নদী সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সিগারেট ছেড়ে দিতে হবে। প্রেমিকার নিষেধ অমান্য করার ক্ষমতা ঈশ্বর প্রেমিকদের দেয়নি।
সকালে বিকালে রাতে নিয়ম করে তিনবেলা জিজ্ঞেস করবে ক'টা সিগারেট খেয়েছি। খাওয়া নিয়ে কেউ এত প্রশ্ন করলে একটু আনইজিই লাগে। নিজে খেতে পারেনা বলে, আমার খাওয়া নিয়ে হিংসা করে। দিনে ৩০ থেকে ৪০ টা সিগারেট খাওয়ার অভ্যাসওয়ালা আমাকে, রেসট্রিকশন দিয়ে রেখেছে। একবারে সিগারেট ছাড়তে পারবোনা বলে, দিনে বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ৪ টা সিগারেট। সারাদিনে ৪ টা সিগারেট খেয়ে মানুষ বাঁচতে পারে?
আমার তো সকালে ঘুৃম থেকে উঠেই ৪ টা সিগারেট লাগে। যাইহোক, সিগারেট ছাড়তে পারিনি, তবে কমিয়ে দিয়েছি। একটু একটু করে হয়তো ছেড়েও দিবো।
সকালে বিকালে রাতে নিয়ম করে তিনবেলা জিজ্ঞেস করবে ক'টা সিগারেট খেয়েছি। খাওয়া নিয়ে কেউ এত প্রশ্ন করলে একটু আনইজিই লাগে। নিজে খেতে পারেনা বলে, আমার খাওয়া নিয়ে হিংসা করে। দিনে ৩০ থেকে ৪০ টা সিগারেট খাওয়ার অভ্যাসওয়ালা আমাকে, রেসট্রিকশন দিয়ে রেখেছে। একবারে সিগারেট ছাড়তে পারবোনা বলে, দিনে বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ৪ টা সিগারেট। সারাদিনে ৪ টা সিগারেট খেয়ে মানুষ বাঁচতে পারে?
আমার তো সকালে ঘুৃম থেকে উঠেই ৪ টা সিগারেট লাগে। যাইহোক, সিগারেট ছাড়তে পারিনি, তবে কমিয়ে দিয়েছি। একটু একটু করে হয়তো ছেড়েও দিবো।
নদীকে বলেছি, সিগারেট ছেড়ে দিলেও মাসে একবার মদ খাবো।
সে কিছুতেই পারমিশন দিচ্ছে না। মাসে একবার মদ না খেলে মানুষ বাঁচে কি করে, এই কথাটাই নদীকে বুঝাতে পারছিনা। মদ হলো বেঁচে থাকার শক্তি। এক প্যাগ দু প্যাগ মদ খেলে যে কেউ মরে যায়না, তাকে এটা বুঝানো যায়না। প্রেমিকাদের ঘাঁড়ের রগ থাকে ত্যাড়া। তারা যেটা বুঝবে, সেটাই সঠিক।
সে কিছুতেই পারমিশন দিচ্ছে না। মাসে একবার মদ না খেলে মানুষ বাঁচে কি করে, এই কথাটাই নদীকে বুঝাতে পারছিনা। মদ হলো বেঁচে থাকার শক্তি। এক প্যাগ দু প্যাগ মদ খেলে যে কেউ মরে যায়না, তাকে এটা বুঝানো যায়না। প্রেমিকাদের ঘাঁড়ের রগ থাকে ত্যাড়া। তারা যেটা বুঝবে, সেটাই সঠিক।
নদী আমার প্রেমিকার নাম। গার্লফ্রেন্ড বললাম না, কারন গার্লফ্রেন্ড বলার মতো অত'টা সামাজিক স্ট্যাটাস আমার নাই। প্রেমিকাকে প্রেমিকা বললে নিজের নিজের লাগে, আর গার্লফ্রেন্ড বললে মনে হয় "চাহিবা মাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবেন!"
নদীকে বলেছি, ভালো করে পড়াশুনা করো। জীবনে অনেক বড় হতে হবে তোমাকে। ভালো চাকরি পেতে হবে। মাসে যাতে প্রেস্টেজিয়াস একটা স্যালারি আসে। যে পরিমান স্যালারিতে আমাদের সংসার ভালো ভাবেই চলে যাবে। তুমি ভালো একটা চাকরি পেলে, আমি চাকরিটা ছেড়ে দিবো। পথে পথে ঘুরবো। বই টই লিখবো। আকাশ দেখে, পাখি দেখে কবিতা লিখবো। চারুকলার পাশ দিয়ে কাঁধে একটা কবিদের ঝোলা ব্যাগ নিয়ে হাটবো। দুপুর হলে দুটা সিঙ্গারা খেয়ে কাটিয়ে দিবো।
তোমার টাকা আমাকে দিতে হবেনা। আমি আমারটা কোন রকমে ম্যানেজ করে নিবো। সমুদ্র (আমাদের ছেলে) যখন বড় হয়ে যাবে, তখন মাসে একবার তাকে নিয়ে মদ খেতে যাবো। বাপ বেটা দুজন কয়েক প্যাগ মদ খেয়ে মাতাল হয়ে ঘরে ফিরবো। আদুরে আদুরে হয়ে তোমার সামনে যেয়ে দাঁড়াবো।
নদী বলে, ভুলেও ঘরে আইসো না। দুইজনকেই বাসা থেকে বের করে দিবো।
আমি বললাম- বের করতে পারবা না তো!
নদী বলে- কেন?
আমি বললাম- আমরা বাপ বেটা মাতাল হয়ে আহ্লাদ করে তোমার সামনে ফ্লোরে হাটু গেড়ে বসে পরবো। হাত দুটো জড়ো করে আমি বলবো "প্লিজ নদী, এইবারই শেষ! আর কখনো মদ খাবো না!"
আর সমুদ্র কান্না কান্না ভান করে বলবে- প্লিজ মা, মাফ করে দাও। আমার কোন দোষ নাই, বাবা ই তো আমাকে মদ খেতে নিয়ে গেছে।
নদী হাসে আর বলে - সেসব দেখা যাবে!
তোমার টাকা আমাকে দিতে হবেনা। আমি আমারটা কোন রকমে ম্যানেজ করে নিবো। সমুদ্র (আমাদের ছেলে) যখন বড় হয়ে যাবে, তখন মাসে একবার তাকে নিয়ে মদ খেতে যাবো। বাপ বেটা দুজন কয়েক প্যাগ মদ খেয়ে মাতাল হয়ে ঘরে ফিরবো। আদুরে আদুরে হয়ে তোমার সামনে যেয়ে দাঁড়াবো।
নদী বলে, ভুলেও ঘরে আইসো না। দুইজনকেই বাসা থেকে বের করে দিবো।
আমি বললাম- বের করতে পারবা না তো!
নদী বলে- কেন?
আমি বললাম- আমরা বাপ বেটা মাতাল হয়ে আহ্লাদ করে তোমার সামনে ফ্লোরে হাটু গেড়ে বসে পরবো। হাত দুটো জড়ো করে আমি বলবো "প্লিজ নদী, এইবারই শেষ! আর কখনো মদ খাবো না!"
আর সমুদ্র কান্না কান্না ভান করে বলবে- প্লিজ মা, মাফ করে দাও। আমার কোন দোষ নাই, বাবা ই তো আমাকে মদ খেতে নিয়ে গেছে।
নদী হাসে আর বলে - সেসব দেখা যাবে!
এসব বাচ্চামি টাইপ কথা বার্তা যখন আমি নদীর সাথে বলি, তখন মেয়েটার চোখের সামনে একটা সংসার ভেসে উঠে। যে সংসারে রাগ, অভিমান, আদর, অভিযোগ আর ভালোবাসার মাখামাখি থাকবে। আমাদের দু রুমের একটা ছিমছাম ঘর হবে। বারান্দায় কয়েকটা নয়নতারা ফুলের গাছ লাগানো থাকবে। দুটো চেয়ার আর কফির মগ রাখার একটা টেবিল থাকবে। নদীকে বলেছি, আমার খুব শখ যে তোমাকে নিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় এলাকার গলিতে দাঁড়িয়ে থাকা ভ্যানের উপর থেকে সবজি কিনবো। আমাদের ফ্রীজ ভর্তি মাছ মাংশ থাকবে, তবুও সবজি কিনবো। আমি প্রায়ই অফিস থেকে ফেরার সময় দেখি, সদ্য বিয়ে হওয়া টাইপ দুটো ছেলে মেয়ে ভ্যানের উপর থেকে সবজি কিনছে। আমার চোখে একটা সংসার ভেসে উঠে, একজন রান্না করছে আর অন্যজন পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
নদীকে বলেছি, তুমি রান্না করার সময় পেছন থেকে পেটে হাত দিয়ে পিঠে নাক গুঁজে দাঁড়ায় থাকবো! নদী বলে- তাহলে আর রান্না হইছে!
নদীকে বলেছি, তুমি রান্না করার সময় পেছন থেকে পেটে হাত দিয়ে পিঠে নাক গুঁজে দাঁড়ায় থাকবো! নদী বলে- তাহলে আর রান্না হইছে!
এরকম রোজ রোজ আমরা সংসার সাজাই। ছোট ছোট প্ল্যান করি। বাচ্চার নাম ঠিক করি। দুপুর দুটা বাজে ফোনে কথা হলে, নদী বলে - বাসায় চলে আসো, একা একা ভালো লাগছেনা।
আমাদের কোন বাসা নেই, তবুও মাঝে মাঝে মনে হয় একটাই ঘর, একটাই সংসার, একটাই বালিশে ঘুমাচ্ছি দিনের পর দিন, রাতের পর রাত।
মাঝে মাঝে মিথ্যে বাসায় চলে আসার আবদারে ইচ্ছে হয়, সত্যিই যদি এই অফিস ফেলে রেখে বাসায় চলে যাওয়া যেত।
আমাদের কোন বাসা নেই, তবুও মাঝে মাঝে মনে হয় একটাই ঘর, একটাই সংসার, একটাই বালিশে ঘুমাচ্ছি দিনের পর দিন, রাতের পর রাত।
মাঝে মাঝে মিথ্যে বাসায় চলে আসার আবদারে ইচ্ছে হয়, সত্যিই যদি এই অফিস ফেলে রেখে বাসায় চলে যাওয়া যেত।
আমার কাছের বন্ধুরা যখন এসব গল্প শুনে, তখন তারা বলে- ভাই প্রেম চলাকালীন সময়ে সবই এমন রোমান্টিক লাগে!
এসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া মানুষগুলো শেষ পর্যন্ত আর জীবনে থাকেনা।
আমি তাদের বলি- আমি ধরা খেয়ে আসা মানুষ। ঠকেছি, হারিয়েছি, একসাথে পথ হাটতে হাটতে আঙুল ছেড়ে দিয়ে মানুষকে চলে যেতে দেখেছি। আমি দিনের পর দিন, রাতের পর রাত একই মানুষের কন্ঠস্বর শুনে সময় কাটিয়েছি। কারো চোখের দিকে তাকিয়ে দেখেছি স্বর্গ!
আমি দেখেছি হৃদয়ের উপাসনালয়ে যাকে দেবী বানিয়ে পূজা করা হয়, সেই দেবীই একসময় উপাসনালয় ভেঙে বেরিয়ে যায়!
মানুষের জীবন থেকে মানুষের চলে যাওয়ার দৃশ্য দেখতে দেখতে বুঝে গেছি, সব মানুষ জীবনে রয়ে যাওয়ার জন্য আসেনা। যার ঘোলাটে চশমার কাঁচ শার্টের নিচের অংশ দিয়ে মুছে দিয়েছি বহুবার, তাকে দেখেছি অন্য কারো জন্য কান্না করে করে চশমার কাঁচকে আবছা করে ফেলেছে।
এসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া মানুষগুলো শেষ পর্যন্ত আর জীবনে থাকেনা।
আমি তাদের বলি- আমি ধরা খেয়ে আসা মানুষ। ঠকেছি, হারিয়েছি, একসাথে পথ হাটতে হাটতে আঙুল ছেড়ে দিয়ে মানুষকে চলে যেতে দেখেছি। আমি দিনের পর দিন, রাতের পর রাত একই মানুষের কন্ঠস্বর শুনে সময় কাটিয়েছি। কারো চোখের দিকে তাকিয়ে দেখেছি স্বর্গ!
আমি দেখেছি হৃদয়ের উপাসনালয়ে যাকে দেবী বানিয়ে পূজা করা হয়, সেই দেবীই একসময় উপাসনালয় ভেঙে বেরিয়ে যায়!
মানুষের জীবন থেকে মানুষের চলে যাওয়ার দৃশ্য দেখতে দেখতে বুঝে গেছি, সব মানুষ জীবনে রয়ে যাওয়ার জন্য আসেনা। যার ঘোলাটে চশমার কাঁচ শার্টের নিচের অংশ দিয়ে মুছে দিয়েছি বহুবার, তাকে দেখেছি অন্য কারো জন্য কান্না করে করে চশমার কাঁচকে আবছা করে ফেলেছে।
এই যে আমি একবার ঠকে গেছি বলে আরেকবার কাউকে বিশ্বাস করবোনা, এটা জীবন নয়।
বিশ্বাস ভাংবে বলে বারবার বিশ্বাস করে যাওয়াটাই জীবন। জীবনে সব মানুষ যেমন রয়ে যাওয়ার জন্য আসেনা, সব মানুষ তেমনি চলে যাওয়ার জন্যও আসেনা।
কেউ কেউ লেগে থাকে। যেভাবে মাটি আকড়ে দাঁড়িয়ে থাকে গাছ, সেভাবে লেগে থাকে।
বিশ্বাস ভাংবে বলে বারবার বিশ্বাস করে যাওয়াটাই জীবন। জীবনে সব মানুষ যেমন রয়ে যাওয়ার জন্য আসেনা, সব মানুষ তেমনি চলে যাওয়ার জন্যও আসেনা।
কেউ কেউ লেগে থাকে। যেভাবে মাটি আকড়ে দাঁড়িয়ে থাকে গাছ, সেভাবে লেগে থাকে।
এই যে এখন ভাংচূর টাইপ প্রেম ঢুকে আছে বুকে, একদিন হয়তো থাকবেনা।
ভ্যানের উপর থেকে সবজি কেনার মানুষ তো মাঝে মাঝে বদলে যায়। এই যে আজকে নদীর সাথে আছি, একদিন হয়তো নদী চলে যাবে বহমান স্রোতের মতন দূরে! এত'টা দূরে, যতটা দূরে গেলে মানুষকে দূরবীক্ষন যন্ত্র দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায়না।
ভ্যানের উপর থেকে সবজি কেনার মানুষ তো মাঝে মাঝে বদলে যায়। এই যে আজকে নদীর সাথে আছি, একদিন হয়তো নদী চলে যাবে বহমান স্রোতের মতন দূরে! এত'টা দূরে, যতটা দূরে গেলে মানুষকে দূরবীক্ষন যন্ত্র দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায়না।
নদী থাকবেনা, এটা একটা অল্টারনেটিভ চিন্তা। হয়তো নদী রয়ে যাবে, আমি থাকবোনা।
আমাদের দুজনের যেকেউই হারাতে পারে। আবার রয়ে যেতে পারি ডাইনিং টেবিলে, বারান্দার চেয়ারে, কফির মগে, পাশাপাশি বালিশে, সন্ধ্যার নালিশে!
আমাদের দুজনের যেকেউই হারাতে পারে। আবার রয়ে যেতে পারি ডাইনিং টেবিলে, বারান্দার চেয়ারে, কফির মগে, পাশাপাশি বালিশে, সন্ধ্যার নালিশে!
মানুষটা থাকবেনা, এটা ভেবে ভালোবাসা যায়না। যেখানে ইনসিকিউরিটি বাসা বেঁধে ফেলে, সেখানে প্রেম প্রবেশ করতে বাঁধাগ্রস্ত হয়।
একবার ঠকে গিয়ে থেমে না গিয়ে হাটতে হয়, দৌড়াতে হয়, চলতে হয় মাইলের পর মাইল।
একজনের পর অন্যজন আসেনা, এই বিশ্বাসটাই আমাদের থামিয়ে রাখে।
ভুল মানুষ চলে যায়, সঠিক মানুষ সঠিক সময়ে ঠিকই চলে আসে। মাঝে মাঝে এমন হয় যে, প্রথম প্রেম জীবনে আসে চতুর্থ প্রেমের সময়ে!
একজনের পর অন্যজন আসেনা, এই বিশ্বাসটাই আমাদের থামিয়ে রাখে।
ভুল মানুষ চলে যায়, সঠিক মানুষ সঠিক সময়ে ঠিকই চলে আসে। মাঝে মাঝে এমন হয় যে, প্রথম প্রেম জীবনে আসে চতুর্থ প্রেমের সময়ে!
ভালোবাসা হারানোর পরও নতুন করে ভালোবাসতে শিখতে হয়। ভালোবাসা থামিয়ে দিতে নেই।
থামিয়ে দিতে হয় ঘৃণা, অযত্ন, অবহেলা ও ক্রোধ!
থামিয়ে দিতে হয় ঘৃণা, অযত্ন, অবহেলা ও ক্রোধ!
Comments
Post a Comment