই পছন্দ হয়না। আমার পছন্দ হয়না এমন লেখা ছাড়া আমি খুব কমই লিখি। মাঝে মাঝে এমন হয় ৩ ঘন্টা কষ্ট করে টাইপ করে লিখা স্ট্যাটাসটা ১০ মিনিট পর আবার অনলি মি করে দিই। দ্বিতীয়বার পড়ার পর নিজের কাছেই নিজের লেখাটা আর ভালো লাগে না। যে লেখা আমার নিজেকে সন্তুষ্ট করতে পারেনা, সে লেখা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়াটা অন্যায়। আমি মানুষের জন্য লিখি, তবে তার আগে আমি আমার নিজের জন্য লিখি৷ লিখার একটা আলাদা পৃথিবী আছে। ওই পৃথিবীতে একবার ঢুকে গেলে আর বের হতে ইচ্ছে হয়না। ওটা আমার নিজের পৃথিবী। আমার বলছি, কারন এই জগতটাতে আর কারো প্রবেশাধিকার নেই।
এখানে কারো মন জোগাতে হয়না। এই লিখাটা যখন লেখা শুরু করেছি, তখনও কোন কিছু মাথায় নিয়ে লিখছিনা। লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে লিখছি। যা মাথায় আসছে, তা লিখছি। কারো কথা তোয়াক্কা করে লিখতে হচ্ছেনা।
লিখতে লিখতে এই লেখাটা কোন দিকে যাবে এটা আপাতত আমি নিজেও অনুমান করতে পারছিনা। আমি আসলে অনুমান করতে চাইছিও না। কিছু কিছু জিনিস অনুমান করতে নেই। সমাপ্তি জেনে গেলে, সেই জিনিসের গভিরতা হারায়! গুরুত্ব হারায়!
অনেক মানুষকে দেখি, তার নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করতে চায়।
আমি বরাবরই আমার মনের পক্ষে। মনটা তো আমার, এর বিরুদ্ধে চলে গেলে জীবন জটিল হয়।
যেহেতু মনটা আমার, তাই মনের কথা ঠিকঠাক শুনার দায়বদ্ধতাটাও আমার।
আমি বরাবরই আমার মনের পক্ষে। মনটা তো আমার, এর বিরুদ্ধে চলে গেলে জীবন জটিল হয়।
যেহেতু মনটা আমার, তাই মনের কথা ঠিকঠাক শুনার দায়বদ্ধতাটাও আমার।
আমার মন কোন কিছু করতে নিষেধ করছে মানে, আমি সেটা করবোনা। আমার মন কোন কিছু করতে চাইছে মানে, আমি তাকে আটকাবো না। মনটাকে ধরে বেধে চলাটা আসলে বাহিরের পৃথিবীর কিছু বাধ্যবাধকতাকে মেনে নেওয়ার মতোই। ভাবা যায়, মানুষ মাঝে মাঝে তার নিজের মনের লাগামটা টেনে ধরে।
অথচ, মন নামক এই পাগলা ঘোড়াটাকে দৌড়াতে দিতে হয়। যাক যেদিক খুশি সেদিক। একটাই তো জীবন, এতো হিসেব করে জটিলতা বাড়িয়ে কি লাভ!
জীবনের দুঃখ কষ্টেরও লাগাম টেনে ধরতে নেই। বেপোরোয়া যদি হতে চায়, হোক। এসবকে স্বাধীন করে দিতে হয়। দুঃখ কষ্ট তো ছোয়াচে না। এটা ছুটে চলে নিজের শরীরে! মগজে! মননে! চিন্তায়!
অথচ, মন নামক এই পাগলা ঘোড়াটাকে দৌড়াতে দিতে হয়। যাক যেদিক খুশি সেদিক। একটাই তো জীবন, এতো হিসেব করে জটিলতা বাড়িয়ে কি লাভ!
জীবনের দুঃখ কষ্টেরও লাগাম টেনে ধরতে নেই। বেপোরোয়া যদি হতে চায়, হোক। এসবকে স্বাধীন করে দিতে হয়। দুঃখ কষ্ট তো ছোয়াচে না। এটা ছুটে চলে নিজের শরীরে! মগজে! মননে! চিন্তায়!
আমার প্রেমিকা বলে, তুমি তো কখনো নিজের মন খারাপের কথা শেয়ার করো না।
যে জিনিস একান্তই আমার, সে জিনিস মানুষের মাঝে ছড়াবো না কখনো। দুঃখী দুঃখী জীবনের গল্প যেখানে সেখানে ছড়িয়ে দিলে দুঃখ কমেনা। বরং বিপরীত পাশ থেকে সিমপ্যাথি আসে।
আমি আমার জীবনে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করি করুনা। করুনা করে আমার দুঃখের গল্পে কেউ "আহারে" বলে আহাজারি করবে, এরকম আহামরি ইচ্ছা আমার হয়না।
আমি দুঃখ কষ্ট বেচে খেতে চাইনা, দুঃখ কষ্ট আমার ব্যক্তিগত। এসব নিজের ভেতর থাকবে গোপনে।
কারো আহারে আহারে শুনে ব্যথা কমে না। ব্যথা কমানোর প্রয়োজনবোধটাও আমার কম। আমার ব্যথা আমার একার।
এসব সয়ে সয়ে বুঝেছি, জীবনের সমস্ত ঘাঁ একসময় শুকায়। ব্যথা কমে যায়। শূন্যতার গভিরতায় পলিমাটি পরে ভরাট হয়।
সমস্ত বিষন্নতাই আবছা হতে হতে একসময় এত'টা দূরে চলে যায় যে ওসব খুঁজে বের করতে দূরবীক্ষন যন্ত্র প্রয়োজন হয়।
যে জিনিস একান্তই আমার, সে জিনিস মানুষের মাঝে ছড়াবো না কখনো। দুঃখী দুঃখী জীবনের গল্প যেখানে সেখানে ছড়িয়ে দিলে দুঃখ কমেনা। বরং বিপরীত পাশ থেকে সিমপ্যাথি আসে।
আমি আমার জীবনে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করি করুনা। করুনা করে আমার দুঃখের গল্পে কেউ "আহারে" বলে আহাজারি করবে, এরকম আহামরি ইচ্ছা আমার হয়না।
আমি দুঃখ কষ্ট বেচে খেতে চাইনা, দুঃখ কষ্ট আমার ব্যক্তিগত। এসব নিজের ভেতর থাকবে গোপনে।
কারো আহারে আহারে শুনে ব্যথা কমে না। ব্যথা কমানোর প্রয়োজনবোধটাও আমার কম। আমার ব্যথা আমার একার।
এসব সয়ে সয়ে বুঝেছি, জীবনের সমস্ত ঘাঁ একসময় শুকায়। ব্যথা কমে যায়। শূন্যতার গভিরতায় পলিমাটি পরে ভরাট হয়।
সমস্ত বিষন্নতাই আবছা হতে হতে একসময় এত'টা দূরে চলে যায় যে ওসব খুঁজে বের করতে দূরবীক্ষন যন্ত্র প্রয়োজন হয়।
বিষন্নতা নিয়ে আমার দুঃশ্চিন্তা হয়না। ওসব সময় শেষে এমনিতেই হালকা হয়ে যায়।
তবে, হালকা হয়না কেবল অপরাধবোধ। অপরাধবোধ ব্যপারটা বিষন্নতার চেয়েও বেশি ছড়িয়ে থাকে শরীরে। বিষন্নতা তো একসময় শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, অপরাধবোধ বুকের ভেতর ঘর বানিয়ে বসে থাকে। কয়েক বছর আগে এক শীতের সন্ধ্যায় প্রেমিকার হাতের আঙুল ধরে বসে থাকবার কালে মায়ের ফোন এসেছে।
মা বলছে, বাবা অনেকদিন দেখিনা, কাল একটু সময় করে বাড়ি আসিস।
মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্কটা গভীর! এত'টা গভীর মাকে মা মনে করেই অবহেলা করা যায়। মায়ের ফোনের আগে প্রেমিকাকে বলেছিলাম, কাল দেখা করবো ঠিক এই সময়েই।
মাকে ফোনে বললাল- আমার যে একটু কাজ আছে কালকে।
মা বললো- তাহলে থাক।
পৃথিবীতে একমাত্র মা ই কেবল সন্তানের উপর অভিমান করেনা। মা হয়তো সত্যিই বিশ্বাস করে নিয়েছিলো যে, আমার আসলেই কাজ আছে। আমি বাড়ি যাইনি, প্রেমিকার আঙুল ধরে হেটেছি পথে। একটু বড় হয়ে দেখেছি, বুকের ভেতরে আটকে আছে মায়ের ডাকে সারা না দেওয়ার অবহেলার অপরাধবোধ!
অথচ আমি জানি না, আমার সেসব প্রেমিকা এখন কোথায় আছে। ক'জন সন্তানের মা। আমি জানি না, সেসব প্রেমিকার বুকের উপর কতজন ঘুমিয়েছে আমার পরে।
অথচ৷ আমার মায়ের বুকের উপর কেবল আমি একাই ঘুমেয়েছি৷
মাকে মিথ্যে বলেছি এটার জন্য কষ্ট হয়না আমার। মায়ের সাথে তো জীবনে কতই মিথ্যে বলি। মিথ্যে বলতাম খুব ছোটবেলায় লেট করে ঘরে ফিরলে। মিথ্যে বলতাম স্কুল পালিয়ে সিনেমা দেখতে যেয়ে। মিথ্যে বলতাম পরীক্ষার রেজাল্ট কার্ডে নিজেই নিজের নাম্বার ওভার রাইট করে।
মায়েরা সন্তানের মিথ্যেকে ক্ষমা করে দেয়। এখনও মিথ্যে বলি, পকেটের শেষ টাকাটা মায়ের হাতে দিয়ে। মা বলে, তুমি চলতে পারবা তো?
আমি বলি, আমার কাছে হাতখরচ আছে। অথচ, থাকেনা সবসময়।
আমি আমার মায়ের সাথে সেদিন মিথ্যে বলেছি বলে আফসোস নেই। আমার অপরাধবোধ আছে ভীষন যে, আমি আমার মায়ের ডাকে মায়ের কাছে ছুটে যাইনি।
এই যে এত বছরে প্রেমিকার পর প্রেমিকা বুকে এসে নেমে গেছে কারনে অকারনে, অথচ আজও আমার বুক থেকে নামেনি আমার অপরাধবোধ।
আমার মায়ের মনে নেই কিছুই, আমার মনে আছে, আমার মনে থাকবে, আমি একদিন আমার মায়ের কাছে যাইনি।
তবে, হালকা হয়না কেবল অপরাধবোধ। অপরাধবোধ ব্যপারটা বিষন্নতার চেয়েও বেশি ছড়িয়ে থাকে শরীরে। বিষন্নতা তো একসময় শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, অপরাধবোধ বুকের ভেতর ঘর বানিয়ে বসে থাকে। কয়েক বছর আগে এক শীতের সন্ধ্যায় প্রেমিকার হাতের আঙুল ধরে বসে থাকবার কালে মায়ের ফোন এসেছে।
মা বলছে, বাবা অনেকদিন দেখিনা, কাল একটু সময় করে বাড়ি আসিস।
মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্কটা গভীর! এত'টা গভীর মাকে মা মনে করেই অবহেলা করা যায়। মায়ের ফোনের আগে প্রেমিকাকে বলেছিলাম, কাল দেখা করবো ঠিক এই সময়েই।
মাকে ফোনে বললাল- আমার যে একটু কাজ আছে কালকে।
মা বললো- তাহলে থাক।
পৃথিবীতে একমাত্র মা ই কেবল সন্তানের উপর অভিমান করেনা। মা হয়তো সত্যিই বিশ্বাস করে নিয়েছিলো যে, আমার আসলেই কাজ আছে। আমি বাড়ি যাইনি, প্রেমিকার আঙুল ধরে হেটেছি পথে। একটু বড় হয়ে দেখেছি, বুকের ভেতরে আটকে আছে মায়ের ডাকে সারা না দেওয়ার অবহেলার অপরাধবোধ!
অথচ আমি জানি না, আমার সেসব প্রেমিকা এখন কোথায় আছে। ক'জন সন্তানের মা। আমি জানি না, সেসব প্রেমিকার বুকের উপর কতজন ঘুমিয়েছে আমার পরে।
অথচ৷ আমার মায়ের বুকের উপর কেবল আমি একাই ঘুমেয়েছি৷
মাকে মিথ্যে বলেছি এটার জন্য কষ্ট হয়না আমার। মায়ের সাথে তো জীবনে কতই মিথ্যে বলি। মিথ্যে বলতাম খুব ছোটবেলায় লেট করে ঘরে ফিরলে। মিথ্যে বলতাম স্কুল পালিয়ে সিনেমা দেখতে যেয়ে। মিথ্যে বলতাম পরীক্ষার রেজাল্ট কার্ডে নিজেই নিজের নাম্বার ওভার রাইট করে।
মায়েরা সন্তানের মিথ্যেকে ক্ষমা করে দেয়। এখনও মিথ্যে বলি, পকেটের শেষ টাকাটা মায়ের হাতে দিয়ে। মা বলে, তুমি চলতে পারবা তো?
আমি বলি, আমার কাছে হাতখরচ আছে। অথচ, থাকেনা সবসময়।
আমি আমার মায়ের সাথে সেদিন মিথ্যে বলেছি বলে আফসোস নেই। আমার অপরাধবোধ আছে ভীষন যে, আমি আমার মায়ের ডাকে মায়ের কাছে ছুটে যাইনি।
এই যে এত বছরে প্রেমিকার পর প্রেমিকা বুকে এসে নেমে গেছে কারনে অকারনে, অথচ আজও আমার বুক থেকে নামেনি আমার অপরাধবোধ।
আমার মায়ের মনে নেই কিছুই, আমার মনে আছে, আমার মনে থাকবে, আমি একদিন আমার মায়ের কাছে যাইনি।
যাইহোক, ক'দিন যাবত বিষন্নতায় আছি। কি কারনে বিষন্ন সেটা জানিনা। আপাতত খুঁজতেও চাইনা। সবকিছু খুঁজতে নেই।
সময়, পৃথিবীর সমস্ত কিছুকেই একসময় আবছা করে দেয়, শুধু আবছা হয়না অপরাধবোধ।
এটা থাকে। নিজের সাথে জড়িয়ে থাকে বুক বালিশের মতো।
সময়, পৃথিবীর সমস্ত কিছুকেই একসময় আবছা করে দেয়, শুধু আবছা হয়না অপরাধবোধ।
এটা থাকে। নিজের সাথে জড়িয়ে থাকে বুক বালিশের মতো।
লিখতে লিখতে বিষন্নতা কমে গেছে। লিখালিখিটা অনেকটা নিজের সাথে কথা বলার মতো। নিজের সাথে সবকিছু শেয়ার করার মতো।
মানুষ বলেনা, শেয়ার করলে মন ভালো হয়। আমি আমার দুঃখ কষ্টকে আমার নিজের সাথেই শেয়ার করি।
আমার চেয়ে আমাকে আর বেশি কে বুঝবে। আমার দুঃখী দুঃখী জীবনের গল্পে আমার কখনো করুনা হয়না। আমি আমার সাথে কথা বলে কখনো বলিনা "আহারে জীবন!"
আমি আমার নিজের গল্প নিজেকে শুনিয়ে বলি ''বাহ'রে জীবন, জোস!"
মানুষ বলেনা, শেয়ার করলে মন ভালো হয়। আমি আমার দুঃখ কষ্টকে আমার নিজের সাথেই শেয়ার করি।
আমার চেয়ে আমাকে আর বেশি কে বুঝবে। আমার দুঃখী দুঃখী জীবনের গল্পে আমার কখনো করুনা হয়না। আমি আমার সাথে কথা বলে কখনো বলিনা "আহারে জীবন!"
আমি আমার নিজের গল্প নিজেকে শুনিয়ে বলি ''বাহ'রে জীবন, জোস!"
Comments
Post a Comment