Posts

Showing posts from January, 2019
১. "তুমি পরীর মতো সুন্দর" এই বাক্যটা একটা প্রতারনামূলক বাক্য! চাপাবাজি! কাঁধে দুইটা পাখা নিয়ে সামনে দাঁড়ানো কোন রূপবতী মেয়ের সাথে কেউই সারাজীবন থাকতে চাইবে না! ২. কিছু মানুষের প্রতি থাকা অধিকার ছেড়ে দেওয়ার পরও এক ধরনের অধিকার থেকে যায়! কোনদিন হুট করে দেখা হয়ে গেলে, বলে ফেলতে ইচ্ছে হয় " ঠিক মতো ঘুমাও না?" ৩. চুমু খাওয়ার সময় মানুষ ভুলে যায়, সে থুথু খাচ্ছে! ৪. প্রতারনা করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, ভালোবাসা! ৫. কারো অবহেলাকে অবহেলা করতে শিখে যাওয়াটাই ম্যাচিউরিটি! ৬. ঈশ্বরকে বিশ্বাস করাতে গিয়ে কেউ কেউ নিজেই ঈশ্বর হয়ে যায়! তারপর মুখের উপর বলে দেয়, তুই তো জাহান্নামে যাবি! ৭. ভালোবাসার কোন বিপরীত শব্দ নেই! যার ভালোবাসা একসময় ঘৃণা হয়ে যায়, সে কখনো ভালোবাসতেই পারে নাই! বিচ্ছেদের পরও যদি প্রিয় মানুষটার জন্য বুকের ভেতর একটা গোপন আবেগের জায়গা না থাকে, তবে কিসের ভালোবাসা ভালোবাসা বলে চিল্লাও? ৮. সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ব্যপার হলো, বিশ্বাস! আমাদের বিশ্বাস ভেঙে যায়, ফেসবুকের পাসওয়ার্ড না দিতে চাইলে! ৯. ভালোবাসার বেলায় আমরা সবাই মোটামুটি স্বার্থপর! ...
এক সাথে একই বিছানায় ঘুমালেই কিন্তু মানুষটার কাছে যাওয়া যায়না! দুজন মানুষ ১০০ স্কয়ার ফিট একটা রুমের ভেতর বছরের পর বছর থেকেও মাঝে মাঝে কাছে আসতে পারেনা! আমি এরকম বেশ কিছু দম্পতিকে চিনি, যারা বহু বছর পরও সংসারের মানে বুঝে উঠতে পারেনি! সংসার করতে করতে একসময় মানুষ ধরে নেয়, একই বালিশে ঘুমানো! একই টেবিলে খাওয়া! একই রুমে ঘুরাঘুরি করা আর মাঝে মাঝে সঙ্গমে অংশগ্রহন করাটাই সংসার! ব্যপারটা কি আসলে তাই? তাহলে, কিছু সংসার কখনো কখনো টিকে না কেন? তারাও তো একই বিছানায় ঘুমায়! একই টেবিলে খাবার খায়! একজন অন্যজনকে সঙ্গমে কো-অপারেট করে! তবুও, সংসারগুলো ভাঙে কেন? তুমি একটা মানুষের সাথে আছো! পাশে আছো! চোখের সামনে আছো! তবুও মাঝখানে একটা দূরত্ব থাকে! এই দূরত্বটা অন্যরকম! বলা যায় না! বুঝানো যায় না! সহ্যও করা যায় না! কারো বুকের উপর শুয়েও মাঝে মাঝে নিজেকে একা লাগে! দাম্পত্য জীবনে আমি আসলে কি চাই? সবই চাই, যা যা সবাই করে! আমি সেটাও চাই, যেটা অনেকেই করে না! সংসার মানে আসলে অভ্যাস! এই কনসেপ্টটা থেকে আমরা কেন জানি বের হতে পারি না! অভ্যাস অবশ্যই, তবুও সবই কি অভ্যাস? নতুন কিছুই কি থাকে না? আমরা একই ছাদের নিচে থা...
- এভাবে সমুদ্র দেখতে এসে দেখা হয়ে যাবে ভাবিনি! যে মানুষ সবসময় লুকিয়ে বেরায়, তার সাথে হুট করে দেখা হয়ে গেলে ঠিক কি করা উচিত, আমি জানি না! এত বছর পর তোমাকে দেখবো, নিজেরই বিশ্বাস হয়নি! - আমিও ভাবিনি, এভাবে দেখা হবে আমাদের! কেমন আছো? - হুম বেশ ভালো! দিব্যি আনন্দে কাটছে জীবন! তুমি? - হুম, আমিও ভালো আছি! সংসার করছি! একটা সন্তান আছে! - ছেলে নাকি মেয়ে? - মেয়ে! নাম প্রিয়ন্তি! খুব মিষ্টি হয়েছে, জানো! - প্রিয়ন্তি কোথায়? - ওর বাবার হাত ধরে ওদিকটায় হাটছে বোধয়! - তুমি সাথে গেলে না? - নাহ, আমি সমুদ্র দেখতে দাঁড়িয়েছি! সন্ধ্যার সমুদ্রটা কেমন সুন্দর দেখেছো? ঢেউ আছড়ে পরছে সমুদ্র পাড়ে! কেমন একটা ভাংচূর ভাংচূর শব্দ হয়! - সমুদ্র তো তুমি পছন্দ করতে না! তোমার ভালো লাগতো পাহাড়! - সমুদ্র আমার মন খারাপ করে দেয়! এই যে এখন কেমন বিষন্ন লাগছে! বুকের ভেতরটা ফাঁকা ফাঁকা বোধ হয়! তুমি একাই এসেছো? - হুম, একাই! - তোমার স্ত্রীকে নিয়ে আসলেই পারতে! - নাহ! নিজেকে খুজতে এসেছি! নিজেকে সময় দিচ্ছি! কেউ সাথে থাকলে, নিজেকে খুজে পাওয়া যায়না! - একা থাকতে ভালো লাগে? - কেউ পাশে থাকলেও কি ভালো লাগে খুব? ...
প্রিয় বনলতা, আজকাল সময় ভালো যাচ্ছেনা।দিন দিন সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাওয়ার দিকে হেটে যাচ্ছে। মাঝরাতে বুকের ভেতর শূন্যতা অনুভব হয় ! তুমি বলেছো , আমার জন্য তোমার হৃদপিন্ডে একটা গোপন আবেগের জায়গা আছে। আমি আজকাল সেই জায়গাটাই খুঁজে পাচ্ছিনা ! গোপন আবেগের জায়গাটায় ভালোবাসা না থাকলে আমার দমবন্ধ লাগে। ঠিকঠাক শ্বাস নিতে পারিনা। অস্থিরতা বেড়ে চলে একটা গন্তব্যহীন ট্রেনের গতির মতো। আচ্ছা, তোমার সেই প্রেমিকের খবর কি এখন? ওই যে তোমার ক্লাসমেটের কথা বলছি। যে ছেলেটার জন্য আমি তোমাকে ছুঁয়ে দেখার অধিকার পাইনি। যার জন্য তোমার সমস্ত ঘুম ইনসোমনিয়া হয়ে উঠেছিল। আমার সাথে কথা বলার সময় তুমি যে ছেলেটার কথা বারবার বলে ফেলতে। সেই সৌভাগ্যবান ছেলেটা এখন কেমন আছে ? তোমার মনে আছে? একসময় আমরা সারাদিন একজন অন্যজনের সাথে কথা বলতাম। খোঁজ খবর নিতাম। একজন অন্যজনের যত্ন নিতাম। তোমার একটু অনুপস্থিতিতে আমার কি ভীষণ দুঃশ্চিন্তা হতো। তুমি জানতে , আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি জানতাম তুমি আমাকে ভালোবাসো না। তবুও, কি এক আশ্চর্য কারণে তোমাকে খুব কাছের মানুষ লাগে। আমি জানতাম, আমি তোমার অভ্যাস, আর সেই ক্লাসমেট ছেলেটাই প্রেম। আমি টের পে...
এক্সপেক্টশন ব্যপারটাই আমার অপছন্দের! একটা মানুষ আরেকটা মানুষের অনুমতি ব্যতিত তার কাছে কিছু একটা প্রত্যাশা করার পর ঠকে গেলে, সেই সমস্যাটা আসলে কার? আমি একটা মানুষকে ভালোবাসি! আমি প্রত্যাশা করি, সে আমার যত্ন নিবে! তিন বেলা খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিবে! ভীষন জ্বর হলে, মাথায় জলপট্টি দিয়ে দিবে! ঘুমানোর আগে চুলে বিলি কেটে দিবে! আমাকেই সে তার একমাত্র প্রায়োরিটি বানাবে! আমার দিকে তাকিয়েই শুধু মুগ্ধ হবে! তারপর একদিন আমার খেয়াল হয়, আমি আসলে কিছুই পাচ্ছি না! আমার এক্সপেক্টেশনে ফ্রাসট্রাশন চলে আসে! আমি কষ্ট পাই! আমার ঘুম হয়না! আমার মরে যেতে ইচ্ছে হয়! আমার নিজেরে অসহায় লাগে! কান্না পায়! নিঃসঙ্গ মনে হয়! এই সমস্যাটা কি আমি নিজেই সৃষ্টি করিনি? আমাদের দুখঃ, কষ্ট, যন্ত্রনা, হতাসা, অপ্রাপ্তি সবকিছুই আসলে সৃষ্টি হয় প্রত্যাশা থেকে! এক সময় আমি খুব সহজে মানুষকে বিশ্বাস করতাম! দু দিনের বন্ধুত্ব, তিন দিনের ভালোবাসায় আমার মনে হতো, তারা আমার জন্য জীবনও দিয়ে দিবে! তারপর একসময় টের পেলাম, পৃথিবীতে কেউ কারো প্রত্যাশা পূরণের জন্য জন্ম নেয়নি! কারো জন্য কেউ বাঁচে না! প্রত্যেকটা মানুষ তার নিজের জন্য বাঁচে! আমি যদি ভে...
আমি এক ধরনের সহজ সরল টাইপের মানুষ! সহজ সরল বলতে জীবন নিয়ে আমি অত'টা চিন্তিত হইনা! যা যেভাবে চলার, চলবে! যেটা হওয়ার হবে! আমার হতাসা কম! দুখঃ কষ্ট কম! আমার ডিপ্রেশন অতি নগন্য! আমার সহজে মন খারাপ হয়না! জীবনে যখন যেটা ঘটে, আমি খুব স্বাভাবিক ভাবে মেনে নেই! ওই যে একদিন হুট করে প্রেমিকা চলে গেলো, আমি কিছুটা অবাক হয়েছিলাম, তবে ব্যথা অনুভব করিনি! প্রতিটা মানুষ চলে যাওয়ার পেছনেই কোন না কোন কারন থাকে! নিজেকে একটা নির্দিষ্ট কারন দেখিয়েই সে হয়তো চলে গ্যাছে! কেন গেছে, আমার কখনো জানার আগ্রহ হয়নি! মানুষ যাবেই, এটা একটা সহজ ব্যপার! কারো চলে যাওয়া নিয়ে মন খারাপ করে বসে থাকার কিছু নেই! আমাকে একসময় ভালো লাগতো, এখন লাগেনা! ব্যাস, ইট'স সিম্পল! এই একই ব্যপার তো আমার নিজের জীবনেও ঘটে! একটা মানুষের সাথে থাকতে থাকতেও মাঝে মাঝে আগ্রহ নষ্ট হয়ে যায়! আমি তাকে ছেড়ে চলে আসি! আর যোগাযোগ থাকেনা আমাদের! যার প্রতি আমার আগ্রহ নষ্ট হয়ে গেছে, তুমি যত যা ই বলো না কেন, আমি তার সাথে থাকবোনা! ঠিক এই ব্যপারটাই তার ক্ষেত্রে ঘটতে পারে! আমার প্রতি আগ্রহ না থাকলে, সে চলে যাবে! হিসেবটা সহজ! পৃথিবীর সমস্ত কিছুকে আমার স...
১. প্রচন্ড মন খারাপের রাতে তুমিহীনতায় যতটুকু ভুগী, তারচেয়ে বেশি ভুগতে থাকি আমিহীনতায়! নিজের কাছে নিজেই নিখোঁজ হওয়ার মতো একাকিত্ব আর কিছুতে নেই! ২. মানুষ ততোক্ষন পর্যন্ত সুখি, যতক্ষন পর্যন্ত সে নিজেকে একজন অপ্রয়োজনীয় বস্তু হিসেবে আবিস্কার না করে! যতক্ষন নিজের কাছে নিজের গুরুত্ব থাকে, ততোক্ষন পৃথিবীর কোন অপ্রাপ্তিই কষ্ট দিতে পারেনা! ৩. দূরের মানুষ কখনো দূরে যায়না! দূরের মানুষ দূরে গেলেও কিচ্ছু আসে যায়না! দূরে যায় কাছের মানুষ! কাছের মানুষের দূরত্ব হয় আকাশের মতো! দেখা যায়, স্পর্শ করা যায় না! ৪. সবচেয়ে প্রিয় কন্ঠস্বরটা শোনার অধিকার হারালেই মানুষ নিঃসঙ্গতা বোধ করে! যে চাইলেই প্রিয় কন্ঠস্বর শুনতে পারে, সে কখনো নিঃসঙ্গ হয়নি! ৫. তুমি কি জানো? " মাঝে মাঝে কারো বুকের উপর মাথা রেখেও মানুষ একাকিত্ব বোধ করে!" ৬. নিজের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন আর কোন মানুষ হতে পারেনা! দিনশেষে মানুষ তার নিজেকে নিয়েই ভাবে! কারো কাছে আসাতে নিজেই হ্যাপি হয়! কারো চলে যাওয়াতে কষ্টটাও নিজের! পৃথিবীর সমস্ত কিছু ব্যক্তিগত! ৭. মানুষ যে সত্যটা কখনোই বলতে চায়না, সেটা হলো " আমি তোমাকে আমার নিজ...
বয়স বাড়ছে! তারচেয়েও দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে ব্যক্তিগত বিবর্তন! সময় সবকিছু বদলে দেয়! যেমন করে বদলে যায় পরিচিত কন্ঠস্বর! চায়ের টং দোকান! ভালোবাসার গান ! প্রকৃতির ঘ্রাণ! প্রিয় মুখ! প্রিয় মানুষ! সময়ের সাথে বদলে যায় অনুভূতি! প্রেম! ভালোবাসা! সম্পর্ক! এই তো কয়েক বছর আগেও অপেক্ষা ছিল! প্রিয় মানুষ ছিল! বুকের ভেতর হৃদপিন্ড ছিল! ভালোবাসা ছিল! বন্ধুত্ব ছিল! এখন নেই। সবকিছু বদলে গেছে! চিন্তার পরিবর্তন এনেছে ম্যাচিউরিটি! সময় একদিন হুট করে বদলে যায়! মোড়ের টং দোকানের চায়ের স্বাদ পানসে লাগে! প্রেমিকার টেক্সট আসে না! শহরে শহরে লাগানো থাকে ব্যক্তিগত হৃদপিন্ডের নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি! ভালোবাসা আত্মহত্যা করে দায়িত্ববোধের সামনে দাঁড়িয়ে! প্রেম প্রেম প্রকৃতি পাখির কিচিরমিচির ভুলিয়ে দিয়ে আকাশ দেখায়! যতটুকু আকাশ দেখি, ততোটুকুই শূন্যতা! সময় বদলে যায়! আমিও বদলাই সময়ের পথ ধরে! আমি হাটি! হোচট খাই! আবার ঘুরে দাঁড়াই! আবার হাটি! আমার ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই বন্ধুর সাথে সিগারেট ভাগ করে খাওয়ার বয়সে! আমার মাথার উপর দায়িত্বের ওজন বাড়ে! আমি নুয়ে পরি! আমার মুক্তি পেতে ইচ্ছে হয়! আমি মুক্তির সন্ধান করতে করতে বুঝে যাই, এই ইঞ...
- কেমন আছো, মাধবীলতা? - যেমন রেখে গ্যাছো! - তারমানে ভালো নেই! - খারাপ আছি নাকি ভালো, আজকাল আর বুঝিনা। কখনো নিজেকে তো নিজে জিজ্ঞেস করিনা " আমি কেমন আছি?" তুমি কেমন আছো, অনীল? - হুম, বেশ ভালো। - আসলেই ভালো আছো তো? - জানিনা। খুব সম্ভবত ভালো এবং খারাপ থাকার মাঝামাঝি কিছু একটা আছে! এক কথায় বলা যায়, দোটানায় আছি! - এখন কোথায় জব করছো? - জব টব কিছু করছি না আপাতত। মাঝে মাঝে দৈনিক সংবাদপত্রের সাহিত্যের পাতায় টুকটাক লিখালিখি করি। সেখান থেকে যে'কটা টাকা পাই, তা দিয়ে টেনেটুনে মাস চলে যায়। তুমি কোন চাকরি টাকরি করছো এখন? - হুম, করছি। একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে এইচ আর হিসেবে আছি। - বাহ, তাহলে তো খুব ভালো আছো। মান-সম্মান, আভিজাত্য, মাস শেষে ভালো মাইনে সবই তো পাচ্ছো! বেশ সুখেই আছো তাহলে! - একজন লেখক হয়ে, তুমি কি করে আভিজাত্যটাকেই সুখ বলতে পারলে? - তবে কি অসুখ জমে গেছে বুকের ভেতর? - এই অসুখটা বুকে জমেছিলো তখন, যখন তোমার সাথে আমার বিচ্ছেদ হলো! - বিচ্ছেদ না হলে তো, কাঁধে ঝোলা নিয়ে ঘুরে বেরানো একজন কবির সাথেই জীবন কাটাতে হতো! একবেলা খাবার পেলে, অন্যবেলা না খেয়ে ...
- কেমন আছেন, স্বর্নালী সেন? - ওহ, অনিন্দ্য! - বাহ, কন্ঠস্বর শুনেই চিনে ফেললে? - কিছু কন্ঠস্বর কখনো অপরিচিত হয়না! - আমি তো ভেবেছিলাম সময়ের সাথে সাথে কন্ঠস্বরও মনে থাকে না। - তোমার কোন ভাবনাই কি কখনো সঠিক ছিল? - রাগটা কমেনি এখনো! অনেক বছর তো হলো, এবার একটু স্বাভাবিক হও! - এতবছর পর স্বাভাবিক হওয়াটাও কি খুব জরুরী? - তা না! মানুষটার প্রয়োজনই যেখানে ফুরিয়ে গেছে, সেখানে স্বাভাবিক আর অস্বাভাবিক এর হিসেব করে আর কি হবে, স্বর্নালী? - এসব প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ার গল্প শোনাতে ফোন দিয়েছো? - নাহ! অনেকদিন কথা হয়না! তোমাকেও খুব মনে পরছিলো! তাই ভাবলাম, একটু কথা তো বলাই যায়! - মনে পরলেই কথা বলতে হবে? - খুব বিরক্ত হচ্ছো বোধয়! - বিরক্তি ছাড়া আর কি কিছু দিতে পেরেছো কখনো? - সবসময় বিরক্তি খুজতে খুজতে তুৃমি ভালোবাসাটুকু খেয়ালই করোনি! - কি করে খেয়াল করবো? এত হ্যাংলা স্বভাবের একটা মানুষের মাঝে ভালোবাসা খুজতে চাওয়াটাও বিরক্তিকর! কখনো আমার জন্য ব্যথা অনুভব হয়েছে তোমার? - তোমার জন্য রোজ রাতে বুকের ভেতর মাথা ব্যথা হয়! - এসব হ্যাংলামো করো বলেই, তোমার সাথে আমার থাকা হয়নি! কোনদিন কোন কি...
ধরা যায়না, ছোয়া যায়না, চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে মোহগ্রস্থ হওয়া যায়না! তবুও এসব ঘুমহীন জেগে থাকাই আমাদের দূরত্ব কমিয়ে দেয়! রাতের অন্ধকার বাড়ে, আমাদের দূরত্ব কমতে থাকে! দিনের ম্যাচিউরিটি মুখ থুবরে পরে থাকে একটা ক্লান্ত বালিশে! বুকের ভেতর শূন্যতার চাষাবাদ চলে, আমরা চলে যাই আমাদের সুন্দর সময়ে! একটা পুরাতন স্মৃতির ঘ্রাণ টের পাওয়া যায়, বুকের কোমল অনুভূতিতে! দিনের ব্যস্ততা আশ্রয় চায় রাত্রিকালীন নির্ভরশীলতার বুকে! রাত হলে, দূরের মানুষ কাছে চলে আসে! এত'টা কাছে, যেখানে একটা দেহহীন কল্পনার মানুষের নিঃশ্বাসের অস্তিত্বও টের পাওয়া যায়! অন্ধকারের আমন্ত্রনে, বুকের ভেতর একটা আস্ত আকাশ ঢুকে যায়! সেই সব ব্যক্তিগত আকাশে তাকালেই কেবল শূন্যতারা মাথা জাগিয়ে কুর্নিশ করে! এসব হাসফাস লাগা রাতে, বেঁচে থাকার সমস্ত ডেফিনেশন বদলে যেতে শুরু করে! প্রচন্ড নিঃসঙ্গতায়ও নিঃসঙ্গ হওয়া যায়না! নিঃসঙ্গতায় মানুষ আসলে একা হয়না কখনো, কেউ না কেউ বুকের ভেতর থাকে বলেই মানুষ নিঃসঙ্গতা অনুভব করে! এসব মন খারাপের মাঝরাতে আমি ঈশ্বরের পায়ে চুমু খেয়ে বলি, " প্রচন্ড একাকিত্বেও আমি কখনো একা হইনা কেন, ঈশ্বর?"
মানুষ ভালো থাকতে চায়, অথচ খারাপ থাকে! আমি খারাপ থাকতে চাই, তাই ভালো থাকি! পৃথিবীতে যে জিনিস মানুষ খুব করে চায়, তা পায়না! সুতরাং ছোট্ট এই জীবনবোধ থেকে আমি শিখেছি, ভালো থাকার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, খারাপ থাকার চেষ্টা করা! আমরা কেন জানি কখনো উল্টোটা চাইতে জানি না! তুমি একটা মানুষের কাছে ভালোবাসা চাও, সে ভালোবাসে না! অথচ, তুমি যখন একটা মানুষের কাছে ঘৃণা চাইবা, খুব করে চাইবা, বারবার চাইবা, দেখবা সে তোমাকে ভালোবাসতে শুরু করেছে! ঘৃণা করার চেয়ে ভালোবাসা সহজ! তুমি যার কাছে তীব্র রকমের এভেইলএবল হয়ে যাবা, সে পাত্তা দিবেনা! সারাদিন পেছনে ঘুরঘুর করছো! খোঁজ খবর নিচ্ছো! প্রয়োজনের বেশি যত্ন নিচ্ছো! বেশিমাত্রায় তার প্রয়োজনবোধটা তাকে উপলবদ্ধি করাচ্ছো! এসব ব্যাপার তোমাকে তার কাছে মূল্যহীন করে দিবে! আমরা তার জন্য শূন্যতা অনুভব করি, যে আসলে আমাদের মাঝে থাকেনা! যে থাকে, তার জন্য কখনো শূন্যতা অনুভব হয়না! নিজের গুরুত্বটা বুঝানোর জন্য হলেও মাঝে মাঝে নিখোঁজ হওয়া লাগে! যে খুজবে, সে তোমার! যে খুজবেনা, তার জন্য কষ্ট পাওয়ার মতো বোকামি আর কিছু নেই! ভালো থাকতে চাও, খারাপ থাকার চেষ্টা করো! ভালোবাসা চাও, ঘৃ...
অনেক বছর পর একদিন হুট করে পথে দেখা হয়ে যাবে আমাদের। কিছুটা চেনা চেনা লাগবে। কিছুটা অচেনা। মনে পরবে, একজন অপরিচিত মানুষ থেকে আমাদের পরিচিত হওয়ার গল্প। তোমার টলমলে গাল, প্রশস্ত বুক, যৌবনের সমুদ্র নুয়ে পরবে বয়সের ভারে। আমার কালো কেশ, রাজকীয় গোঁফ, লম্বা দাঁড়ি সাদা হয়ে গেছে দেখে হাসতে হাসতে বলে ফেলবে, বড্ড বুড়ো হয়ে গেছো, তুমি! আমাদের কথা হবে! তাকিয়ে থাকা হবে! স্মৃতিচারন করা হবে! শুধু হাত ছুয়ে দেখা হবেনা! হাত ছুয়ে দেখতে যেটুকু অধিকার লাগে, তা অপচয় হয়ে যাবে মধ্যবর্তী সময়ে! যেদিন দেখা হবে আমাদের, আমি খুব করে চাইবো, সমস্ত আকাশ ভেঙে অজস্র বৃষ্টিকণা নামুক শহরের বুকে! ধুয়ে মুছে দিক সব অভিমান! অনুরাগের গান! আমি ভুল করে বলে ফেলবো, " তোমার নীল আকাশ রংয়ের ছাতাটা আনোনি?" তোমার চোখের দিকে তাকালেই আমার বুকের ভেতর একটা বেয়োনেট ঢুকে যাবে মুহূর্তেই! ভুল করে বলে ফেলবো " ঠিক মতো নিজের যত্নও নাও না? চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে কেন?" তুমি হেসে বলবে, "বয়সটাও তো কম হয়নি! নিজেকে দেখেছো, কেমন রোগা রোগা হয়ে গেছো?" অযত্নে পড়ে থাকা এত এত বছর যেন ভুলে যেতে শুরু করবে, কত'টা যত্নহীন...
একসাথে পথ চলতে চলতে আমরা পথ ভুলে চলে গেছি অন্য পথে! দুটো হৃদপিন্ডের মধ্যবর্তী সরলরেখা বেয়ে একটা বিচ্ছেদের নদী বয়ে গেছে গন্তব্যহীন সীমান্তের দিকে! আমি ভীষন মরে যাবো কষ্টে শতাব্দীর শেষ রাত পর্যন্ত ভুগেছি অনিদ্রায়! তারপর একদিন সব বদলে গেলো! বদলে গেলো, বুকের ভেতর জমানো ব্যথার তীব্রতা! অনিদ্রাও বিশ্বাসঘাতকতা করে নিদ্রাচ্ছন্ন হয়ে উঠলো! তোমার কন্ঠস্বর শুনে শুরু হওয়া সকালের স্মৃতি বিলীন হয়ে গেলো বিকেলের রোদে! আমি বাঁচতে শিখে গেলাম একা! একা মানে খুব একা! একা মানে, নিঃসঙ্গতায় ভালো থাকা! নিঃসঙ্গতা থেকে আমার আবার মুক্তি মিলেছে! কারো জন্য নতুন করে বুকের ভেতর ভালোবাসার বোধ হচ্ছে! বুকের ভেতর বড় হয়ে যাওয়া শূন্যতার আকাশে, শান্তির পায়রা উড়িয়ে দিয়েছে মুগ্ধতার স্পর্শ! কারো জন্যই তো জীবন থামে না! আমি ভালোবাসছি! তীব্র রকমের সুনামি সাইক্লোনের ককটেল প্রেম বুলেটের মতো প্রবেশ করছে বুকে! আমার ঘুম হয়না! গলা দিয়ে খাবার নামে না! আমার বড্ড হাসফাস লাগে! আমি রোজ সকালে একটা নতুন মানুষের কন্ঠস্বর শোনার আকুলতা নিয়ে জেগে উঠি! আমি আবার কারো হাতের আঙুল ছুয়ে দেখার ব্যাকুলতা নিয়ে অপেক্ষা করি! আমার বাঁচতে ইচ্ছে হয়, আ...
মরে যাওয়ার একটা বয়স থাকে! আমি সেই মরে যাওয়ার বয়সটা কাটিয়ে এসেছি, অনুব্রতা! প্রথমবার তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে প্রচন্ড মুগ্ধতা নিয়ে বলেছিলাম, " এরকম জলপ্রপাতের দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হতে হতে মরে যাওয়া যায়!" আমি মরে গিয়েছিলাম, তোমার কন্ঠস্বরে! প্রথম স্পর্শে! প্রথম চুম্বনে! যে বছর আমার রেজাল্ট খারাপ হলো, আমি ঘরে বসে সিলিং ফ্যানের দিকে তাকিয়ে ভেবেছিলাম, " বেঁচে থাকার চেয়ে, মরে যাওয়া সহজ!" চাকরির ইন্টারভিউতে রিজেক্ট হয়ে বাড়ি ফেরার পথে একটা চলন্ত গাড়ির নিচে ঝাপিয়ে পরতে চেয়েছিলাম! একটা চলমান ট্রাকের চাকা উঠে যাক মাথার খুলির উপর দিয়ে! রাস্তায় ছিটকে পড়ে থাকুক মেধাহীন মগজ! আমি শেষবার মরে যেতে চেয়েছিলাম, তোমার হাতের মেহেদি দেখে! যেদিন তোমাকে নিয়ে গেলো ওরা, আমি দু পাতা সিডাক্সিন হাতে নিয়ে বসেছিলাম মাঝরাত পর্যন্ত! আমার তখন খুব মরে যেতে ইচ্ছে হতো, অনুব্রতা! মরে যাওয়ারও একটা বয়স থাকে! আমি বড় হয়ে গেছি! মরে যাওয়া এখন আর অত'টা সহজ নয়! প্রেমে মৃত্যু নেই! অপ্রাপ্তিতে মৃত্যু নেই! তুমিহীনতায় মৃত্যু নেই! তোমার পর যার চোখের দিকে তাকিয়েছিলাম, তার চোখে মৃত্যু ছিলনা! আমার বয়স ব...
১. যে কখনো একা হয়নি, একাকিত্বের নেশায় বুদ হয়ে থাকার আনন্দ সে বুঝবেনা। একা হয়ে যাওয়া মানে আসলে একাকিত্ব না! একা হয়ে যাওয়া মানে, কখনো কখনো মুক্তি! ২. যে কাছের মানুষ হতে পারেনি, সে কখনোই দূরের মানুষ হবেনা! বেশি কাছে আসা মানুষেরই কেবল বেশি দূরে যাওয়ার অধিকার থাকে! ৩. যে সম্পর্কে একজনের অবহেলায় অন্যজনের ব্যথা অনুভব হয়না, সেখানে কোন ভালোবাসা নেই! ৪. "ভালোবাসি" আর "আমি তোমাকে ভালোবাসি"র মাঝের পার্থক্যটা বিশাল! ভালোবাসি একটা সস্তা শব্দ! আমি তোমাকে ভালোবাসি যাকে তাকে বলা যায়না! "আমি" এই শব্দটাই আসলে ভালোবাসা! এটাতে প্রচন্ড অধিকার খাটাতে হয়! ৫. ভালো না বেসেও সঙ্গম করা যত'টা সহজ, ভালো না বেসে চুমু খাওয়া ততো'টা সহজ না। শারীরিক উত্তেজনা এবং নগ্ন শরীর দেখে কামবোধ জাগতে পারে, তবে চুমু খাওয়ার জন্য প্রেমবোধ থাকা লাগে! ৬. পর্যাপ্ত কারন ছাড়াও আমাদের মন খারাপ হয়! এই যেমন সামান্য বৃষ্টি হলেও আমাদের মন খারাপ লাগে! মন খারাপ আসলে একটা বিলাসিতা! মন খারাপের গান শুনলে মন খারাপ লাগবে, কারো শূন্যতা অনুভব হবে, হতাসা আসবে, এসব জেনে শুনেও আমরা মন খারাপের গান শুনি! এটা...
- কেমন আছো, অনুব্রতা? - এই তো বেশ চলছে! তুমি? - আমি! হ্যা, ভালো আছি বোধয়! - কনফিউজড? - উহু, একদমই না! - তবে? - তবে, কিছু না! এখন আর ভালো থাকা খারাপ থাকা নিয়ে ভাবিনা! সবই একটা নিয়মে চলছে! - হঠাত, কি মনে করে দেখা করতে এসেছো আজ? - তোমার কথা খুব মনে পরছিলো! - আমার কথা? এটাও তোমার আজকাল মনে পরে? কই, যখন কাছে ছিলাম, তখন তো ভুল করেও মনে পরতো না, আমি বলতে কেউ একজন তোমার জীবনে আছে, সেটাই ভুলে যেতে! - কাছে থাকলে মানুষের অনুপস্থিতি তো টের পাওয়া যায়না! দূরত্বই কেবল গুরুত্বটা বুঝিয়ে দেয়! - গুরুত্বটা বুঝতে বোধয় একটু বেশিই লেট করে ফেলেছো, অনিমেষ! - দিগন্ত, মানে বুঝো? - যেখানে আকাশ এসে পৃথিবীতে মিলে যায়! - কাছ থেকে তার সৌন্দর্য্য দেখেছো কখনো? - কিছু সৌন্দর্য্যের কাছে গেলে, তারা দূরে যেতে থাকে! আকাশ এবং পৃথিবীর মিলন কেবল দূর থেকেই দেখা যায়! - কিছু সৌন্দর্য্যের কাছে কখনোই যেতে নেই! এরা যত দূরে থাকে, ততো মুগ্ধতা ছড়ায়! - এজন্যই এত'টা দূরত্ব বাড়িয়েছো? - তখন বুঝিনি, এই দূরত্বটা মায়া বাড়িয়ে দিবে! - এখন বুঝেই আর কি লাভ, বলো? - লাভ হয়তো নেই কিছুই! তবুও,,, - নাহ, এ...
১. বিশ্বাস অবিশ্বাসের খেলায় বিশ্বাস কখনো জিতে না! মানুষ সাধারনত বলে, বিশ্বাস করে ভুল করেছি! অবিশ্বাস করে কখনো ভুল হয়না! ভুল হলেও, তার জন্য অত'টা রিগ্রেট ফিল হয়না, যত'টা রিগ্রেট ফিল হয় বিশ্বাস করলে! ২. মানুষকে চিনতে ভুল না করলে, মানুষ চেনা যাবেনা! আমরা প্রায় প্রতিটা মানুষই জীবনে একবার ভুল মানুষের পেছনে সময় বিনিয়োগ করি! এই ভুল মানুষগুলো শিক্ষকের মতন! ভুল হয়ে জীবনে এসেও কিছুনা কিছু শিখিয়ে দিয়ে যায়! অথচ, শেখানোর দায়িত্বটা ঠিক মানুষের! এজন্যই ঠিক মানুষের চেয়ে ভুল মানুষের জন্য আমাদের খারাপ লাগার তীব্রতা একটু বেশি থাকে! ৩. বিশ্বাসঘাতকদের জন্য হৃদয়ে একটা কোমল অনুভূতির জায়গা থাকে! যে কখনো বিশ্বাস ঘাতকতা করেনি, মস্তিষ্ক তাকে অল্প অল্প করে ভুলতে শুরু করে! ৪. সম্পর্কের প্রথম ৬ মাস কেটে যাওয়ার পর, পৃথিবীতে কোন সুখী প্রেমিক-প্রেমিকা থাকেনা! এই কথাটাকে অস্বীকার করার মানুষ অনেক পাওয়া যাবে! তবে, এরাও আসলে সুখী না! বিলিভ ইট অর নট, ভালোবাসায় সুখের চেয়ে প্যারা বেশি! ৫. যার কোন ভালোবাসার মানুষ নেই তারচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থায় আছে, যার একটা ভালোবাসার মানুষ আছে! দু বার কল দিয়ে তোমাকে না পেলে,...