Posts

১. "তুমি পরীর মতো সুন্দর" এই বাক্যটা একটা প্রতারনামূলক বাক্য! চাপাবাজি! কাঁধে দুইটা পাখা নিয়ে সামনে দাঁড়ানো কোন রূপবতী মেয়ের সাথে কেউই সারাজীবন থাকতে চাইবে না! ২. কিছু মানুষের প্রতি থাকা অধিকার ছেড়ে দেওয়ার পরও এক ধরনের অধিকার থেকে যায়! কোনদিন হুট করে দেখা হয়ে গেলে, বলে ফেলতে ইচ্ছে হয় " ঠিক মতো ঘুমাও না?" ৩. চুমু খাওয়ার সময় মানুষ ভুলে যায়, সে থুথু খাচ্ছে! ৪. প্রতারনা করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, ভালোবাসা! ৫. কারো অবহেলাকে অবহেলা করতে শিখে যাওয়াটাই ম্যাচিউরিটি! ৬. ঈশ্বরকে বিশ্বাস করাতে গিয়ে কেউ কেউ নিজেই ঈশ্বর হয়ে যায়! তারপর মুখের উপর বলে দেয়, তুই তো জাহান্নামে যাবি! ৭. ভালোবাসার কোন বিপরীত শব্দ নেই! যার ভালোবাসা একসময় ঘৃণা হয়ে যায়, সে কখনো ভালোবাসতেই পারে নাই! বিচ্ছেদের পরও যদি প্রিয় মানুষটার জন্য বুকের ভেতর একটা গোপন আবেগের জায়গা না থাকে, তবে কিসের ভালোবাসা ভালোবাসা বলে চিল্লাও? ৮. সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ব্যপার হলো, বিশ্বাস! আমাদের বিশ্বাস ভেঙে যায়, ফেসবুকের পাসওয়ার্ড না দিতে চাইলে! ৯. ভালোবাসার বেলায় আমরা সবাই মোটামুটি স্বার্থপর! ...
এক সাথে একই বিছানায় ঘুমালেই কিন্তু মানুষটার কাছে যাওয়া যায়না! দুজন মানুষ ১০০ স্কয়ার ফিট একটা রুমের ভেতর বছরের পর বছর থেকেও মাঝে মাঝে কাছে আসতে পারেনা! আমি এরকম বেশ কিছু দম্পতিকে চিনি, যারা বহু বছর পরও সংসারের মানে বুঝে উঠতে পারেনি! সংসার করতে করতে একসময় মানুষ ধরে নেয়, একই বালিশে ঘুমানো! একই টেবিলে খাওয়া! একই রুমে ঘুরাঘুরি করা আর মাঝে মাঝে সঙ্গমে অংশগ্রহন করাটাই সংসার! ব্যপারটা কি আসলে তাই? তাহলে, কিছু সংসার কখনো কখনো টিকে না কেন? তারাও তো একই বিছানায় ঘুমায়! একই টেবিলে খাবার খায়! একজন অন্যজনকে সঙ্গমে কো-অপারেট করে! তবুও, সংসারগুলো ভাঙে কেন? তুমি একটা মানুষের সাথে আছো! পাশে আছো! চোখের সামনে আছো! তবুও মাঝখানে একটা দূরত্ব থাকে! এই দূরত্বটা অন্যরকম! বলা যায় না! বুঝানো যায় না! সহ্যও করা যায় না! কারো বুকের উপর শুয়েও মাঝে মাঝে নিজেকে একা লাগে! দাম্পত্য জীবনে আমি আসলে কি চাই? সবই চাই, যা যা সবাই করে! আমি সেটাও চাই, যেটা অনেকেই করে না! সংসার মানে আসলে অভ্যাস! এই কনসেপ্টটা থেকে আমরা কেন জানি বের হতে পারি না! অভ্যাস অবশ্যই, তবুও সবই কি অভ্যাস? নতুন কিছুই কি থাকে না? আমরা একই ছাদের নিচে থা...
- এভাবে সমুদ্র দেখতে এসে দেখা হয়ে যাবে ভাবিনি! যে মানুষ সবসময় লুকিয়ে বেরায়, তার সাথে হুট করে দেখা হয়ে গেলে ঠিক কি করা উচিত, আমি জানি না! এত বছর পর তোমাকে দেখবো, নিজেরই বিশ্বাস হয়নি! - আমিও ভাবিনি, এভাবে দেখা হবে আমাদের! কেমন আছো? - হুম বেশ ভালো! দিব্যি আনন্দে কাটছে জীবন! তুমি? - হুম, আমিও ভালো আছি! সংসার করছি! একটা সন্তান আছে! - ছেলে নাকি মেয়ে? - মেয়ে! নাম প্রিয়ন্তি! খুব মিষ্টি হয়েছে, জানো! - প্রিয়ন্তি কোথায়? - ওর বাবার হাত ধরে ওদিকটায় হাটছে বোধয়! - তুমি সাথে গেলে না? - নাহ, আমি সমুদ্র দেখতে দাঁড়িয়েছি! সন্ধ্যার সমুদ্রটা কেমন সুন্দর দেখেছো? ঢেউ আছড়ে পরছে সমুদ্র পাড়ে! কেমন একটা ভাংচূর ভাংচূর শব্দ হয়! - সমুদ্র তো তুমি পছন্দ করতে না! তোমার ভালো লাগতো পাহাড়! - সমুদ্র আমার মন খারাপ করে দেয়! এই যে এখন কেমন বিষন্ন লাগছে! বুকের ভেতরটা ফাঁকা ফাঁকা বোধ হয়! তুমি একাই এসেছো? - হুম, একাই! - তোমার স্ত্রীকে নিয়ে আসলেই পারতে! - নাহ! নিজেকে খুজতে এসেছি! নিজেকে সময় দিচ্ছি! কেউ সাথে থাকলে, নিজেকে খুজে পাওয়া যায়না! - একা থাকতে ভালো লাগে? - কেউ পাশে থাকলেও কি ভালো লাগে খুব? ...
প্রিয় বনলতা, আজকাল সময় ভালো যাচ্ছেনা।দিন দিন সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাওয়ার দিকে হেটে যাচ্ছে। মাঝরাতে বুকের ভেতর শূন্যতা অনুভব হয় ! তুমি বলেছো , আমার জন্য তোমার হৃদপিন্ডে একটা গোপন আবেগের জায়গা আছে। আমি আজকাল সেই জায়গাটাই খুঁজে পাচ্ছিনা ! গোপন আবেগের জায়গাটায় ভালোবাসা না থাকলে আমার দমবন্ধ লাগে। ঠিকঠাক শ্বাস নিতে পারিনা। অস্থিরতা বেড়ে চলে একটা গন্তব্যহীন ট্রেনের গতির মতো। আচ্ছা, তোমার সেই প্রেমিকের খবর কি এখন? ওই যে তোমার ক্লাসমেটের কথা বলছি। যে ছেলেটার জন্য আমি তোমাকে ছুঁয়ে দেখার অধিকার পাইনি। যার জন্য তোমার সমস্ত ঘুম ইনসোমনিয়া হয়ে উঠেছিল। আমার সাথে কথা বলার সময় তুমি যে ছেলেটার কথা বারবার বলে ফেলতে। সেই সৌভাগ্যবান ছেলেটা এখন কেমন আছে ? তোমার মনে আছে? একসময় আমরা সারাদিন একজন অন্যজনের সাথে কথা বলতাম। খোঁজ খবর নিতাম। একজন অন্যজনের যত্ন নিতাম। তোমার একটু অনুপস্থিতিতে আমার কি ভীষণ দুঃশ্চিন্তা হতো। তুমি জানতে , আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি জানতাম তুমি আমাকে ভালোবাসো না। তবুও, কি এক আশ্চর্য কারণে তোমাকে খুব কাছের মানুষ লাগে। আমি জানতাম, আমি তোমার অভ্যাস, আর সেই ক্লাসমেট ছেলেটাই প্রেম। আমি টের পে...
এক্সপেক্টশন ব্যপারটাই আমার অপছন্দের! একটা মানুষ আরেকটা মানুষের অনুমতি ব্যতিত তার কাছে কিছু একটা প্রত্যাশা করার পর ঠকে গেলে, সেই সমস্যাটা আসলে কার? আমি একটা মানুষকে ভালোবাসি! আমি প্রত্যাশা করি, সে আমার যত্ন নিবে! তিন বেলা খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিবে! ভীষন জ্বর হলে, মাথায় জলপট্টি দিয়ে দিবে! ঘুমানোর আগে চুলে বিলি কেটে দিবে! আমাকেই সে তার একমাত্র প্রায়োরিটি বানাবে! আমার দিকে তাকিয়েই শুধু মুগ্ধ হবে! তারপর একদিন আমার খেয়াল হয়, আমি আসলে কিছুই পাচ্ছি না! আমার এক্সপেক্টেশনে ফ্রাসট্রাশন চলে আসে! আমি কষ্ট পাই! আমার ঘুম হয়না! আমার মরে যেতে ইচ্ছে হয়! আমার নিজেরে অসহায় লাগে! কান্না পায়! নিঃসঙ্গ মনে হয়! এই সমস্যাটা কি আমি নিজেই সৃষ্টি করিনি? আমাদের দুখঃ, কষ্ট, যন্ত্রনা, হতাসা, অপ্রাপ্তি সবকিছুই আসলে সৃষ্টি হয় প্রত্যাশা থেকে! এক সময় আমি খুব সহজে মানুষকে বিশ্বাস করতাম! দু দিনের বন্ধুত্ব, তিন দিনের ভালোবাসায় আমার মনে হতো, তারা আমার জন্য জীবনও দিয়ে দিবে! তারপর একসময় টের পেলাম, পৃথিবীতে কেউ কারো প্রত্যাশা পূরণের জন্য জন্ম নেয়নি! কারো জন্য কেউ বাঁচে না! প্রত্যেকটা মানুষ তার নিজের জন্য বাঁচে! আমি যদি ভে...
আমি এক ধরনের সহজ সরল টাইপের মানুষ! সহজ সরল বলতে জীবন নিয়ে আমি অত'টা চিন্তিত হইনা! যা যেভাবে চলার, চলবে! যেটা হওয়ার হবে! আমার হতাসা কম! দুখঃ কষ্ট কম! আমার ডিপ্রেশন অতি নগন্য! আমার সহজে মন খারাপ হয়না! জীবনে যখন যেটা ঘটে, আমি খুব স্বাভাবিক ভাবে মেনে নেই! ওই যে একদিন হুট করে প্রেমিকা চলে গেলো, আমি কিছুটা অবাক হয়েছিলাম, তবে ব্যথা অনুভব করিনি! প্রতিটা মানুষ চলে যাওয়ার পেছনেই কোন না কোন কারন থাকে! নিজেকে একটা নির্দিষ্ট কারন দেখিয়েই সে হয়তো চলে গ্যাছে! কেন গেছে, আমার কখনো জানার আগ্রহ হয়নি! মানুষ যাবেই, এটা একটা সহজ ব্যপার! কারো চলে যাওয়া নিয়ে মন খারাপ করে বসে থাকার কিছু নেই! আমাকে একসময় ভালো লাগতো, এখন লাগেনা! ব্যাস, ইট'স সিম্পল! এই একই ব্যপার তো আমার নিজের জীবনেও ঘটে! একটা মানুষের সাথে থাকতে থাকতেও মাঝে মাঝে আগ্রহ নষ্ট হয়ে যায়! আমি তাকে ছেড়ে চলে আসি! আর যোগাযোগ থাকেনা আমাদের! যার প্রতি আমার আগ্রহ নষ্ট হয়ে গেছে, তুমি যত যা ই বলো না কেন, আমি তার সাথে থাকবোনা! ঠিক এই ব্যপারটাই তার ক্ষেত্রে ঘটতে পারে! আমার প্রতি আগ্রহ না থাকলে, সে চলে যাবে! হিসেবটা সহজ! পৃথিবীর সমস্ত কিছুকে আমার স...
১. প্রচন্ড মন খারাপের রাতে তুমিহীনতায় যতটুকু ভুগী, তারচেয়ে বেশি ভুগতে থাকি আমিহীনতায়! নিজের কাছে নিজেই নিখোঁজ হওয়ার মতো একাকিত্ব আর কিছুতে নেই! ২. মানুষ ততোক্ষন পর্যন্ত সুখি, যতক্ষন পর্যন্ত সে নিজেকে একজন অপ্রয়োজনীয় বস্তু হিসেবে আবিস্কার না করে! যতক্ষন নিজের কাছে নিজের গুরুত্ব থাকে, ততোক্ষন পৃথিবীর কোন অপ্রাপ্তিই কষ্ট দিতে পারেনা! ৩. দূরের মানুষ কখনো দূরে যায়না! দূরের মানুষ দূরে গেলেও কিচ্ছু আসে যায়না! দূরে যায় কাছের মানুষ! কাছের মানুষের দূরত্ব হয় আকাশের মতো! দেখা যায়, স্পর্শ করা যায় না! ৪. সবচেয়ে প্রিয় কন্ঠস্বরটা শোনার অধিকার হারালেই মানুষ নিঃসঙ্গতা বোধ করে! যে চাইলেই প্রিয় কন্ঠস্বর শুনতে পারে, সে কখনো নিঃসঙ্গ হয়নি! ৫. তুমি কি জানো? " মাঝে মাঝে কারো বুকের উপর মাথা রেখেও মানুষ একাকিত্ব বোধ করে!" ৬. নিজের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন আর কোন মানুষ হতে পারেনা! দিনশেষে মানুষ তার নিজেকে নিয়েই ভাবে! কারো কাছে আসাতে নিজেই হ্যাপি হয়! কারো চলে যাওয়াতে কষ্টটাও নিজের! পৃথিবীর সমস্ত কিছু ব্যক্তিগত! ৭. মানুষ যে সত্যটা কখনোই বলতে চায়না, সেটা হলো " আমি তোমাকে আমার নিজ...